ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন

টানা দ্বিতীয় সাফ জয়ের উল্লাসে মাতলো বাঘিনীরা

  • Shamrat Kabir
  • প্রকাশিত ১১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১১ বার পঠিত

টানা দ্বিতীয় সাফ জয়ের উল্লাসে মাতলো বাঘিনীরা

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা ধরে রাখলো বাংলাদেশ। আজ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত সাফের শ্রেষ্ঠত্ব দখল করেছে সাবিনা খাতুনের দল।

ফাইনালের প্রথমার্ধ গোলশুন্য থাকার পর মনিকা চাকমার গোলে ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। চার মিনিটের মধ্যে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান আমিশা কার্কি। ৮১ মিনিটে ঋতুপর্না চাকমার দুর্দান্ত গোলে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

 

টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

 

২০২২ সালে এই স্টেডিয়ামেই নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মত সাফের শিরোপা জয় করেছিল বাংলাদেশ। সেই আসরে স্কোরলাইন ছিল ৩-১।

প্রথমার্ধে উভয় দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করেছিল। ১০ মিনিটে প্রথম একটি ভাল সুযোগ পায় নেপাল। সাবিত্রা ভান্ডারি মধ্যমাঠ থেকে একটি লম্বা পাস রিসিভ করে পাশে থাকা আমিশা কার্কির দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কাকরির ডান পায়ের শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। ২৮ মিনিটে আবারো আমিশার ভুলে নেপালের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। সাবিত্রার কাছ থেকে আসা বল নিয়ন্ত্রনে নিতে ব্যর্থ হন আমিশা।

 

টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

 

৩৫ মিনিটে নেপালের রক্ষনভাগের ভুলে সুযোগ পেয়েছিলেন মনিকা। কিন্তু সঠিকভাবে শট নিতে ব্যর্থ হন তিনি। বল চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। সেভাবে ভাল কোন আক্রমন প্রথমার্ধে করতে না পারলেও বাংলাদেশ দুটি কর্ণার পেয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি সাবিনার দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। দুই দলই চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙার। যদিও প্রথম কয়েকটি প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

আক্রমণের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দারুণ এক আক্রমণে জটলার মধ্যে থেকে নেপালের রক্ষণভাগ ভেদ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন মনিকা চাকমা।

 

dhakapost

 

ম্যাচে দুর্দান্ত খেলতে থাকা প্রীতি রাইয়ের অসাধারণ এক থ্রু পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করে আমিশা। এই গোলে চার মিনিটের মধ্যেই সমতায় ফিরে নেপাল। গোলবার ছেড়ে কিছুটা এগিয়ে আসা গোলরক্ষক রুপনা চাকমার পক্ষে এই গোল আটকানো সম্ভব ছিলনা। ৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শট নেন মারিয়া মান্ডা। দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দিয়ে নেপালকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আঞ্জিলা।

৭১ ও ৭৬ মিনিটে দুটি আক্রমণ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় নেপাল। তবে ম্যাচের দৃশপট পাল্টে যায় ৮১ মিনিটে। বামদিক থেকে খ্রো-ইন থেকে পাওয়া বলে ঋতুপর্নার অসাধারাণ কোনাকুনি শটটি স্বাগতিক গোলরক্ষকের পক্ষে আটকানো কঠিন ছিল।

স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শককে নিশ্চুপ করে দিয়ে বাংলাদেশ শিবির উল্লাসে ফেটে পড়ে। ইনজুরি টাইমের পাঁচ মিনিটে আর কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। এর মাধ্যমে টানা দ্বিতীয় আসরে সাফের শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখালো বাংলাদেশ।

জনপ্রিয়

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

টানা দ্বিতীয় সাফ জয়ের উল্লাসে মাতলো বাঘিনীরা

প্রকাশিত ১১:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা ধরে রাখলো বাংলাদেশ। আজ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত সাফের শ্রেষ্ঠত্ব দখল করেছে সাবিনা খাতুনের দল।

ফাইনালের প্রথমার্ধ গোলশুন্য থাকার পর মনিকা চাকমার গোলে ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। চার মিনিটের মধ্যে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান আমিশা কার্কি। ৮১ মিনিটে ঋতুপর্না চাকমার দুর্দান্ত গোলে শিরোপা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

 

টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

 

২০২২ সালে এই স্টেডিয়ামেই নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মত সাফের শিরোপা জয় করেছিল বাংলাদেশ। সেই আসরে স্কোরলাইন ছিল ৩-১।

প্রথমার্ধে উভয় দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরী করেছিল। ১০ মিনিটে প্রথম একটি ভাল সুযোগ পায় নেপাল। সাবিত্রা ভান্ডারি মধ্যমাঠ থেকে একটি লম্বা পাস রিসিভ করে পাশে থাকা আমিশা কার্কির দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কাকরির ডান পায়ের শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। ২৮ মিনিটে আবারো আমিশার ভুলে নেপালের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। সাবিত্রার কাছ থেকে আসা বল নিয়ন্ত্রনে নিতে ব্যর্থ হন আমিশা।

 

টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

 

৩৫ মিনিটে নেপালের রক্ষনভাগের ভুলে সুযোগ পেয়েছিলেন মনিকা। কিন্তু সঠিকভাবে শট নিতে ব্যর্থ হন তিনি। বল চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। সেভাবে ভাল কোন আক্রমন প্রথমার্ধে করতে না পারলেও বাংলাদেশ দুটি কর্ণার পেয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি সাবিনার দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। দুই দলই চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙার। যদিও প্রথম কয়েকটি প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

আক্রমণের ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দারুণ এক আক্রমণে জটলার মধ্যে থেকে নেপালের রক্ষণভাগ ভেদ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন মনিকা চাকমা।

 

dhakapost

 

ম্যাচে দুর্দান্ত খেলতে থাকা প্রীতি রাইয়ের অসাধারণ এক থ্রু পাস থেকে লক্ষ্যভেদ করে আমিশা। এই গোলে চার মিনিটের মধ্যেই সমতায় ফিরে নেপাল। গোলবার ছেড়ে কিছুটা এগিয়ে আসা গোলরক্ষক রুপনা চাকমার পক্ষে এই গোল আটকানো সম্ভব ছিলনা। ৬৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ এক শট নেন মারিয়া মান্ডা। দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দিয়ে নেপালকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আঞ্জিলা।

৭১ ও ৭৬ মিনিটে দুটি আক্রমণ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় নেপাল। তবে ম্যাচের দৃশপট পাল্টে যায় ৮১ মিনিটে। বামদিক থেকে খ্রো-ইন থেকে পাওয়া বলে ঋতুপর্নার অসাধারাণ কোনাকুনি শটটি স্বাগতিক গোলরক্ষকের পক্ষে আটকানো কঠিন ছিল।

স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শককে নিশ্চুপ করে দিয়ে বাংলাদেশ শিবির উল্লাসে ফেটে পড়ে। ইনজুরি টাইমের পাঁচ মিনিটে আর কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। এর মাধ্যমে টানা দ্বিতীয় আসরে সাফের শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখালো বাংলাদেশ।