ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

শিরোনামহীনের কীবোর্ড যাদুকর: মাইদুল ইসলাম সাইমনের সংগীত যাত্রা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০:১০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • ৪৩ বার পঠিত

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সরল জীবন থেকে শুরু হয়ে আজ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের কীবোর্ডে বাজানো মাইদুল ইসলাম সাইমন। ছোটবেলা থেকেই সুর-সঙ্গীত তার প্রাণের সঙ্গে মিশে আছে। সঙ্গীত তার কাছে কখনো শুধু শখ ছিলো না, ছিল এক জীবনের পরিচয়।

সাইমনের সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুত বোঝা যায়, তার নিজস্ব এক রকম ধৈর্য আর পরিশ্রমের গল্প আছে, যা তাকে আজকের উচ্চতায় নিয়ে এসেছে। ভাইয়ের ডিভিডিতে দেখা এক পিয়ানোবাদকের অর্কেস্ট্রার ভিডিওই তাকে কীবোর্ড শেখার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। গিটার শেখার আগ্রহ ছিল বন্ধুদের দেখে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিয়ানোতেই পাগল হয়ে গেল সে।

নিজেকে ‘সেল্ফ টচট মিউজিশিয়ান’ বলতে ভালোবাসেন সাইমন।
“আমি কখনো কোনো গুরুর কাছে গিয়ে সিগন্যাল পাইনি, নিজেরাই চেষ্টা করে শিখেছি,” সে জানায়।

কলেজ জীবনে প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করে নিলেন। ২০১৩ সালে যোগ দিলেন চট্টগ্রামের ব্যান্ড মেট্রিক্যালের কীবোর্ডিস্ট হিসেবে। ২০১৫ সালে ‘ফিরে এসো’ গানটির সুর রচনা করে ব্যান্ডের জনপ্রিয়তাও বাড়িয়ে দিলেন। এরপর ‘গণতন্ত্রের ঘুড়ি’, ‘অনুভূতি যত’সহ আরও বেশ কিছু গানের সুর রচনা তারই প্রতিভার সাক্ষ্য।

বাংলাদেশের রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য পেয়ে তিনি আজও কৃতজ্ঞ। সাইমন জানান “বাচ্চু ভাই আমাকে ‘চকলেট বয়’ ডাকতেন, তার সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করে বাজানো ছিল জীবনের বড় পাওয়া,”

২০১৮ সালের শেষে যুক্ত হন শিরোনামহীনের সঙ্গে। ২০১৯ সালে ‘এই অবেলায়’ গান দিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা শিরোনামহীনের কীবোর্ডে। ‘ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে’, ‘কাশফুলের শহর দেখা’, ‘পারফিউম’— এসব গানেই তার সুরের ছোঁয়া স্পষ্ট।

শিরোনামহীনের ‘পারফিউম’, ‘দি অনলি হেডলাইনার’, ‘বাতিঘর’ অ্যালবামে কাজ করেছেন সাইমন। ‘বাতিঘর’ অ্যালবামের ‘মা’ গানের সুর রচনা তার কাছে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। যে গান যাইগা করে নিয়েছে লাখো ভক্তের মনে।

সাইমন বলেন, “ছোটবেলা থেকে যাদের গান শুনে বড় হয়েছি, আজ তাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করতে পারছি—এই ভাবনাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় খুশি। শিরোনামহীন মানেই নতুন কিছু, অন্যরকম কিছু। আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি, স্বপ্ন দেখি একদিন লন্ডনের রয়েল আলবার্ট হলে শিরোনামহীনের সঙ্গে পারফর্ম করব।”

এছাড়া ও সম্প্রতি মাইদুল ইসলাম সাইমন, JCI Signature Dhaka, এর ডিরেক্টর / পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
Junior Chamber International Bangladesh হলো বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী ও সক্রিয় যুব সংগঠন, যা ১৮–৪০ বছর বয়সী তরুণদের নেতৃত্ব ও দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করে।

এই তরুণ মিউজিশিয়ানটির গল্প শুধু সঙ্গীত নয়, তা স্বপ্ন দেখার, পরিশ্রমের ও সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যা আগামী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

