সাম্প্রতিক পাকিস্তান সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর প্রতিশোধের মিশনে ঘরের মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। মিরপুরের পরিচিত কন্ডিশনে নিজেদের হারানো আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছে টাইগাররা। আর সেই আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলনই দেখা গেল সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে, যেখানে সহজেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল।
রোববার (২০ জুলাই) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। তার সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদী ও তানজিম হাসান সাকিব। পাকিস্তানকে ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানে অলআউট করে ফেলে স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের হয়ে ওপেনার ফখর জামান একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন, ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। খুশদিল শাহ (১৭) ও আব্বাস আফ্রিদি (২২) কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট হয়নি। মিরপুরে ২০১৬ সালে করা ১২৯ রানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ হলো এবার।
আজকের ম্যাচে নজর কেড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার বিখ্যাত স্লোয়ার আর কাটারে ধুঁকেছে পাকিস্তানি ব্যাটাররা। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাকি উইকেটগুলো ভাগাভাগি করেন মেহেদী ও তানজিম।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আউট হন ইনফর্ম ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাসও। দুই ওপেনারই করেন মাত্র ১ রান করে।
তবে এরপরই দৃঢ়তা দেখান পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। তাদের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৭৩ রান। হৃদয় ৩৭ বলে ৩৬ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ আনেন ইমন, ৩৪ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন এবং শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। তার সঙ্গী জাকের আলী ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফিফটি করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়ায় ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের পরবর্তী ম্যাচে টাইগারদের নজর থাকবে পাকিস্তানকে আবারও চাপে ফেলে সিরিজ নিশ্চিত করার দিকে।
