ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ফখরুল

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে উদ্বেগ, সেই উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানাতে এসেছি। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। দেশে যেন এমন কোনও অবস্থা সৃষ্টি না হয় যেন বিভাজন সৃষ্টি না হয়।

জাতীয় ঐক্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা শান্তি-স্থিরতা বিনষ্ট করতে চাই তাদের প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এই কথাগুলো আমরা বলে এসেছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণ দুর্ভোগে রয়েছে, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে, এই বিষয়টি তাদের সামনে তুলে ধরেছি। টিসিবির ট্রাকগুলো বাড়ানোর কথা বলেছি। এলাকাভিত্তিক বাড়ানোর কথা বলেছি।

তিনি বলেন, যানবাহন চলাচল যেন নির্বিঘ্ন থাকে, সেটা বলেছি। সেই সঙ্গে কৃষিতে বিশেষ করে সার বিতরণের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো আছে সেই সমস্যাগুলো এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ক্ষেত্রে যারা জনগণের পক্ষে আছে তাদের এখানে নিয়ে আসা উচিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি নরমাল অ্যাক্টিভিটিজ যেটা আছে, সেটা যেন সেটা চালু থাকে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি না হয়। তারা যেন নিয়মিত বেতন পান সেজন্য সরকারকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আরেকটা বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বলেছি— ইউনিয়ন পরিষদ যেগুলো আছে সেগুলোর বেশিরভাগ ফ্যাসিস্ট সরকারের জোরজবরদস্তি নির্বাচনে তাদের মতো লোক নিয়ে বসিয়েছিল। যেহেতু সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এখন ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী নির্বাচন দিতে হবে।

ট্রেড বডি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ট্রেড বডিগুলো ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ট্রেড বডি করতে হবে। সামগ্রিকভাবে আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গঠন করার আহ্বান জানিয়েছি। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নির্বাচন সংস্কারগুলো সম্পূর্ণ করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

এর আগে বিকেলে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি শুরু হয়। বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ফখরুল

প্রকাশিত ০৯:৫৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

দেশের স্থিতিশীলতার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিনের কর্মকাণ্ড নিয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে উদ্বেগ, সেই উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানাতে এসেছি। আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। দেশে যেন এমন কোনও অবস্থা সৃষ্টি না হয় যেন বিভাজন সৃষ্টি না হয়।

জাতীয় ঐক্য এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় অথবা শান্তি-স্থিরতা বিনষ্ট করতে চাই তাদের প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের অবশ্যই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এই কথাগুলো আমরা বলে এসেছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণ দুর্ভোগে রয়েছে, বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়েছে, এই বিষয়টি তাদের সামনে তুলে ধরেছি। টিসিবির ট্রাকগুলো বাড়ানোর কথা বলেছি। এলাকাভিত্তিক বাড়ানোর কথা বলেছি।

তিনি বলেন, যানবাহন চলাচল যেন নির্বিঘ্ন থাকে, সেটা বলেছি। সেই সঙ্গে কৃষিতে বিশেষ করে সার বিতরণের ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো আছে সেই সমস্যাগুলো এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ক্ষেত্রে যারা জনগণের পক্ষে আছে তাদের এখানে নিয়ে আসা উচিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি নরমাল অ্যাক্টিভিটিজ যেটা আছে, সেটা যেন সেটা চালু থাকে। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি না হয়। তারা যেন নিয়মিত বেতন পান সেজন্য সরকারকে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা আরেকটা বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বলেছি— ইউনিয়ন পরিষদ যেগুলো আছে সেগুলোর বেশিরভাগ ফ্যাসিস্ট সরকারের জোরজবরদস্তি নির্বাচনে তাদের মতো লোক নিয়ে বসিয়েছিল। যেহেতু সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, এখন ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী নির্বাচন দিতে হবে।

ট্রেড বডি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ট্রেড বডিগুলো ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ট্রেড বডি করতে হবে। সামগ্রিকভাবে আমাদের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐক্য গঠন করার আহ্বান জানিয়েছি। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নির্বাচন সংস্কারগুলো সম্পূর্ণ করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।

এর আগে বিকেলে বিএনপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি শুরু হয়। বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।