ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo বাঁধন জবি ইউনিটের সভাপতি ওজিল, সম্পাদক লিশা Logo জুব্বা-টুপিতে মুক্তিযোদ্ধার কবর জিয়ারত করায় ইবি শিক্ষার্থীকে হেনস্থা আ.লীগ কর্মীর Logo হাবিপ্রবিতে আন্তঃঅনুষদীয় ভলিবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বিজ্ঞান অনুষদ Logo বিজয় দিবসে জাবি ছাত্রদলের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ Logo ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে মাদক সমস্যার সমাধান চায় বিএনপি: ইশরাক হোসেন Logo শিবচরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন Logo জাবির জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের নতুন কমিটি ঘোষণা: সভাপতি সীমান্ত, সম্পাদক ইসুমনি Logo মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাকসুর বিজয় মিছিল ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনী Logo ইবির আইন বিভাগের আয়োজনে বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত Logo আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে ইবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল

  • রায়হান আহমদ
  • প্রকাশিত ০৪:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ৫৩ বার পঠিত

হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, ধর্ষণ, গাজীপুরের টিএনটি এলাকার মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুহিবুল্লাহ মাদানীকে অপহরণ, চট্টগ্রামে আলিফ হত্যাসহ ইসকনের সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ইসকনকে যবিপ্রবিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর পৌনে দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ-মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের নিচে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, “নারায়ে তাকবির- আল্লাহ আকবর”, “অ্যাকশন অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন”, “হিন্দুত্ববাদি ইসকনের এই বাংলায় ঠাঁই নায়”, “আবু সাঈদের বাংলায়-ইসকনের ঠাঁই নাই”, “তিতুমিরের বাংলায়-ইসকনের ঠাঁই নাই”, “শাহজালালের বাংলায়-ইসকনের ঠাঁই নাই”, “ইসকন জঙ্গি-স্বৈরাচারের সঙ্গি”, “ইসকন হটাও-বাচাও দেশ”, “অপহরণ ধর্ষণ-ইস্কন ইস্কন” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী জালিস মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠতা হওয়া সত্বেও আজ আমরা নিজ মাতৃভূমিতে বঞ্চিত, অপমানিত, নির্যাতিত, ও নিপীড়িত। টঙ্গী গাজীপুরে এক মসজিদের ইমাম ইসলামের কথা বলায়, ইসকন কর্তৃক অপহৃত হন। যারা ইসকনের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের সাহায্য করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমাদের দেশের মেয়েরা এবং শিশুরা ইসকন কর্তৃক গুম ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। প্রশাসন ইসকনের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা যবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে ইসকন নিষিদ্ধদের দাবি জানাচ্ছি।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসিন আরাফাত বলেন, এই রাষ্ট্র যদি আমাদের ইসকনের মতো সংগঠন থেকে নিরাপত্তা দিতে না পারে, তবে এমন রাষ্ট্র ও আইনের প্রয়োজন নেই। ইসকন নামের সংগঠনটি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি অমিত সাহাকে রক্ষা করেছে, সিলেটে মসজিদে গুলি চালিয়েছে এবং ইমাম হত্যার মতো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থেকেও পার পেয়েছে। আওয়ামী আমলে তারা ফ্যাসিবাদের অংশে পরিণত হয়েছে।

তাদের হাতে শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও ভূমি দখলের ঘটনা বেড়েই চলেছে। মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে, আর পুলিশ এসবকে ‘প্রেমের কাহিনি’ বলে আড়াল করছে। সম্প্রতি বুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী শীশান্ত রয় এক মুসলিম নারী শিক্ষার্থীকে মাদক সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমরা সারাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

জনপ্রিয়

বাঁধন জবি ইউনিটের সভাপতি ওজিল, সম্পাদক লিশা

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত ০৪:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

হিন্দুত্ববাদী চক্র কর্তৃক মুসলিম নারীদের সম্ভ্রম নষ্ট, ধর্ষণ, গাজীপুরের টিএনটি এলাকার মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুহিবুল্লাহ মাদানীকে অপহরণ, চট্টগ্রামে আলিফ হত্যাসহ ইসকনের সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ইসকনকে যবিপ্রবিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর পৌনে দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ-মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের নিচে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, “নারায়ে তাকবির- আল্লাহ আকবর”, “অ্যাকশন অ্যাকশন-ডাইরেক্ট অ্যাকশন”, “হিন্দুত্ববাদি ইসকনের এই বাংলায় ঠাঁই নায়”, “আবু সাঈদের বাংলায়-ইসকনের ঠাঁই নাই”, “তিতুমিরের বাংলায়-ইসকনের ঠাঁই নাই”, “শাহজালালের বাংলায়-ইসকনের ঠাঁই নাই”, “ইসকন জঙ্গি-স্বৈরাচারের সঙ্গি”, “ইসকন হটাও-বাচাও দেশ”, “অপহরণ ধর্ষণ-ইস্কন ইস্কন” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী জালিস মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠতা হওয়া সত্বেও আজ আমরা নিজ মাতৃভূমিতে বঞ্চিত, অপমানিত, নির্যাতিত, ও নিপীড়িত। টঙ্গী গাজীপুরে এক মসজিদের ইমাম ইসলামের কথা বলায়, ইসকন কর্তৃক অপহৃত হন। যারা ইসকনের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের সাহায্য করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমাদের দেশের মেয়েরা এবং শিশুরা ইসকন কর্তৃক গুম ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। প্রশাসন ইসকনের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা যবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে ইসকন নিষিদ্ধদের দাবি জানাচ্ছি।

কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসিন আরাফাত বলেন, এই রাষ্ট্র যদি আমাদের ইসকনের মতো সংগঠন থেকে নিরাপত্তা দিতে না পারে, তবে এমন রাষ্ট্র ও আইনের প্রয়োজন নেই। ইসকন নামের সংগঠনটি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি অমিত সাহাকে রক্ষা করেছে, সিলেটে মসজিদে গুলি চালিয়েছে এবং ইমাম হত্যার মতো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থেকেও পার পেয়েছে। আওয়ামী আমলে তারা ফ্যাসিবাদের অংশে পরিণত হয়েছে।

তাদের হাতে শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও ভূমি দখলের ঘটনা বেড়েই চলেছে। মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করা হচ্ছে, আর পুলিশ এসবকে ‘প্রেমের কাহিনি’ বলে আড়াল করছে। সম্প্রতি বুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী শীশান্ত রয় এক মুসলিম নারী শিক্ষার্থীকে মাদক সেবন করিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমরা সারাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।