ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

যুদ্ধ বন্ধের শর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল সৌদি আরব

গাজায় বর্বর হামলার মধ্যেই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে গোপন আলোচনা করেছিল সৌদি আরব। যদিও দেশটি শর্ত দিয়েছিল, গাজায় যদি যুদ্ধ বন্ধ হয় তাহলেই তারা এ পথে এগোবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে গত বছরের (২০২৪) মাঝামাঝি সময়ে এ চেষ্টা হয়।

ওই সময় আশা করা হয়েছিল, সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলে নেতানিয়াহু স্থায়ীভাবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইবে।

নেতানিয়াহু প্রাথমিক অবস্থায় এতে সায়-ও দিয়েছিলেন এবং মে মাসে তিনি যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব সামনে এনেছিলেন। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি গাজা যুদ্ধবিরতিতে নতুন শর্ত আরোপ করেন। এতে করে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনাটি শেষ হয়ে যায়।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক গড়ার নতুন প্রচেষ্টা শুরু হয় ২০২৪ সালের ১৮ মে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান সৌদি আরবের দাম্মামে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন।

ওই সময়ে দখলদার ইসরায়েলের প্রতি আরব রাষ্ট্রগুলো অনেক বেশি ক্ষুব্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও সুলিভানের সঙ্গে বৈঠকে আসেন প্রিন্স সালমান। তিনি ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথাও বলেন । তবে শর্ত দেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার পথের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

এরপর ১৯ মে সুলিভান ইসরায়েলে যান এবং নেতানিয়াহুকে প্রিন্স সালমানের বার্তা পৌঁছে দেন।

এরও পরে ২৭ মে দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। যার চারদিন পর জো বাইডেন প্রকাশ্যে ওই যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাবের ঘোষণা দেন। কিন্তু দখলদার ইসরায়েল স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় হামাস এতে রাজি হয়নি।

ওই সময় সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক না হলেও দখলদার ইসরায়েল তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর অংশ হিসেবে নিজের মন্ত্রীকে গোপনে আরব আমিরাতে পাঠিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

যুদ্ধ বন্ধের শর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চেয়েছিল সৌদি আরব

প্রকাশিত ১১:০৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

গাজায় বর্বর হামলার মধ্যেই দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে গোপন আলোচনা করেছিল সৌদি আরব। যদিও দেশটি শর্ত দিয়েছিল, গাজায় যদি যুদ্ধ বন্ধ হয় তাহলেই তারা এ পথে এগোবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে গত বছরের (২০২৪) মাঝামাঝি সময়ে এ চেষ্টা হয়।

ওই সময় আশা করা হয়েছিল, সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলে নেতানিয়াহু স্থায়ীভাবে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইবে।

নেতানিয়াহু প্রাথমিক অবস্থায় এতে সায়-ও দিয়েছিলেন এবং মে মাসে তিনি যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব সামনে এনেছিলেন। কিন্তু জুলাইয়ের শেষ দিকে তিনি গাজা যুদ্ধবিরতিতে নতুন শর্ত আরোপ করেন। এতে করে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনাটি শেষ হয়ে যায়।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক গড়ার নতুন প্রচেষ্টা শুরু হয় ২০২৪ সালের ১৮ মে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জ্যাক সুলিভান সৌদি আরবের দাম্মামে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেন।

ওই সময়ে দখলদার ইসরায়েলের প্রতি আরব রাষ্ট্রগুলো অনেক বেশি ক্ষুব্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও সুলিভানের সঙ্গে বৈঠকে আসেন প্রিন্স সালমান। তিনি ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথাও বলেন । তবে শর্ত দেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার পথের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

এরপর ১৯ মে সুলিভান ইসরায়েলে যান এবং নেতানিয়াহুকে প্রিন্স সালমানের বার্তা পৌঁছে দেন।

এরও পরে ২৭ মে দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। যার চারদিন পর জো বাইডেন প্রকাশ্যে ওই যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রস্তাবের ঘোষণা দেন। কিন্তু দখলদার ইসরায়েল স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি না দেওয়ায় হামাস এতে রাজি হয়নি।

ওই সময় সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক না হলেও দখলদার ইসরায়েল তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর অংশ হিসেবে নিজের মন্ত্রীকে গোপনে আরব আমিরাতে পাঠিয়েছিলেন নেতানিয়াহু।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস