ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

পান্থকুঞ্জ-হাতিরঝিল ধ্বংসের প্রকল্প বাতিল না হলে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা

রাজধানীতে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করা না হলে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলা হয়। ঢাকার হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাতিলের দাবিতে বাংলামোটরে বিআইপি সম্মেলনকক্ষে ৩১টি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের আয়োজনে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পান্থকুঞ্জ পার্ক হয়ে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ করা হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) উপদেষ্টা মুজিবুল হক হাওলাদার বলেন, ইতোমধ্যে অনেক প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সেগুলোর মতো এই প্রকল্পও বাতিল করা হবে বলে আমরা আশা করি।

সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যদি এখান থেকে উত্থাপিত দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে সচিবালয় পর্যন্ত যাওয়া হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, হাতিরঝিল এবং পান্থকুঞ্জ পার্কের মতো এলাকার পরিবেশগত গুরুত্ব বিবেচনা না করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ঢাকা শহরে সবুজ এলাকা ও জলাধার কমে যাওয়ায় নগরজীবন ইতোমধ্যেই হুমকির মুখে। এই প্রকল্প পরিবেশগত ভারসাম্য আরও নষ্ট করবে।

এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে যথাযথ পরিবেশ সমীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি, এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা টেকসই উন্নয়নের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রকল্পগুলো পরিবেশবান্ধব হিসেবে বাস্তবায়ন করা উচিত।

ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ (বিপিআই)-এর মুখপাত্র পরিবেশকর্মী শরীফ জামিল বলেন, কয়েকজনের ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের জন্য পান্থকুঞ্জের মতো জায়গা উজাড় করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মসূচির উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো পরিবেশবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রে ৩৫ দিন অবস্থান করতে হয়নি। এমনকি কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়েও তা হয়নি। এ রকম বিকারহীন সমাজব্যবস্থা হতে পারে না।

সংলাপে ঢাকা শহরের পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় গণপরিবহন কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণে জোর দেওয়া হয়। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক শায়ের গফুর ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিশেষ সম্পাদক পারভীন ইসলামসহ অন্যরা সংলাপে বক্তব্য দেন।

সভা শেষে সংগঠনগুলোর নেতারা পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থানরত বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টা তাদের সঙ্গে বসার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

রাজীব বলেন, পার্ক রক্ষার আন্দোলন করার কথা ছিল না। যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে বিগত সরকারের মতো পদদলিত করা হয়, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানে এত আত্মাহুতি কেন দেওয়া হয়েছিল?

তিনি বলেন, পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর ফাইভ স্টার হোটেলে সভা বন্ধ করতে হবে। দেশের পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

পান্থকুঞ্জ-হাতিরঝিল ধ্বংসের প্রকল্প বাতিল না হলে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা

প্রকাশিত ০১:৪২:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীতে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করা না হলে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলা হয়। ঢাকার হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাতিলের দাবিতে বাংলামোটরে বিআইপি সম্মেলনকক্ষে ৩১টি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের আয়োজনে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পান্থকুঞ্জ পার্ক হয়ে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ করা হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) উপদেষ্টা মুজিবুল হক হাওলাদার বলেন, ইতোমধ্যে অনেক প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সেগুলোর মতো এই প্রকল্পও বাতিল করা হবে বলে আমরা আশা করি।

সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যদি এখান থেকে উত্থাপিত দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে সচিবালয় পর্যন্ত যাওয়া হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, হাতিরঝিল এবং পান্থকুঞ্জ পার্কের মতো এলাকার পরিবেশগত গুরুত্ব বিবেচনা না করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ঢাকা শহরে সবুজ এলাকা ও জলাধার কমে যাওয়ায় নগরজীবন ইতোমধ্যেই হুমকির মুখে। এই প্রকল্প পরিবেশগত ভারসাম্য আরও নষ্ট করবে।

এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে যথাযথ পরিবেশ সমীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি, এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা টেকসই উন্নয়নের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রকল্পগুলো পরিবেশবান্ধব হিসেবে বাস্তবায়ন করা উচিত।

ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ (বিপিআই)-এর মুখপাত্র পরিবেশকর্মী শরীফ জামিল বলেন, কয়েকজনের ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের জন্য পান্থকুঞ্জের মতো জায়গা উজাড় করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মসূচির উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো পরিবেশবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রে ৩৫ দিন অবস্থান করতে হয়নি। এমনকি কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়েও তা হয়নি। এ রকম বিকারহীন সমাজব্যবস্থা হতে পারে না।

সংলাপে ঢাকা শহরের পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় গণপরিবহন কেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণে জোর দেওয়া হয়। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক শায়ের গফুর ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিশেষ সম্পাদক পারভীন ইসলামসহ অন্যরা সংলাপে বক্তব্য দেন।

সভা শেষে সংগঠনগুলোর নেতারা পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থানরত বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টা তাদের সঙ্গে বসার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

রাজীব বলেন, পার্ক রক্ষার আন্দোলন করার কথা ছিল না। যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে বিগত সরকারের মতো পদদলিত করা হয়, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানে এত আত্মাহুতি কেন দেওয়া হয়েছিল?

তিনি বলেন, পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর ফাইভ স্টার হোটেলে সভা বন্ধ করতে হবে। দেশের পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে।