ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় চীন, সৌদি-আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৮০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৫০ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৪১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৮৫.৫০ ডলার।

বৈঠকে সার কেনার বাকি দুটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় চীন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

জানা গেছে, বিএডিসি কর্তৃক চীন থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক নীতিগত অনুমোদিত হয়। বিএডিসি ও চীনের মধ্যে গত ১০ জানুয়ারি সার আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে চীন থেকে প্রথম লটে ৪০ হাজার (+১০%) টন ডিএপি সার আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে এই সারের জন্য ব্যয় হবে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৫৮ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭২৯.২৫ ডলার।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদিআরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৫১ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭১৫ ডলার।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

প্রকাশিত ০৮:৪৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় চীন, সৌদি-আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ১ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া এবং ৮০ হাজার টন ডিএপি সার রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৫০ কোটি ৫০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৪১ কোটি ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৮৫.৫০ ডলার।

বৈঠকে সার কেনার বাকি দুটি প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় চীন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

জানা গেছে, বিএডিসি কর্তৃক চীন থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক নীতিগত অনুমোদিত হয়। বিএডিসি ও চীনের মধ্যে গত ১০ জানুয়ারি সার আমদানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে চীন থেকে প্রথম লটে ৪০ হাজার (+১০%) টন ডিএপি সার আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে এই সারের জন্য ব্যয় হবে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৫৮ কোটি ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭২৯.২৫ ডলার।

বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদিআরব থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৫১ কোটি ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ধরা হয়েছে ৭১৫ ডলার।