জাতীয় বক্সিং (নারী) চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয়ী ক্লাবের কোচ ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী মোঃ সামিউল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণিতে তিন রাউন্ডের সবকটিতেই আনসারের আফরাকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতে নেন ‘গুড উইল বক্সিং’ ক্লাবের সদস্য জিনাত ফেরদৌস। এ বিজয়ী দলের কোচ ছিলেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম।
বিজয়ী দলের কোচ হিসেবে অনুভূতির বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ সামিউল ইসলাম বলেন,
এ প্লাটফর্মে কাজ করতে গিয়ে নতুন নতুন অনেক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। একটা জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়াড়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করেছি। তাদের চলাফেরা চিন্তাভাবনা অনেক পার্থক্য লক্ষ্য করেছি। আমার ইচ্ছা অনার্স শেষ করে বাইরের দেশে গিয়ে বক্সিংয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা এবং পুনরায় দেশে ফিরে দেশের বক্সিংকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়া। আমার চিন্তা দেশের বক্সিংকে কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক বড় বড় কাজ করা। কিন্তু দেশের মাটিতে থেকে এ কাজ করাটা অনেক কঠিন। তাই বাইরের দেশে গিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের বক্সিংকে উন্নত করতে চাই। এর আগে আমি গত ছয় বছর ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বক্সিং কোচ হিসেবে ইউনিট লেভেলে কাজ করেছি এবং সফল হয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি বক্সিং ফেডারেশন ক্যাম্পকে, আমাকে সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, নরসিংদীর হয়ে অংশগ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিন্নাত ফেরদৌস। তিনি ২৭ বছর বয়সে বক্সিং শুরু করেন। তাঁর স্বামী মালেশিয়ান প্রবাসী বক্সার। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি বক্সিংয়ে আসেন। এটি দেশের মাটিতে জাতীয় পর্যায়ে তাঁর প্রথম অর্জন।তিনি সাতটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পাঁচটিতে পদক অর্জন করেন।
