মধ্যরাতে শাহবাগী বিরোধী মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বুধবার (১২ মার্চ) এর প্রথম প্রহরে ১:৪০ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে মিলিত হয়।
এসময় তারা শাহবাগীর গদিতে,আগুন জালাও একসাথে, “One Two Three Four, Shahbagh No More”, “ল তে লাকি… তুই হাসিনা তুই হাসিনা!”, ”শ তে শাহবাগী.. তুই হাসিনা তুই হাসিনা!”, “শাহবাগীরে শাহবাগী, লাকি তুই শাহবাগী”, “ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, লাকি তোর ফাঁসি চাই” “লাকি ধর বস্তায় ভর, নয়াদিল্লি পাচার কর”, “১৩ এর শাহবাগ—দুই বাংলার অভিশাপ” ইত্যাদি শ্লোগান দেন।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সমন্বয়ক মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, আমি গভারমেন্ট কে প্রশ্ন করতে চাই যে এই লাকির মত ফ্যাসিবাদ, এই লাকির মতো হাসিনার দোসর কিভাবে এখনো মুক্ত বাতাসে ঘোরাফেরা করছে? আমরা আজকের এই সমাবেশ থেকে এই লাকিদের মতো ফ্যাসিবাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
সহ-সমন্বয়ক এসকে সাজ্জাদ বলেন, এই শাহাবাগ শুধু কোন জায়গার নাম নয় এটি একটি বস্তা পচা চেতনার নাম। এই শাহবাগ থেকেই প্রথম মব উস্কে দেয়া হয়েছিল। আর এর গোড়াপত্তন করেছিলো লাকি আক্তারের মত শাহবাগীরা। দেশে ফ্যাসিবাদের উদ্ভব ঘটানো এই লাকি আক্তারদের বাংলাদেশে জায়গা হতে পারে না। সীমান্ত পাহারা দিতে বলেন, এই লাকি আক্তারেরা যেন ভারতে পালাতে না পারে। এদের বিচার বাংলাদেশে অবশ্যই করতে হবে।
আরেক সহ-সমন্বয়ক হাসানুল বান্না ওলী বলেন, শাহবাগ এমন একটি জায়গা যেখান থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে তৈরি হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ২০১৩ এর শাহেবাগের ঘটনা বাংলায় ২য় পলাশীর ঘটনা। পলাশীর আম্রকাননের ঘটনার পরে বাঙালির উপর ব্রিটিশরা ১৯০ বছরের গোলামীর জিঞ্জির চাপিয়েছিলো, এই শাহবাগের পরে খুনি হাসিনা তার ফ্যাসিস্ট রুপ ধারণ করে পরপর তিন তিনটি নির্বাচনে মানুষের অধিকারকে ঠিক সেইভাবে হত্যা করেছিলো। এই শাহবাগে যে লাকি আক্তার নেতৃত্ব দিয়েছিল সেই লাকি ২৪ এর পরের এই বাংলাদেশে কিভাবে ঢাকায় মিছিল করতে পারে। ইন্টারিমকে এর জবাব দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে লাকি আক্তারসহ শাহবাগের মূল হোতাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
