আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে— এনসিপি সেক্ষেত্রে নির্ণায়কের ভূমিকায় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এছাড়া বিচারিক প্রক্রিয়ায় রায় এবং কার্যকারিতা দেখতে পেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে এনসিপির আলাদা করে কোনো আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। আজ (মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর) দুপুরে নেত্রকোণার সালথি কনভেনশন হলে জেলা এনসিপির সমন্বয় সভায় তিনি একথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাই সনদের যদি আইনগত ভিত্তি আসে এবং সংস্কারগুলো জুলাই সনদের মাধ্যমে কমিটেডভাবে পাই— এখানে যদি বিচারিক প্রক্রিয়ায় রায় এবং কার্যকারিতা দেখতে পাই তাহলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে এনসিপির আলাদা করে কোনো আপত্তি নাই।’
তিনি বলেন, ‘যদি এমন হয় যে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি এবং বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও বিচারিক প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান অগ্রগতি এসব বিষয়গুলো যদি পিছিয়ে যায় তাহলে তা নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলবে। নির্বাচনের প্রতি এর প্রভাব পড়বে এতে নির্বাচন পিছিয়েও যেতে পারবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার ও এ বিষয়গুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদেরকে আহ্বান করবো এনসিপি নির্বাচন পিছিয়ে যাক- এমন মানসিকতায় ধারণ করে না। কিন্তু জনগণের সব আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে যদি শুধু নির্বাচন কেন্দ্রিক চিন্তা হয় এনসিপি সে আকাঙ্ক্ষাকে সায় দেবে না।’
এনসিপির মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘আমরা উচ্চকক্ষে পিআর চাই, নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে এবার আমরা নই। উচ্চপক্ষে পিয়ার যদি চালু হয় ঐকমত্য কমিশনে যদিও এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবার যদি আমরা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ পাই এবং উচ্চকক্ষে পিয়ার চালু হয়। তাহলে এটার সঙ্গে সফলতা, ব্যর্থতা, কার্যক্রম বাংলাদেশের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতাই নির্ধারণ করবে আগামী যে সময়গুলো সেই সময়গুলোতে উচ্চকক্ষ থাকবে কি থাকবে না। বা উচ্চ কক্ষের পাশাপাশি নিম্নকক্ষ আসবে কি না। না কি উচ্চকক্ষই বিলপ্ত হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামীতে কারা সরকার গঠন করবে— এনসিপি সেক্ষেত্রে নির্ণায়কের ভূমিকায় থাকবে। কারণ ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বিএনপি বা জামায়াত তাদের জায়গা থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মোকাবিলা করতে পারবে না। এক্ষেত্রে এনসিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। আমরা আগামীর যে সুন্দর এবং স্থিতিশীল সরকার বা সংসদ চাই এর জন্য এনসিপির নেতৃত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত এনসিপির কোনো প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। আমাদের কমিটি গঠনের কাজ চলছে নভেম্বরের মধ্যেই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি গঠন কাজ সম্পন্ন হবে।’
সভায় অন্যান্য মাঝে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক প্রীতম সোহাগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠান, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফাহিমসহ জেলা উপজেলা নেতাকর্মীরা।
















