ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ না হলে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি

গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ না হলে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি

গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় বন্ধ না হলে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। সোমবার (২৮ জুলাই) এক জরুরি ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই ঘোষণা দেন তিনি। সূত্র: ইয়াহু নিউজ, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

স্টারমার বলেন, “ইসরায়েল যদি গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধ না করে, যুদ্ধবিরতিতে না আসে এবং শান্তির প্রতিশ্রুতি না দেয়, তাহলে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।” তিনি জানান, এটি দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে টিকিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা।

বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সম্মিলিত শান্তি পরিকল্পনার কথাও জানান স্টারমার। ফ্রান্স ও জার্মানির পূর্ণ সমর্থনেই এই অবস্থান নেন তিনি।

সরকারের মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। স্বীকৃতির পক্ষে রয়েছেন:

. উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার

. পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি

. বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ

. জ্বালানিমন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড

বিরোধিতা করেছেন:

. চ্যান্সেলর র‍্যাচেল রিভস

. প্রযুক্তিমন্ত্রী পিটার কাইল

. লেবার ফ্রেন্ডস অব ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী

তাদের আশঙ্কা, এই স্বীকৃতি হামাসকে পুরস্কৃত করার মতো হবে।

স্কটল্যান্ডে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে তার কোনো আপত্তি নেই।” এই মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বের বিরোধিতা কার্যত দুর্বল হয়ে পড়ে।

স্টারমার বলেন, “গাজায় অপুষ্ট শিশুর ছবি, হাঁটতে অক্ষম শিশুদের দৃশ্য আমাদের বিবেক নাড়া দিচ্ছে। এটি এখন আর সহ্য করার মতো নয়। বিশ্বকে এখনই এগিয়ে আসতে হবে।”

তিনি জানান, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যেই আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়েছে, এবং এখন স্থলপথে সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। লেবার পার্টির ভেতরে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন স্টারমার। সদ্য গঠিত জেরেমি করবিনের নতুন রাজনৈতিক দলসহ নয়টি দল থেকে ২৫০ জনের বেশি এমপি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯০ জনের বেশি নতুন লেবার এমপিও রয়েছেন।

স্টারমার বলেন, “এটি শুধু লেবার পার্টির অবস্থান নয়, এটি সময়ের দাবি। প্রতিদিন যা ঘটছে, তা আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। যুক্তরাজ্য আর চুপ থাকতে পারে না।”

এর আগে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জি৭-এর মধ্যে ফ্রান্সই প্রথম দেশ যারা এই সাহসিকতা দেখিয়েছে।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

গাজায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধ না হলে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি

প্রকাশিত ১০:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় বন্ধ না হলে আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। সোমবার (২৮ জুলাই) এক জরুরি ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই ঘোষণা দেন তিনি। সূত্র: ইয়াহু নিউজ, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

স্টারমার বলেন, “ইসরায়েল যদি গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধ না করে, যুদ্ধবিরতিতে না আসে এবং শান্তির প্রতিশ্রুতি না দেয়, তাহলে যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।” তিনি জানান, এটি দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে টিকিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা।

বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সম্মিলিত শান্তি পরিকল্পনার কথাও জানান স্টারমার। ফ্রান্স ও জার্মানির পূর্ণ সমর্থনেই এই অবস্থান নেন তিনি।

সরকারের মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। স্বীকৃতির পক্ষে রয়েছেন:

. উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার

. পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি

. বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ

. জ্বালানিমন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড

বিরোধিতা করেছেন:

. চ্যান্সেলর র‍্যাচেল রিভস

. প্রযুক্তিমন্ত্রী পিটার কাইল

. লেবার ফ্রেন্ডস অব ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী

তাদের আশঙ্কা, এই স্বীকৃতি হামাসকে পুরস্কৃত করার মতো হবে।

স্কটল্যান্ডে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে তার কোনো আপত্তি নেই।” এই মন্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বের বিরোধিতা কার্যত দুর্বল হয়ে পড়ে।

স্টারমার বলেন, “গাজায় অপুষ্ট শিশুর ছবি, হাঁটতে অক্ষম শিশুদের দৃশ্য আমাদের বিবেক নাড়া দিচ্ছে। এটি এখন আর সহ্য করার মতো নয়। বিশ্বকে এখনই এগিয়ে আসতে হবে।”

তিনি জানান, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যেই আকাশপথে ত্রাণ পাঠিয়েছে, এবং এখন স্থলপথে সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে। লেবার পার্টির ভেতরে ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছেন স্টারমার। সদ্য গঠিত জেরেমি করবিনের নতুন রাজনৈতিক দলসহ নয়টি দল থেকে ২৫০ জনের বেশি এমপি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯০ জনের বেশি নতুন লেবার এমপিও রয়েছেন।

স্টারমার বলেন, “এটি শুধু লেবার পার্টির অবস্থান নয়, এটি সময়ের দাবি। প্রতিদিন যা ঘটছে, তা আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। যুক্তরাজ্য আর চুপ থাকতে পারে না।”

এর আগে নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্পেন ও ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জি৭-এর মধ্যে ফ্রান্সই প্রথম দেশ যারা এই সাহসিকতা দেখিয়েছে।