ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন

যবিপ্রবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল

  • রায়হান আহমদ
  • প্রকাশিত ০১:২৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
  • ১৩ বার পঠিত

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রব) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

একইসাথে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহষ্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের মূল সড়ক হয়ে প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে বিক্ষোভ-মিছিলটি শেষ হয়।

যবিপ্রবির পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের সমাজে যে হারে ধর্ষণ বেড়ে গেছে এজন্য আমাদের যাদেরই মেয়ে সন্তান আছে আমরা সবাই আতঙ্কিত। এখন প্রশ্ন হলো এটার সমাধান কি? উদাহরণস্বরূপ যদি কোনো অসুখ হয় তবে দুইভাবে সমাধান করা যেতে পারে। প্রথমত রোগ প্রতিরোধ করা। দ্বিতীয়ত নিরাময়ের ব্যবস্থা করা। এখন আমাদের সমাজে যেভাবে অপরাধ বেড়ে গেছে এখন নিরাময় ব্যবস্থা করতে হবে। যেটা কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ছাড়া সম্ভব না। আমি মনে করি আমাদের দেশের আইনের দুর্বলতা আছে। আমি মনে করি ধর্ষকের মতো অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে কেউ এমন অপরাধ করতে গেলে তার অন্তর কেপে যাবে, যে এই অপরাধের শাস্তি কি ভয়ঙ্কর হতে পারে! সর্বশেষ আমি আছিয়ার ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।

বিক্ষোভ-মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বোন আছিয়ার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। মাগুরার শিশু আছিয়ার ধর্ষকদের দ্রুত প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ভবিষ্যতে ধর্ষকদের পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা চাই বাংলাদেশে এমন আইন বাস্তবায়ন করা হোক যে বা যারা ধর্ষণের মতো অপরাধমূলক কাজ করে, উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে পাথর নিক্ষেপ করে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে দ্বিতীয়বার কেউ এমন অপরাধ করার আগে ভাবে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে এখনো কেন ৭২ এর সংবিধানের আইন চলবে? কেন ধর্ষকের শাস্তি পেতে ১৮০ দিনের মতো দীর্ঘ সময় লাগবে? আমরা চাই দ্রত বিচারকার্যের মাধ্যমে ধর্ষককে প্রকাশ্যে পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তি দেওয়া হোক।

জনপ্রিয়

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

যবিপ্রবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা ও বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত ০১:২৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রব) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

একইসাথে ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহষ্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাতটায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের মূল সড়ক হয়ে প্রধান ফটকের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে বিক্ষোভ-মিছিলটি শেষ হয়।

যবিপ্রবির পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক তানভীর আহমেদ বলেন, আমাদের সমাজে যে হারে ধর্ষণ বেড়ে গেছে এজন্য আমাদের যাদেরই মেয়ে সন্তান আছে আমরা সবাই আতঙ্কিত। এখন প্রশ্ন হলো এটার সমাধান কি? উদাহরণস্বরূপ যদি কোনো অসুখ হয় তবে দুইভাবে সমাধান করা যেতে পারে। প্রথমত রোগ প্রতিরোধ করা। দ্বিতীয়ত নিরাময়ের ব্যবস্থা করা। এখন আমাদের সমাজে যেভাবে অপরাধ বেড়ে গেছে এখন নিরাময় ব্যবস্থা করতে হবে। যেটা কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন ছাড়া সম্ভব না। আমি মনে করি আমাদের দেশের আইনের দুর্বলতা আছে। আমি মনে করি ধর্ষকের মতো অপরাধিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। তাহলে কেউ এমন অপরাধ করতে গেলে তার অন্তর কেপে যাবে, যে এই অপরাধের শাস্তি কি ভয়ঙ্কর হতে পারে! সর্বশেষ আমি আছিয়ার ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।

বিক্ষোভ-মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বোন আছিয়ার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। মাগুরার শিশু আছিয়ার ধর্ষকদের দ্রুত প্রকাশ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ভবিষ্যতে ধর্ষকদের পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা চাই বাংলাদেশে এমন আইন বাস্তবায়ন করা হোক যে বা যারা ধর্ষণের মতো অপরাধমূলক কাজ করে, উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে পাথর নিক্ষেপ করে তাকে শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে দ্বিতীয়বার কেউ এমন অপরাধ করার আগে ভাবে।

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ২৪ এর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে এখনো কেন ৭২ এর সংবিধানের আইন চলবে? কেন ধর্ষকের শাস্তি পেতে ১৮০ দিনের মতো দীর্ঘ সময় লাগবে? আমরা চাই দ্রত বিচারকার্যের মাধ্যমে ধর্ষককে প্রকাশ্যে পাথর নিক্ষেপ করে শাস্তি দেওয়া হোক।