ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইবি শাখা।
সোমবার (১০জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। আয়োজনে সেরা লেখকদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এসময় তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইবি শাখা সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানির সভাপতিত্বে মহিমা খান ও তারেক বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও নর্দান ইউনিভার্সিটির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, আইআইইআর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয়, ইবি শাখার উপদেষ্টা আবু তালহা আকাশ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও নর্দান ইউনিভার্সিটির সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম বলেন, আমি ৬২ বছর ধরে পড়াচ্ছি। তরুণদের সঙ্গেই আমরা সার্বক্ষণিক উঠাবসা। তার মানে কিন্তু, আমি এখনো তরুণ আছি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে এই তরুণ সমাজকে। আর প্রতিরোধের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে লেখনীর মাধ্যমে প্রতিরোধ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, পাঠকের মৃত্যু ঘটে কিন্তু লেখকের মৃত্যু ঘটে না। কারণ লেখার মৃত্যু ঘটে না। যদি আমরা ইতিহাসের দিকে তাকাই, দেখবো লেখনীর মাধ্যমেই জ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে সারা পৃথিবীতে। আর এই জ্ঞানের যাত্রা অব্যহত আছে। অনন্ত কালের দিকে অগ্রসর হচ্ছে লেখনীর মাধ্যমে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই যদি লেখালেখি করে তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। লেখা সমাজের দর্শনকে মানুষের কাছে তুলে ধরে। লেখার মাধ্যমে সমাজকে চেনা যায়।
