মাহে রমজানের উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক এক গণ-ইফতার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) আসরের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৭০০ শিক্ষার্থী গণ-ইফতার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় রোজাদারদের মাঝে খাবারের প্যাকেট এবং ইফতার-সেহরির সময় সংযুক্ত ক্যালেন্ডার বিতরণ করা হয়।
গণ-ইফতারের এই আয়োজন উপলক্ষে ছাত্রদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠ ও ছাত্রীদের জন্য আয়েশা সিদ্দিকা রা: হলের সামনে ইফতার বিতরণ করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে উপস্থিত হতে থাকেন।
শাখা ছাত্রশিবিরের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যারা হলে থেকে পড়াশুনা করি। তাদের জন্য ইফতারের আয়োজন করাটা খুব কষ্ট হয়ে যায়। ছাত্রশিবিরের এমন আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র, সিনিয়র একটা মজমায় বসে একসাথে এভাবে ইফতার করতে পারছি এটা খুবই ভালো লাগছে।
ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে সাওমের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাফি। আলোচনায় তিনি বলেন, রমজান মাস তাকওয়া অর্জনের মাস। আর এ তাকওয়া অর্জনের অন্যতম উপায় হলো আমাদের আচরণকে সুন্দর করা। আমরা যদি অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করতে ব্যর্থ হই তাহলে আমরা তাকওয়াবান হতে পারবো না। এছাড়া এ মাসে আল্লাহ তা’য়ালা একটি রাতের কথা ঘোষণা দিয়েছেন যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আমরা যেন কোনোভাবেই সে রাতকে হাতছাড়া না করি তার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন,“আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে একটা মেসেজ পৌঁছাতে চাই যে, বিভিন্ন মিডিয়ার অপপ্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।এই ধরনের কর্মসূচি গুলোর মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে আসুন, আমাদেরকে জানুন। তারপর আমাদের সম্পর্কে মন্তব্য করুন। আমাদের কোন ভুল পেলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করিয়ে ভুলগুলো ধরিয়ে দেন। আমরা তা সাদরে গ্রহণ করবো ও শুধরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব। আর আমাদের প্রতি যদি কোন পরামর্শ থাকে সেগুলা আমাদেরকে দিবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।”
