ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, ‘মায়ের দায়িত্ব যেমন সন্তানের সেবা করা তেমনই অ্যালামনাইদের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের সেবা করা। বর্তমান ছাত্রের দায়িত্ব হবে এই বিশ্বিবদ্যালয়কে নতুন করে গড়ে তোলা।’
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে দিনব্যাপী গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় সহস্রাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী সপরিবারে অংশগ্রহণ করেন।
উপাচার্য আরো বলেন, ‘যারা অ্যালামনাই আছেন তাদের কর্তব্য এসোসিয়েশনের মাধ্যমে অস্বচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফান্ড গঠন করা। অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নেওয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখা।”
এদিন অনুষ্ঠানে এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক নাজমুল হক সাঈদীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মনজারুল আলম, ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল-মামুনসহ অন্যান্য অতিথি উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান।
আরবি বিভাগের ১৯৯৬-৯৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মজনু বলেন, দীর্ঘদিন পরে এরকম মিলন মেলায় আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। পূর্বের স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। আমি আমার পরিবারকে নিয়ে আসছি। পরিবার ছাড়া এসব প্রোগ্রামে এসে আসলে আনন্দ হয় না, আমি সব সময় পরিবার নিয়েই আসি। আজকে আমাদের ঈদের দিনের মত লাগছে। বরং তার চেয়েও বেশি। আমরা চাই এরকম আয়োজন নিয়মিত হোক।
অনূভুতি প্রকাশ করে দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০০৬-০৭ সেশনের ছাত্রী নাসরিন নাহার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ দশ বছর পরে ক্যাম্পাসে এসে খুবই ভালো লাগছে। আমরা এখানে পড়াশোনা করে গেছি। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে । অনেক নতুন নতুন স্থাপনা হয়েছে যেগুলো আমাদের সময় ছিল না। আমি আমার ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে আসছি। তাদেরকে আমার ক্যাম্পাস দেখাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব আবদুল হাই বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতিতে, অগ্রগতিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করবে। আমরা সবাইকে আহ্বান করতে চাই, আসুন এক কাতারে মিলিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজ করি।
উল্লেখ্য, এদিন কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির শুরু করা হয়। পরে ধারাবাহিকভাবে অতিথিদেরকে বরণ, স্বাগত বক্তব্য, এ্যালামনাইদের স্মৃতিচারণ, অ্যালামনাই ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, কৃতি অ্যালামনাইদের সংবর্ধনা ‘মিলনমেলা স্মরণিকা’র মোড়ক উন্মোচন, এ্যালামনাইদের সন্তানদের খেলাধূলা, মধ্যাহ্ন ভোজ, পুরস্কার বিতরণ, রেজিস্ট্রার্ড এ্যালামনাইদের উপহার প্রদান এবং সবশেষে ব্যতিক্রম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জোটের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজন শেষ হয়।
