কুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় দোষীদের বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে সমাবেশ করে।
এ সময় তারা, ‘কুয়েটে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ‘টেম্পু স্টান্ডের আস্তানা,ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই আহত কেন,প্রশাসন জবাব চাই’ ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা,ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘চাঁদবাজদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, ‘টেম্পু স্টান্ড না কলম, কলম কলম’ ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’ ‘আমরা আছি থাকবো, যুগে যুগে লড়বো’ ‘জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন’ ‘শান্তি -প্রগতি, ঐক্য- শিক্ষা’ ‘শিক্ষা সন্ত্রাস, একসাথে চলে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম, সহ-সভাপতি সাদিয়া মাহমুদ মিমসহ সংগঠনের ত্রিশোর্ধ নেতাকর্মী।
সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম বলেন, কুয়েটে সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার ভাইয়েরা আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে। ক্যাম্পাসে মহিলা কতসহ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলা প্রমাণ করে ২৪ এর ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের পরেও আমরা স্বাধীনতা পায়নি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই এই সন্ত্রাসী হামলা যারা পরিচালনা করেছে এবং যারা মদদ দিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।
সভাপতির মাহমুদুল হাসান বলেন, বিভিন্ন নিউজে আমরা দেখেছি আমাদের ভাইদের উপরে যে হামলা হয়েছে তার ছাত্রদলের, যুবদলের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে । আমরা পূর্বেও বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবির, ছাত্রদলের হাতে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি দেখেছি। এছাড়াও ছাত্রলীগ বিগত ১৬ বছরে ছাত্ররা যেটির নাম নিয়ে ছাত্র রাজনীতিকে যেভাবে কলুষিত করেছে এর দায়ভার কোন ভাবে এড়াতে পারে না। এদের দাড়ায় অপরাজনীতি ও অস্ত্রের রাজনীতি ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে। আমরা চাই না এই অস্ত্রের রাজনীতির কারণে কুয়েটের মত আর কোন ক্যাম্পাস বন্ধ হোক। অবশেষে কুয়েটে হামলার দোষীদের তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।
