ঢাকা ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচার চেয়ে ইবিতে বিক্ষোভ

  • সাকীফ বিন আলম
  • প্রকাশিত ০৮:১৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • ১৭ বার পঠিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল শেষে বটতলায় জড়ো হয়ে তারা হামলারকারীদের বিচারে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন এবং ইবির নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

মিছিলে ‘চবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই,’ ‘আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই,’ ‘জুলাই যোদ্ধা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই,‘ ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না,’ ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানবো না‘সহ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, ইয়াসিরুল কবির সৌরভসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।

সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর স্থানীয়দের নির্মম হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন “যেই স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য ছাত্রজনতা জুলাই আন্দোলন করেছে সেই নিরাপত্তা এখনো পায়নি, তার দৃশ্য আমরা দেখতে পেয়েছি চবিতে হামলা করা হয় কিন্তু ইন্টেরিম সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বলি, আপনারা সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ব্যবস্থা করেন। যদি সেটা করতে না পারেন তাহলে আপনাদের সরকারে থাকার কোনো দরকার নাই।”

ইবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “জুলাই আন্দোলনকারীদের কিভাবে মারা হবে, আহত করা হবে, নিগৃহ করা হবে এটা একটা ট্রেন্ডের মতো হয়ে গেছে। এই ট্রেন্ডের সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভাই-বোন ও শিক্ষদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করা হয়েছে। অভূত্থান পরবর্তীতে প্রত্যেকটি জায়গায় সংস্কার হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি। উল্টো আওয়ামী লীগ রিফাইন্ড করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। চবিতে হামলার সুষ্ঠু বিচার ইন্টেরিম সরকার করতে যদি না করতে পারে, তবে তাদের চেয়ার ছেড়ে দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে দেরিতে বাসায় ফেরাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রী বাসার দারোয়ান কর্তৃক প্রহৃত হলে তাকে কেন্দ্র করে রাতেই দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এর জেরে রোববার সকালে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দের ধাওয়ায় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ৭০জন শিক্ষার্থী আহত হন।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

চবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার বিচার চেয়ে ইবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত ০৮:১৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর সংঘটিত ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৩১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল শেষে বটতলায় জড়ো হয়ে তারা হামলারকারীদের বিচারে অন্তর্বর্তী সরকারকে ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন এবং ইবির নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।

মিছিলে ‘চবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই,’ ‘আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই,’ ‘জুলাই যোদ্ধা আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই,‘ ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না,’ ‘প্রশাসনের প্রহসন, মানি না মানবো না‘সহ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, ইয়াসিরুল কবির সৌরভসহ প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী।

সমাবেশে বক্তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর স্থানীয়দের নির্মম হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন “যেই স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার জন্য ছাত্রজনতা জুলাই আন্দোলন করেছে সেই নিরাপত্তা এখনো পায়নি, তার দৃশ্য আমরা দেখতে পেয়েছি চবিতে হামলা করা হয় কিন্তু ইন্টেরিম সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নি। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বলি, আপনারা সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি ব্যবস্থা করেন। যদি সেটা করতে না পারেন তাহলে আপনাদের সরকারে থাকার কোনো দরকার নাই।”

ইবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “জুলাই আন্দোলনকারীদের কিভাবে মারা হবে, আহত করা হবে, নিগৃহ করা হবে এটা একটা ট্রেন্ডের মতো হয়ে গেছে। এই ট্রেন্ডের সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভাই-বোন ও শিক্ষদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করা হয়েছে। অভূত্থান পরবর্তীতে প্রত্যেকটি জায়গায় সংস্কার হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা হয়নি। উল্টো আওয়ামী লীগ রিফাইন্ড করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারে না। চবিতে হামলার সুষ্ঠু বিচার ইন্টেরিম সরকার করতে যদি না করতে পারে, তবে তাদের চেয়ার ছেড়ে দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে দেরিতে বাসায় ফেরাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রী বাসার দারোয়ান কর্তৃক প্রহৃত হলে তাকে কেন্দ্র করে রাতেই দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। এর জেরে রোববার সকালে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয়দের ধাওয়ায় প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দিনসহ অন্তত ৭০জন শিক্ষার্থী আহত হন।