ইবিতে অর্থনীতি বিভাগের অন্ত:সেশন খেলা নিয়ে মারামারি লাগলে তা ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নিয়ে মারধর করে উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়নের ইবি সংসদ। শনিবার রাত ১০টায় সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে জড়িতদের দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১২ জুলাই ২০২৫, বিকেল ৫:০০ টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। দুঃখজনকভাবে, এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের উপর নির্মম হামলা চালানো হয়, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা সংস্কৃতির উপর সরাসরি আঘাত। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একইসাথে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: ইবিতে মারামারির ভিডিও করায় ৩ সাংবাদিককে মারধর
এক যৌথ বিবৃতি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ এর সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নূর আলম বলেন আমার গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি যে, খেলাকে কেন্দ্র করে বিভাগের সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে হাতাহাতির সময় সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহ ভিডিও ধারণ করতে গেলে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা পারভীন তিনা তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং দলবেঁধে অন্যরা সাংবাদিকদের মারধর শুরু করে। এতে নূর ই আলম, রবিউল আলমসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীরা ঠেকাতে গেলে তারাও হামলার শিকার হন।
এছাড়া ঘটনার পর, হামলাকারীরা ঘটনার দিক পরিবর্তন করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একজন নারী শিক্ষার্থীকে ভিকটিম সাজিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালায়, যার উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন ,আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি যে, এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। আমরা বিশ্বাস করি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা সকলের দায়িত্ব।
