ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সোমবার (১০ মার্চ) ৯ রমজান বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এই আয়োজন করে সংগঠনটি।
এসময় শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ইবিসাস) সভাপতি তাজমুল জায়িম, সাধারণ সম্পাদক রাকিব মিয়া রিফাত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির আহ্বায়ক ফারহানা নওশীন তিতলী, সদস্য সচিব সাকিব আসলামসহ তিনটি সাংবাদিক সংগঠনের পঞ্চাশোর্ধ সাংবাদিক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইবি শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি ইউসুব আলী।
আয়োজনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান। এসময় তিনি বলেন, ছাত্রশিবির সবসময় যুক্তিনির্ভর কথা বলে। কথায় আছে, ‘মগজ না থাকলে মেজাজ দেখাতে হয়’ আমরা মগজ খাটিয়ে বিজয় অর্জন করতে চাই। শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারাদেশে শিবির তাদের কাজের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করবে ইনশাআল্লাহ।
কর্মীদের ফেসবুকে মন্তব্য সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ ভাইসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে বলে দিয়েছি, কোন পোস্ট বা মন্তব্য যদি আপনাদের কাছে বিতর্কিত মনে হয় আমাকে স্ক্রিনশট পাঠাবেন, আমরা তার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবো। আর আমি যদি অন্যরা সংগঠনকে স্ক্রিনশট পাঠানো শুরু করি তো প্রতিদিন এক-দেড়শ স্ক্রিনশট ই পাঠাতে হবে। এতে আমার দৈনন্দিন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে। তাই আমি এই কাজ করি না।
শিবির গুপ্ত সংগঠন কিনা এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে এত বড় প্রকাশনা উৎসব কি ছাত্রশিবির ছাড়া আর কেউ করেছে? ২০০০ শিক্ষার্থীকে কুরআন বিতরণ করা এটা কি ছাত্রশিবির ছাড়া আর কেউ কি করেছে? শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রকল্প উদ্বোধন করার কাজ কি ছাত্রশিবির ছাড়া আর কেউ করেছে? বিজ্ঞান উৎসব করা, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করা এ কাজগুলো তো ছাত্রশিবিরই করেছে। আপনারা দেখেছেন আমারা ক্যাম্পাসের সকল সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের কে নিয়ে ইফতার করেছি, আমরা ১৭০০ শিক্ষার্থীকে ইফতার করিয়েছি, আজকে সাংবাদিকদের নিয়ে বসেছি, সামনে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে বসবো। এরকম নানান প্রোগ্রাম দিয়ে আমাদের সারা বছর সাজানো আছে। আর এই প্রোগ্রামগুলো আমরা ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যেই করছি। এগুলো কি এটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট না যে ছাত্রশিবির গুপ্ত সংগঠন না।
