ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

বিএনপির দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা ও বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক।

এদের মধ্যে আনোয়ারুল ইসলাম পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আর রফিকুল ইসলাম বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুজনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম কিছুদিন ধরে পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে জেলা বিএনপি আনোয়ারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছিল। আনোয়ারুল জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি।

এদিকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গত সোমবার ইউপি সদস্য রফিকুল তার লোকজন নিয়ে পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই সেনা সদস্য সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই। একজনের বাড়িতে হামলা, লুটপাটের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করা হয়। অন্যজনের বাড়ির কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।

এক সেনা সদস্যের বাবা আওয়ামী লীগের সমর্থক। এ জন্য চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল বলে পরিবারটি অভিযোগ করে। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে এখনও রফিকুল গ্রেপ্তার হয়নি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুজনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার হয়েছে।’

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

বিএনপির দুই নেতাকে আজীবন বহিষ্কার

প্রকাশিত ০৭:৪৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির দুই নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (১১ জুন) জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম জুম্মা ও বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রফিক।

এদের মধ্যে আনোয়ারুল ইসলাম পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। আর রফিকুল ইসলাম বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল ও সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুজনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারুল ইসলাম কিছুদিন ধরে পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন মিমকে বিদ্যালয়ে যেতে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে জেলা বিএনপি আনোয়ারুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছিল। আনোয়ারুল জবাব দিলেও তা সন্তোষজনক হয়নি।

এদিকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গত সোমবার ইউপি সদস্য রফিকুল তার লোকজন নিয়ে পুঠিয়ার হাতিনাদা গ্রামের দুই সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই সেনা সদস্য সম্পর্কে তার চাচাতো ভাই। একজনের বাড়িতে হামলা, লুটপাটের পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও করা হয়। অন্যজনের বাড়ির কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।

এক সেনা সদস্যের বাবা আওয়ামী লীগের সমর্থক। এ জন্য চাঁদা দাবি করা হচ্ছিল বলে পরিবারটি অভিযোগ করে। হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। তবে এখনও রফিকুল গ্রেপ্তার হয়নি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দুজনকে সব পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার হয়েছে।’