ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

ইবিতে ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা

  • সাকীফ বিন আলম
  • প্রকাশিত ১০:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩৩ বার পঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে পাবলিক অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন ডিবেটিং সোসাইটি (পিএডিএস)।

আজ বুধবার (৬ আগস্ট) মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২০৪ নং কক্ষে দুপুর ১২:৫০টায় বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়। এসময় বিতর্কিকসহ প্রায় ২০জনকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী। এছাড়াও স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান।

এছাড়া বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ফকরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, প্রফেসর মোহাম্মদ সেলিম, প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান।

সংসদীয় পদ্ধতি দুটি দলের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।‌ এতে সরকারী দলে ছিলেন শামিমা আক্তার ( প্রধানমন্ত্রী), শারমিন স্বর্ণা ( মন্ত্রী) ও শাকিল মীর ( সংসদ সদস্য ) এবং বিরোধী দলে ছিলেন মুনতাকিম রহমান ( বিরোধী দলীয় নেতা), আব্দুল্লাহ আল নোমান ( উপনেতা) ও সেতু খানম ( সংসদ সদস্য)। সরকারি দলের উত্থাপিত প্রস্তাবটি ছিল এ সংসদ মনে করে, “জুলাই আগস্ট ২০২৪ ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিতে সফল হয়েছে”। বিতর্ক শেষে প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়।

এসময় সরকারী দল বিভিন্ন সংস্কার কমিশন এবং তাদের অগ্রগতি, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, কর্ম কমিশন সংস্কার, বিডা সম্মেলন, তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, বৈদেশিক বানিজ্য অগ্রগতি ইত্যাদি ব্যাপারগুলোকে তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। অন্যদিকে বিরোধী বিচার ব্যবস্থার ধীরগতি, সংস্কার দীর্ঘমেয়াদী,অবকাঠামোগত, পরিবর্তনের অভাব, গণতন্ত্রের অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ব্যাপারে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহবলেন, বিতর্ক চিন্তার দ্বার উন্মুক্ত করে, সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায়। আল্লাহতায়ালা আমাদের প্রত্যেকের মাঝে কোন-না-কোন সৃজনশীলতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে গেলেই তার চর্চা করতে হবে। মানুষের কাছে যুক্তি উপস্থাপন করার একটা শৈল্পিক চরিত্র আছে। তর্ক শত্রুতা ও বিভেদ সৃষ্টি করে। কিন্তু যুক্তি সৃজনশীলতার সাথে সম্পর্কিত।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

ইবিতে ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত ১০:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে পাবলিক অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন ডিবেটিং সোসাইটি (পিএডিএস)।

আজ বুধবার (৬ আগস্ট) মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ২০৪ নং কক্ষে দুপুর ১২:৫০টায় বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়। এসময় বিতর্কিকসহ প্রায় ২০জনকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী। এছাড়াও স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান।

এছাড়া বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ফকরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. তোজাম্মেল হোসেন, প্রফেসর মোহাম্মদ সেলিম, প্রফেসর ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রফেসর ড. মো. লুৎফর রহমান।

সংসদীয় পদ্ধতি দুটি দলের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।‌ এতে সরকারী দলে ছিলেন শামিমা আক্তার ( প্রধানমন্ত্রী), শারমিন স্বর্ণা ( মন্ত্রী) ও শাকিল মীর ( সংসদ সদস্য ) এবং বিরোধী দলে ছিলেন মুনতাকিম রহমান ( বিরোধী দলীয় নেতা), আব্দুল্লাহ আল নোমান ( উপনেতা) ও সেতু খানম ( সংসদ সদস্য)। সরকারি দলের উত্থাপিত প্রস্তাবটি ছিল এ সংসদ মনে করে, “জুলাই আগস্ট ২০২৪ ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিতে সফল হয়েছে”। বিতর্ক শেষে প্রস্তাবটি সংসদে গৃহীত হয়।

এসময় সরকারী দল বিভিন্ন সংস্কার কমিশন এবং তাদের অগ্রগতি, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, কর্ম কমিশন সংস্কার, বিডা সম্মেলন, তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, বৈদেশিক বানিজ্য অগ্রগতি ইত্যাদি ব্যাপারগুলোকে তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন। অন্যদিকে বিরোধী বিচার ব্যবস্থার ধীরগতি, সংস্কার দীর্ঘমেয়াদী,অবকাঠামোগত, পরিবর্তনের অভাব, গণতন্ত্রের অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ব্যাপারে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহবলেন, বিতর্ক চিন্তার দ্বার উন্মুক্ত করে, সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায়। আল্লাহতায়ালা আমাদের প্রত্যেকের মাঝে কোন-না-কোন সৃজনশীলতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে গেলেই তার চর্চা করতে হবে। মানুষের কাছে যুক্তি উপস্থাপন করার একটা শৈল্পিক চরিত্র আছে। তর্ক শত্রুতা ও বিভেদ সৃষ্টি করে। কিন্তু যুক্তি সৃজনশীলতার সাথে সম্পর্কিত।