বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী বলেছেন, ভিন্নমত থাকতেই পারে, কিন্তু সম্প্রীতি আর পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকলে দেশ এগিয়ে যায়। আমরা বিভেদের রাজনীতি নয়, চাই ঐক্যের বাংলাদেশ। প্রতিহিংসার রাজনীতির দিন শেষ, এখন সময় সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার। আপনারা আমাকে একটি সুযোগ দিন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে আমার পাশে থাকুন। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাবো না।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি বাজারে বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এস এম জিলানী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষা করতে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।

আওয়ামী লীগ সরকার না থাকলেও টুঙ্গিপাড়ার মানুষ কোনোভাবেই বঞ্চিত হবে না মন্তব্য করে বলেন, এই এলাকার প্রতিটি মানুষের নাগরিক অধিকার রয়েছে। আওয়ামী লীগ না থাকলে কেউ চাকরি পাবে না বা ভোট দেবে না—এমন ধারণা ভুল।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয় সেটা আপনারা দেখেছেন, এই বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি করেছিলাম। যখন আওয়ামী লীগ থাকবে না তখন আমার এলাকার মানুষের পাশে থেকে কাজ করব। একটি ভিন্নধারার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে কত বছর বাড়িতে থাকতে পারেনি। আমার নামে ১৬৭ টা মামলা হয়েছে। আমার উপর বিশ্বাস রাখেন যদি কখনো কোন বিপদে পড়েন আমাকে স্মরণ করবেন এলাকার ভাই হিসেবে আপনাদের পাশে থাকব। আমি আপনার এলাকার সন্তান আমাকে দিয়ে যদি আপনার কোন কাজে আসে তাহলে আমার রাজনীতি করা সার্থক হবে।
সম্প্রীতি সমাবেশে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ সালাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপি’র সভাপতি এমদাদ মোল্লার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের।
এসময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবলু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ জেহাদুল ইসলাম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সরকার সহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। সভা শেষে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিকনির্দেশনা দেন এস এম জিলানী।
এছাড়া সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
















