জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা কোনো দলের বিরুদ্ধে কথা বলি না, আমরা পুরোনো বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে কথা বলি। যারা মাফিয়া সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখতে চায়, চাঁদাবাজিকে টিকিয়ে রাখতে চায়, তাদেরকে জনগণ আর মেনে নেবে না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এই তরুণ প্রজন্ম কোনো নির্বাচনী ভাগ বাটোয়ারায় বিশ্বাস করে না। আমরা বলেছি রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনে আপনাদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। আপনারা সে দরজায় প্রবেশ না করে এখনো যদি সংস্কারের পক্ষে না আসেন, পুরোনো বন্দোবস্ত সংরক্ষণ করেন, চাঁদাবাজ, মাফিয়া ও দুর্নীতির রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে কী হবে। জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে কেন নামছে, আপনারা কি দেখছেন তা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররা আবারও রাজপথে নামছে।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে জনগণের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। যদি তারা দলবাজ প্রশাসনের মতো আচরণ করে, তাহলে মনে রাখবেন ফ্যাসিবাদের সময় যারা দলবাজ হয়েছিল, তাদের পরিণতি ও আপনাদের পরিণতি একই হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আবিদ, এনসিপি বাগেরহাটের প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়াদ মোরশেদ আনোয়ার প্রমুখ।
এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, ড. মাহমুদা মিতু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্যা রহমাতুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনুভা জাবিন, বাগেরহাটের যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. শফিউল্লাহ, আবিদ আহমেদ, জেলা সদস্য লাবীব আহমেদ, আল আমিন খান সুমন, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল বাকিসহ হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জুলাই আন্দোলনে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের খোঁজখবর নেন।
