ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন

কলেজ রক্ষার চেষ্টায় প্রশংসায় ভাসছে ছাত্রনেতা ফাহিম

Screenshot

কবি নজরুল কলেজ  ভাংচুর এবং শিক্ষার্থীদের হামলার হাত থেকে বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম।

গত ১৮ নভেম্বর ভুল চিকিৎসায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতাল ঘেরাও করা বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কবি নজরুল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় ।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার পর ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালের প্রধান ফটকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এসময় কবি নজরুল সরকারি কলেজে ভাংচুর করতে আসা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কথা বলতে এগিয়ে যান কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম।

তিনি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের বোঝাতে চেষ্টা করেন পরীক্ষা দিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ তাদের উপর হামলার সাথে জড়িত নয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কথা বলায় কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশংসা ভাসছেন এই ছাত্রনেতা।

এবিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওবায়দুর রহমান বলেন, কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র  সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশে প্রথম থেকেই ছিলেন। তিনি বলেন, কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম শিক্ষার্থীরা যেন কোনভাবেই সহিংসতায় না জড়ায় তার জন্য বার বার উদ্যোগ নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের কবি নজরুল কলেজের উপর হামলা না করে তার চেষ্টা করেছিলেন। আজও যেন কোন শিক্ষার্থী ড. মাহবুব রহমান কলেজে হামলা না চালায় সে জন্য দুই কলেজের অধ্যক্ষকে  নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের আটকানো চেষ্টা করেন।

এদিকে আরেক শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া বলেন, আমাদের কলেজের উপর যখন হামলা করতে আসে ডিএমআরসি সহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর হামলা করতে আসে তখন কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এমন সাহস আমাদের আর কোন নেতা বা শিক্ষার্থী দেখায় নি।

এবিষয়ে ছাত্রনেতা ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, আমি আমার সকল শিক্ষার্থী বন্ধুদের পাশে ছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি কোনরকম ভুল বোঝাবুঝির কারণে কোন পক্ষের যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আমার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আমাকে এই নৈতিক শিক্ষাটুকু দিয়েছে বলেই আমি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মাঝে গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারপরও কিছু কিছু অতি উৎসাহী  শিক্ষার্থী কলেজে হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থী আমার ভাই ও বন্ধু। প্রথমত এই অধিকার বোধ নিয়েই তাদের সাথে কথা বলতে যাই। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করি এই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই। তাদের আশ্বাস দেই তারা তাদের বন্ধুর মৃত্যুর বিচার পাবে।এতে করে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। তবে অতিউৎসাহী কিছু শিক্ষার্থী আমাদের কলেজের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

তিনি আরো বলেন, আমি তাদের সকল অভিযোগ শুনি এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি এই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। তারা অনেকে বিষয়টি অনুধাবন করেছে, কিন্তু অতি উৎসাহী কিছু শিক্ষার্থী কলেজের ভবনের গ্লাস ঢিল মেরে ভেঙে ফেলে। সেই সাথে গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করেন।

জনপ্রিয়

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

কলেজ রক্ষার চেষ্টায় প্রশংসায় ভাসছে ছাত্রনেতা ফাহিম

প্রকাশিত ০৮:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

কবি নজরুল কলেজ  ভাংচুর এবং শিক্ষার্থীদের হামলার হাত থেকে বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম।

গত ১৮ নভেম্বর ভুল চিকিৎসায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতাল ঘেরাও করা বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কবি নজরুল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয় ।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার পর ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালের প্রধান ফটকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
এসময় কবি নজরুল সরকারি কলেজে ভাংচুর করতে আসা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কথা বলতে এগিয়ে যান কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম।

তিনি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের বোঝাতে চেষ্টা করেন পরীক্ষা দিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ তাদের উপর হামলার সাথে জড়িত নয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কথা বলায় কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশংসা ভাসছেন এই ছাত্রনেতা।

এবিষয়ে কবি নজরুল সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওবায়দুর রহমান বলেন, কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র  সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশে প্রথম থেকেই ছিলেন। তিনি বলেন, কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম শিক্ষার্থীরা যেন কোনভাবেই সহিংসতায় না জড়ায় তার জন্য বার বার উদ্যোগ নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের কবি নজরুল কলেজের উপর হামলা না করে তার চেষ্টা করেছিলেন। আজও যেন কোন শিক্ষার্থী ড. মাহবুব রহমান কলেজে হামলা না চালায় সে জন্য দুই কলেজের অধ্যক্ষকে  নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের আটকানো চেষ্টা করেন।

এদিকে আরেক শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া বলেন, আমাদের কলেজের উপর যখন হামলা করতে আসে ডিএমআরসি সহ অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর হামলা করতে আসে তখন কবি নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এমন সাহস আমাদের আর কোন নেতা বা শিক্ষার্থী দেখায় নি।

এবিষয়ে ছাত্রনেতা ইরফান আহমেদ ফাহিম বলেন, আমি আমার সকল শিক্ষার্থী বন্ধুদের পাশে ছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি কোনরকম ভুল বোঝাবুঝির কারণে কোন পক্ষের যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আমার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আমাকে এই নৈতিক শিক্ষাটুকু দিয়েছে বলেই আমি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মাঝে গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তারপরও কিছু কিছু অতি উৎসাহী  শিক্ষার্থী কলেজে হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থী আমার ভাই ও বন্ধু। প্রথমত এই অধিকার বোধ নিয়েই তাদের সাথে কথা বলতে যাই। তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করি এই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই। তাদের আশ্বাস দেই তারা তাদের বন্ধুর মৃত্যুর বিচার পাবে।এতে করে শিক্ষার্থীরা কিছুটা শান্ত হয়। তবে অতিউৎসাহী কিছু শিক্ষার্থী আমাদের কলেজের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

তিনি আরো বলেন, আমি তাদের সকল অভিযোগ শুনি এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি এই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের কোন বিরোধ নেই। তারা অনেকে বিষয়টি অনুধাবন করেছে, কিন্তু অতি উৎসাহী কিছু শিক্ষার্থী কলেজের ভবনের গ্লাস ঢিল মেরে ভেঙে ফেলে। সেই সাথে গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করেন।