ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ব্যাডমিন্টন প্রতিভার খোঁজে ব্যাডমিন্টন বাংলাদেশ Logo ওসমান হাদীকে জঙ্গি বললেন যবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা Logo ‘হাদী খাইছে, তোরও খাওয়ার সময় এসে গেছে’, আসিফকে ইবি ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ‘গুলিবিদ্ধ হাদী ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ শ্লোগানে উত্তাল ইবি Logo ওসমান হাদীর হত্যাচেষ্টায় জবির নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo দেশে নতুন মাদক এমডিএমবি জব্দ, চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪ Logo জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় জাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সন্তোষ প্রকাশ

সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে বিএসএফ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ভারতীয় আগ্রাসন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, মোদীর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, বিএসএফের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, অ্যাকশন টু অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ভারতের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ,বিএসএফের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, দিয়েছি তো রক্ত আরো দেবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায় ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে জাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আহসান লাবিব বলেন, সীমান্তে মানুষ হত্যা ভারতীয় আধিপত্যবাদ নীতি ও আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ। পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয় না। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে দেখেছি ভারতীয় বাহিনী সীমান্তে মানুষ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতো। আমরা তখন সেই আগ্রাসনের প্রতিবাদও করতে পারতাম না। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের উচিত সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন,আমারা দেখেছি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কিভাবে আমাদের দেশের মানুষদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। ফেলানী থেকে শুরু স্বর্ণা দাসকে কিভাবে নৃশংস তাঁরা হত্যা করেছে। আশা করেছিলাম জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরে ভারতীয় করদরাজ্য থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে তাঁর ন্যায় অধিকার পাবে। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী স্বর্ণা দাস থেকে শুরু করে গত রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে নৃশংস সীমান্ত হত্যা সংঘটিত হয়েছে। পৃথিবীর কোনো নৃশংস অপরাধীর সাথেও কোনো দেশের সরকারি বাহিনী এমন আচরণ করতে পারে না।

জনপ্রিয়

ব্যাডমিন্টন প্রতিভার খোঁজে ব্যাডমিন্টন বাংলাদেশ

সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত ১১:২৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে বিএসএফ কর্তৃক পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা ভারতীয় আগ্রাসন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, মোদীর দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, বিএসএফের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, অ্যাকশন টু অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ভারতের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ,বিএসএফের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, দিয়েছি তো রক্ত আরো দেবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায় ইত্যাদি স্লোগান দেয়।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে জাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আহসান লাবিব বলেন, সীমান্তে মানুষ হত্যা ভারতীয় আধিপত্যবাদ নীতি ও আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ। পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয় না। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে দেখেছি ভারতীয় বাহিনী সীমান্তে মানুষ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতো। আমরা তখন সেই আগ্রাসনের প্রতিবাদও করতে পারতাম না। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের উচিত সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার বলেন,আমারা দেখেছি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কিভাবে আমাদের দেশের মানুষদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। ফেলানী থেকে শুরু স্বর্ণা দাসকে কিভাবে নৃশংস তাঁরা হত্যা করেছে। আশা করেছিলাম জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরে ভারতীয় করদরাজ্য থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে তাঁর ন্যায় অধিকার পাবে। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী স্বর্ণা দাস থেকে শুরু করে গত রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে নৃশংস সীমান্ত হত্যা সংঘটিত হয়েছে। পৃথিবীর কোনো নৃশংস অপরাধীর সাথেও কোনো দেশের সরকারি বাহিনী এমন আচরণ করতে পারে না।