বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে কুরবানির তাৎপর্য ও শিক্ষা শীর্ষক আলোচনা সভা’২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মুফতি আমির হামজা।
রবিবার (২জুন) তিনটায় ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী আল-মুকাদ্দাস মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটিতে শাখা সেক্রেটারি ইউসুব আলীর সঞ্চালনায় এবং শাখা সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মুফতি আমির হামজা। এসময় শাখা অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক সৈয়দ মীর আফসার নবী হামজাসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার মুফতি আমির হামজা বলেন, ইবরাহিম (আ.)-এর জীবন আমাদের শেখায়, আল্লাহর নির্দেশে প্রিয়তম বস্তুও ত্যাগ করতে হবে। বার্ধক্যে পাওয়া প্রিয় পুত্রকে কুরবানীর নির্দেশ পেয়েও তিনি বলেননি “কেন?”— বলেছিলেন, “হ্যাঁ, প্রভু!” এটাই ঈমানের প্রকৃত রূপ। আমাদেরকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে যেমন ইবরাহিম (আ.) করেছিলেন। ধৈর্য ও ত্যাগী হতে হবে ইসমাইল (আ.)-এর আদর্শে। এই ঈদে, শুধু পশু কুরবানী নয়, আমাদেরকে অহংকার, লোভ ও গীবতও কুরবানী করতে হবে।
মাহমুদুল হাসান বলেন, কুরবানি আমাদেরকে ত্যাগ ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়। শিক্ষা দেয় আল্লাহর শর্তহীন আনুগত্যের। কুরবানির এই শিক্ষাগুলোকে আমাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারলেই আমরা আল্লাহর প্রিয়ভাজন হতে পারবো।
