দিনের যাত্রা শুরু হয় সকালের নাস্তা থেকে। এই খাবার থেকেই শরীরে সারাদিনের শক্তি ও পুষ্টি সরবরাহ হয় যা সারাদিন রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে। তাই সকলের নাস্তার বিষয়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই সকালের খাবার অবহেলা করেন। কিন্তু এটা মোটেও করা যাবে না। এতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম নষ্ট হয়ে নানান রোগ ব্যাধী বাসা বাঁধতে পারে। তাই এসময় ভারী নাস্তা বা অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার না খেয়ে পুষ্টিকর খাবারকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
যেহেতু আমরা বেশিরভাগ মানুষ কোন ধরনের কায়িক পরিশ্রম করি না তাই সকালের হেলদি নাস্তায় প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর শর্করা এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন – ডিম, ওটস, রুটি, ফল, সবজি এবং দই এগুলো থাকা উচিত। সারাদিনের শক্তি পেতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালের নাস্তা বাদ না দিয়ে দিনের প্রথম ভাগেই একটি পুষ্টিকর নাস্তা গ্রহণ করা খুবই জরুরি।
সকালের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর খাবার
লাল আটার রুটি
সকালের নাস্তার জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হচ্ছে রুটি। তবে এক্ষেত্রে গমের লাল (বাদামী) আবরণসহ আটা দিয়ে তৈরি রুটি বেছে নিতে হবে। কারন এতে রয়েছে উচ্চ ফাইবার, প্রোটিন, বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা ওজন নিয়ন্ত্রণে বেশ সাহায্য করে। এছাড়া ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, পাশাপাশি হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রুটির সাখে সবজি, ডিম অথবা ঝোলের তরকারি কিংবা কলা খাওয়া যেতে পারে।
সবজি খিচুরি
অনেকেই সকালে ভাত ছাড়া অন্যকিছু খেতে পছন্দ করেন না। তারা ভাতের পরিবর্তে সকালের নাস্তায় খিচুরি খেতে পারেন। তবে অবশ্যই সবজি খিচুরি বেছে নিতে হবে। এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার। চাল ও ডালের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সবজি যোগ করলে এটি আরও বেশি পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয়। এটি হজম করা সহজ, তাই সকালের নাস্তার জন্য বেশ উপযোগী।
ডিম
ডিমকে বলা হয় সুপারফুড। প্রত্যেকটা মানুষের দিনে একটা করে ডিম খাওয়া উচিত। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও মিনারেল। এছাড়া প্রোটিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো ডিম। সব বয়সী মানুষের পেশীর বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডিম অপরিহার্য। এর কুসুমে থাকা লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখ, ত্বক ও কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ওটমিল
ওটমিল হলো ওটস শস্য থেকে তৈরি উচ্চ ফাইবারযুক্ত একটি খাবার, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। যে কোন বয়সী মানুষের কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে, এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে এটি বেশ কার্যকর। বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের ফলের সাখে মিশিয়ে খেলে এর পুষ্টিগুণ যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি খেতেও বেশ সুস্বাদু লাগে।
টকদই
যদিওবা বেশিরভাগ মানুষ সকালের নাস্তায় টকদই খেতে চাইবে না কিন্তু এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও প্রোবায়োটিক যা হজমে সাহায্য করে এবং হাড় শক্তিশালী করে। দইয়ের সাথে ফল, ওটস বা চিড়া মিশিয়ে খেলে এটি আরও পুষ্টিকর হয় এবং দিনের শুরুতে শক্তি যোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকের খালি পেটে বা রাতে দই খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে, তাই এমন কিছু হলে হালকা খাবারের পর টকদই খাওয় যেতে পারে।






















