ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায় Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন

বিএসসি প্রকৌশলীদের তিন দফা দাবিতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল

  • রায়হান আহমদ
  • প্রকাশিত ০৭:৫২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭ বার পঠিত

ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের নৈরাজ্য বন্ধ, বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসন এবং তিন দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা ।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিলটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে যবিপ্রবির বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা “যোগ্যতার মূল্যায়ন চাই, উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি চাই”, উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে অবিচার, এবার চাই ন্যায়বিচার”, “ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চাই মেধার জয়, বৈষম্যের হবে পরাজয়”, “আমাদের অঙ্গীকার , প্রকৌশলীর অধিকার”, “প্রকৌশলীর সকল পদ, শুধুই প্রকৌশলীদের অধিকার”, “কোটার নামে অবিচার, চলবে না, চলবে না”, ” উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে ন্যায় চাই, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের অধিকার চাই”, “এ মুহুর্তে দরকার প্রকৌশল খাতের সংস্কার”, “মেধার মর্যাদা রক্ষা করো, রক্ষা করো”, “কোটার নামে অবিচার, বন্ধ করো, বন্ধ করো”, “চাকরির বাজার মুক্ত চাই, কোটার নামে শোষণ নাই” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

সমাবেশে উত্তাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো, ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেয়া যাবে না। টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষ থেকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলমান সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে বিএসসি প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। জুলাই আন্দোলন হয়েছিল কোটা নামক বৈষম্য দূর করার জন্য, আর সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী নতুন বাংলাদেশে আবার কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি করে দেশকে মেধাহীন করার পায়তারা করছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। ডিপ্লোমারা অনার্সের লেভেলের চেয়েও কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোটার মাধ্যমে সরাসরি ১০ম গ্রেডে চাকরি করছে। এবং সেখান থেকে ৩৩-৭০ শতাংশ কোটায় ৯ম গ্রেডে প্রমোশন বাগিয়ে নিচ্ছেন।

সমাবেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন মোঃ আমজাদ হোসেন ড. ইঞ্জি. বলেন, যেসকল শিক্ষার্থীরা এখানে আন্দোলন করছে তাদের সাথে আমি একমত প্রকাশ করছি। ১০ম গ্রেডে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চাকরীর সুযোগ করে দিতে হবে। কারন বিএসসি ইঞ্জিনিয়া্ররা অবশ্যই এর যোগ্য প্রার্থী। এছাড়া ৯ম গ্রেডে প্রমোশন না দিয়ে পরিক্ষার ভিত্তিতে মেধার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।

জনপ্রিয়

পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন

বিএসসি প্রকৌশলীদের তিন দফা দাবিতে যবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল

প্রকাশিত ০৭:৫২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের নৈরাজ্য বন্ধ, বিএসসি প্রকৌশলীদের প্রতি বৈষম্য নিরসন এবং তিন দফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীরা ।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিক্ষোভ মিছিলটি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে যবিপ্রবির বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা “যোগ্যতার মূল্যায়ন চাই, উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে বিএসসি চাই”, উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে অবিচার, এবার চাই ন্যায়বিচার”, “ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চাই মেধার জয়, বৈষম্যের হবে পরাজয়”, “আমাদের অঙ্গীকার , প্রকৌশলীর অধিকার”, “প্রকৌশলীর সকল পদ, শুধুই প্রকৌশলীদের অধিকার”, “কোটার নামে অবিচার, চলবে না, চলবে না”, ” উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে ন্যায় চাই, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের অধিকার চাই”, “এ মুহুর্তে দরকার প্রকৌশল খাতের সংস্কার”, “মেধার মর্যাদা রক্ষা করো, রক্ষা করো”, “কোটার নামে অবিচার, বন্ধ করো, বন্ধ করো”, “চাকরির বাজার মুক্ত চাই, কোটার নামে শোষণ নাই” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

সমাবেশে উত্তাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো, ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেডে সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামেও সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেয়া যাবে না। টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীকে পরীক্ষার সুযোগ দিতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া কেউ ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহার করতে পারবেনা, এই মর্মে আইন পাশ করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষ থেকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলমান সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে বিএসসি প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। জুলাই আন্দোলন হয়েছিল কোটা নামক বৈষম্য দূর করার জন্য, আর সেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী নতুন বাংলাদেশে আবার কোটার মাধ্যমে বৈষম্য সৃষ্টি করে দেশকে মেধাহীন করার পায়তারা করছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। ডিপ্লোমারা অনার্সের লেভেলের চেয়েও কম শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কোটার মাধ্যমে সরাসরি ১০ম গ্রেডে চাকরি করছে। এবং সেখান থেকে ৩৩-৭০ শতাংশ কোটায় ৯ম গ্রেডে প্রমোশন বাগিয়ে নিচ্ছেন।

সমাবেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডীন মোঃ আমজাদ হোসেন ড. ইঞ্জি. বলেন, যেসকল শিক্ষার্থীরা এখানে আন্দোলন করছে তাদের সাথে আমি একমত প্রকাশ করছি। ১০ম গ্রেডে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চাকরীর সুযোগ করে দিতে হবে। কারন বিএসসি ইঞ্জিনিয়া্ররা অবশ্যই এর যোগ্য প্রার্থী। এছাড়া ৯ম গ্রেডে প্রমোশন না দিয়ে পরিক্ষার ভিত্তিতে মেধার মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে।