ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন

একটি নির্দিষ্ট মহল গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে: ইবি শিবির সভাপতি

  • সাকীফ বিন আলম
  • প্রকাশিত ০৬:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩১ বার পঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট মহল আবারও আওয়ামী লীগের শাসনামলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। যেখানে প্রাধ্যক্ষরাও সহযোগিতা করছেন। কোনোভাবেই হলগুলোকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিতে দেওয়া হবে না। যদি এমন কোনো চেষ্টা করা হয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সাজিদ হত্যার বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ইবি শিক্ষার্থী সাজিদকে হত্যার ৯৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই নয়, ইন্টেরিম সরকারেরও ব্যর্থতা। যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাজিদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা না হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

ছাত্রসংসদ নিয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রশাসন আইনের অজুহাত দেখিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করছে না। অথচ জগন্নাথ ও বেগম রোকেয়ার মতো নবীন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের আইন পাস করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন ১৫ তারিখের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করার আশ্বাস দিলেও ১৮ তারিখ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে প্রশাসন কোনো রকম টালবাহানা করলে শিক্ষার্থীরা তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।

শিক্ষক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগে ৫টি বা এমনকি ৭টি ব্যাচ চলমান থাকলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দুজন, যা শিক্ষার মানকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। দ্রুত ন্যায্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন হলগুলোর দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে টেন্ডার হওয়া হলের নির্মাণকাজ ২০২৫ সালেও শেষ হয়নি, যা শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটকে তীব্রতর করছে। চলতি বছরের মধ্যেই সকল হলের নির্মাণকাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে হস্তান্তর ও মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন করতে হবে।

সমাবেশে অনতিবিলম্বে সাজিদ হত্যার বিচার, ইকসুর নীতিমালা ও রোডম্যাপ প্রদান, ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ, এ বছরেই নির্মাণাধীন হলসমূহ চালু এবং মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান সংগঠনটি। এতে সাত দিনের মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেম ডিজিটালাইজেশনে পদক্ষেপে না নিলে প্রশাসন অচল করে দেওয়া হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটি।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বটতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে তারা, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাজিদ মৃত্যুর তদন্ত, দ্রুত করো, করতে হবে’, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করো, শিক্ষার্থীদের রক্ষা করো,’ ‘হলগুলো চালু করো, ভোগান্তি দূর করো,’ ‘ইকসুর তারিখ ঘোষণা করো,’ ছাত্রসংসদ নিশ্চিত করো,’ ‘বিশ্ব যখন আধুনিক, ইবি কেন যান্ত্রিক,’ ‘ডিজিটাল পেমেন্ট চালু হোক, ভোগান্তি দূর হোক,’ ‘নিয়োগ হবে স্বচ্ছ, শিক্ষক হবে দক্ষ,’ ‘মেধা আর স্বচ্ছতা, নিয়োগে চাই ন্যায্যতা,’ ‘আবু সাইদের বাংলায়, নিয়োগ বাণিজ্যের ঠাই নাই’সহ নানা স্লোগান দেয়।

এসময় সংগঠনের শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারি ইউসুব আলী, অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাফি, অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আবসার নবী হামজা, দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল বান্না অলিসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়

এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস

একটি নির্দিষ্ট মহল গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে: ইবি শিবির সভাপতি

প্রকাশিত ০৬:৫৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট মহল আবারও আওয়ামী লীগের শাসনামলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম ও গেস্টরুম সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। যেখানে প্রাধ্যক্ষরাও সহযোগিতা করছেন। কোনোভাবেই হলগুলোকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিতে দেওয়া হবে না। যদি এমন কোনো চেষ্টা করা হয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সাজিদ হত্যার বিচারসহ পাঁচ দফা দাবিতে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুল হাসান বলেন, ইবি শিক্ষার্থী সাজিদকে হত্যার ৯৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই নয়, ইন্টেরিম সরকারেরও ব্যর্থতা। যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাজিদের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা না হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

ছাত্রসংসদ নিয়ে মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রশাসন আইনের অজুহাত দেখিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করছে না। অথচ জগন্নাথ ও বেগম রোকেয়ার মতো নবীন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের আইন পাস করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন ১৫ তারিখের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত করার আশ্বাস দিলেও ১৮ তারিখ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে প্রশাসন কোনো রকম টালবাহানা করলে শিক্ষার্থীরা তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।

শিক্ষক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগে ৫টি বা এমনকি ৭টি ব্যাচ চলমান থাকলেও শিক্ষক রয়েছেন মাত্র দুজন, যা শিক্ষার মানকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। দ্রুত ন্যায্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন হলগুলোর দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে টেন্ডার হওয়া হলের নির্মাণকাজ ২০২৫ সালেও শেষ হয়নি, যা শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকটকে তীব্রতর করছে। চলতি বছরের মধ্যেই সকল হলের নির্মাণকাজ শেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে হস্তান্তর ও মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন করতে হবে।

সমাবেশে অনতিবিলম্বে সাজিদ হত্যার বিচার, ইকসুর নীতিমালা ও রোডম্যাপ প্রদান, ডিজিটাল পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ, এ বছরেই নির্মাণাধীন হলসমূহ চালু এবং মেধা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান সংগঠনটি। এতে সাত দিনের মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেম ডিজিটালাইজেশনে পদক্ষেপে না নিলে প্রশাসন অচল করে দেওয়া হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটি।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে বটতলা থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে তারা, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘সাজিদ মৃত্যুর তদন্ত, দ্রুত করো, করতে হবে’, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করো, শিক্ষার্থীদের রক্ষা করো,’ ‘হলগুলো চালু করো, ভোগান্তি দূর করো,’ ‘ইকসুর তারিখ ঘোষণা করো,’ ছাত্রসংসদ নিশ্চিত করো,’ ‘বিশ্ব যখন আধুনিক, ইবি কেন যান্ত্রিক,’ ‘ডিজিটাল পেমেন্ট চালু হোক, ভোগান্তি দূর হোক,’ ‘নিয়োগ হবে স্বচ্ছ, শিক্ষক হবে দক্ষ,’ ‘মেধা আর স্বচ্ছতা, নিয়োগে চাই ন্যায্যতা,’ ‘আবু সাইদের বাংলায়, নিয়োগ বাণিজ্যের ঠাই নাই’সহ নানা স্লোগান দেয়।

এসময় সংগঠনের শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সেক্রেটারি ইউসুব আলী, অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাফি, অর্থ সম্পাদক শেখ আল আমিন, প্রচার সম্পাদক আবসার নবী হামজা, দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক হাসানুল বান্না অলিসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।