ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভিসির কার্যালয়ে রেজিস্টার পদে নিয়োগ নিয়ে তুমুল হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রোক্টরিয়াল বডি এবং প্রো-ভিসির মধ্যে বাকবিতন্ডা এবং সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধাদানের অভিযোগ এসেছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুর ১ টার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে ভিসির কার্যালয় এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, প্রশাসনের বিভিন্ন পদ থেকে ফ্যাসিস্টদের অপচরণের দাবি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিতের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের সাথে এসে যোগ দেয়। এর একপর্যায়ে প্রো-ভিসির সাথে ভিসির কার্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রদল কর্তৃক সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা প্রদান করা হয় বলে অভিযোগ করেন কর্তব্যরত সাংবাদিকরা।
কার্যালয়ের ভিতরে প্রক্টরিয়াল বডি এবং প্রো-ভিসির মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে হট্টগোলের আওয়াজ শুনে ছাত্রদলের বাঁধা উপেক্ষা করে ভিতরে প্রবেশ করে সাংবাদিক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ । এসময় বৈষম্য বিরোধীরা ঘটনার তদন্ত ও প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক পারভেজ বলেন, “এ পরিবেশটা তৈরি করছে শাহেদ আর মিথুন। ছাত্রদলের একাংশের পক্ষ থেকে আমি বলছি, এর সূত্রপাত কেন হলো এর যথার্থ বিচার করতে হবে। প্রক্টর এবং সহকারী প্রক্টর নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে । কি ঘটেছে সাংবাদিকরা যদি থাকতো তাহলে ভালো বলতে পারত কিন্তু সাংবাদিকদের বের করে দেয়া হয়েছে।”
ছাত্রদল সভাপতি শাহেদ আহমেদের বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন দেয়া হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আমরা দেখেছি ছাত্রলীগ ভিসির কার্যালয়ে এসে পদ ভাগাভাগি করতো। নিজেকে জিম্মি করে বিভিন্ন স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করতো। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এসে এরকম কিছু ঘটুক আমরা চাই না।
এদিকে বাকবিতন্ডার মাঝে প্রক্টরকে প্রো-ভিসি জামাত বলেন বলে অভিযোগ করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান। পরবর্তীতে তিনি বলেন “এটা শিক্ষকদের মধ্যেকার ঘটনা, আমরা নিজেরা মিমাংসা করে নিবো।”
প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, “ভিসি আমাকে অফিসে ডেকেছেন বলে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে একজন সাধারণ শিক্ষক আমার কথায় বাধা দিয়েছে ও তেড়ে এসেছে। মাননীয় ভিসি একটিবারও তাকে বাধা দেয়নি। তিনি আমাকে বলেছেন আমি তোমাকে প্রো-ভিসি বানিয়েছি। আমিও বলেছি, আমি আপনাকে বানিয়েছি। আপনার রুমে আমাকে সাধারণ একজন শিক্ষক অপমান করেছে। ভিসি হিসেবে আপনি যদি ব্যবস্থা নিতে না পারেন তাহলে আমি অন্যভাবে ব্যবস্থা নিবো।
ভিসি প্রফেসর ড. নকীব মুহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষকদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শিক্ষকেরা পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করে এর আপস মীমাংসা করে নিবো।