শিরোনামহীনের কীবোর্ড যাদুকর: মাইদুল ইসলাম সাইমনের সংগীত যাত্রা

প্রকাশিত ১০:১০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সরল জীবন থেকে শুরু হয়ে আজ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের কীবোর্ডে বাজানো মাইদুল ইসলাম সাইমন। ছোটবেলা থেকেই সুর-সঙ্গীত তার প্রাণের সঙ্গে মিশে আছে। সঙ্গীত তার কাছে কখনো শুধু শখ ছিলো না, ছিল এক জীবনের পরিচয়।

সাইমনের সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুত বোঝা যায়, তার নিজস্ব এক রকম ধৈর্য আর পরিশ্রমের গল্প আছে, যা তাকে আজকের উচ্চতায় নিয়ে এসেছে। ভাইয়ের ডিভিডিতে দেখা এক পিয়ানোবাদকের অর্কেস্ট্রার ভিডিওই তাকে কীবোর্ড শেখার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। গিটার শেখার আগ্রহ ছিল বন্ধুদের দেখে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিয়ানোতেই পাগল হয়ে গেল সে।

নিজেকে ‘সেল্ফ টচট মিউজিশিয়ান’ বলতে ভালোবাসেন সাইমন।
“আমি কখনো কোনো গুরুর কাছে গিয়ে সিগন্যাল পাইনি, নিজেরাই চেষ্টা করে শিখেছি,” সে জানায়।

কলেজ জীবনে প্রথম বন্ধুদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করে নিলেন। ২০১৩ সালে যোগ দিলেন চট্টগ্রামের ব্যান্ড মেট্রিক্যালের কীবোর্ডিস্ট হিসেবে। ২০১৫ সালে ‘ফিরে এসো’ গানটির সুর রচনা করে ব্যান্ডের জনপ্রিয়তাও বাড়িয়ে দিলেন। এরপর ‘গণতন্ত্রের ঘুড়ি’, ‘অনুভূতি যত’সহ আরও বেশ কিছু গানের সুর রচনা তারই প্রতিভার সাক্ষ্য।

বাংলাদেশের রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য পেয়ে তিনি আজও কৃতজ্ঞ। সাইমন জানান “বাচ্চু ভাই আমাকে ‘চকলেট বয়’ ডাকতেন, তার সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করে বাজানো ছিল জীবনের বড় পাওয়া,”

২০১৮ সালের শেষে যুক্ত হন শিরোনামহীনের সঙ্গে। ২০১৯ সালে ‘এই অবেলায়’ গান দিয়ে শুরু হয় তার যাত্রা শিরোনামহীনের কীবোর্ডে। ‘ক্যাফেটেরিয়া পেরিয়ে’, ‘কাশফুলের শহর দেখা’, ‘পারফিউম’— এসব গানেই তার সুরের ছোঁয়া স্পষ্ট।

শিরোনামহীনের ‘পারফিউম’, ‘দি অনলি হেডলাইনার’, ‘বাতিঘর’ অ্যালবামে কাজ করেছেন সাইমন। ‘বাতিঘর’ অ্যালবামের ‘মা’ গানের সুর রচনা তার কাছে বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। যে গান যাইগা করে নিয়েছে লাখো ভক্তের মনে।

সাইমন বলেন, “ছোটবেলা থেকে যাদের গান শুনে বড় হয়েছি, আজ তাদের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করতে পারছি—এই ভাবনাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় খুশি। শিরোনামহীন মানেই নতুন কিছু, অন্যরকম কিছু। আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ পছন্দ করি, স্বপ্ন দেখি একদিন লন্ডনের রয়েল আলবার্ট হলে শিরোনামহীনের সঙ্গে পারফর্ম করব।”

এছাড়া ও সম্প্রতি মাইদুল ইসলাম সাইমন, JCI Signature Dhaka, এর ডিরেক্টর / পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
Junior Chamber International Bangladesh হলো বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী ও সক্রিয় যুব সংগঠন, যা ১৮–৪০ বছর বয়সী তরুণদের নেতৃত্ব ও দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে সামাজিক ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করে।

এই তরুণ মিউজিশিয়ানটির গল্প শুধু সঙ্গীত নয়, তা স্বপ্ন দেখার, পরিশ্রমের ও সৃজনশীলতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যা আগামী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।