ঢাকা ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ সোচ্চার ইবি চ্যাপ্টারের

  • সাকীফ বিন আলম
  • প্রকাশিত ১১:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৬ বার পঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সোচ্চার স্টুডেন্ট’স নেটওয়ার্ক ইবি চ্যাপ্টার।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সহ-দপ্তর সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে “মানবাধিকারের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী” উল্লেখ করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রাহাত ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শিবলু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য এবং তিন শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে। আমাদের বিবেচনায় এই শাস্তি তুলনামূলকভাবে অতিরিক্ত, কঠোর এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ন্যায়নীতির পরিপন্থী।”

তারা আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—যেখানে সংশোধন, শিক্ষাদান ও ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই হওয়া উচিত মূলনীতি। শিক্ষার্থীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শাস্তির ধরণ হওয়া উচিত শিক্ষামূলক এবং পুনর্বাসনমূলক; কিন্তু বর্তমান সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা মানবাধিকারের মৌলিক চেতনারও পরিপন্থী।”

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই ভয়, আতঙ্ক ও দমননীতির জায়গা হতে পারে না; বরং এটি হওয়া উচিত গণতান্ত্রিক, ন্যায়সংগত ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশের প্রতীক। কোনো শিক্ষার্থীর ভুল বা অপরাধের দায়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মানবিক ও শিক্ষাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

অতঃপর সোচ্চার স্টুডেন্ট’স নেটওয়ার্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়। একইসাথে শিক্ষার্থীদের প্রতি পুনর্বাসনমূলক ও শিক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ন্যায়সংগত সমাধান করতে আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রধান ফটকে বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন—এক বছরের জন্য বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নাজিম (২০১৯-২০) ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সায়েম (২০২১-২২)। আর ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয় (সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ)।

আরো পড়ুন

 

বাস ভাংচুরে বহিষ্কার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ সোচ্চার ইবি চ্যাপ্টারের

প্রকাশিত ১১:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সোচ্চার স্টুডেন্ট’স নেটওয়ার্ক ইবি চ্যাপ্টার।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সহ-দপ্তর সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে “মানবাধিকারের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী” উল্লেখ করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল রাহাত ও সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শিবলু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য এবং তিন শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে। আমাদের বিবেচনায় এই শাস্তি তুলনামূলকভাবে অতিরিক্ত, কঠোর এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ন্যায়নীতির পরিপন্থী।”

তারা আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—যেখানে সংশোধন, শিক্ষাদান ও ভবিষ্যৎ গড়ে তোলাই হওয়া উচিত মূলনীতি। শিক্ষার্থীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শাস্তির ধরণ হওয়া উচিত শিক্ষামূলক এবং পুনর্বাসনমূলক; কিন্তু বর্তমান সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, যা মানবাধিকারের মৌলিক চেতনারও পরিপন্থী।”

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই ভয়, আতঙ্ক ও দমননীতির জায়গা হতে পারে না; বরং এটি হওয়া উচিত গণতান্ত্রিক, ন্যায়সংগত ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশের প্রতীক। কোনো শিক্ষার্থীর ভুল বা অপরাধের দায়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মানবিক ও শিক্ষাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”

অতঃপর সোচ্চার স্টুডেন্ট’স নেটওয়ার্ক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানায়। একইসাথে শিক্ষার্থীদের প্রতি পুনর্বাসনমূলক ও শিক্ষামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ন্যায়সংগত সমাধান করতে আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রধান ফটকে বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন—এক বছরের জন্য বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নাজিম (২০১৯-২০) ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সায়েম (২০২১-২২)। আর ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল মান্নান লুমান, সৈয়দ সাজিদ হোসেন ও তাকবির হাসান হৃদয় (সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ)।

আরো পড়ুন

 

বাস ভাংচুরে বহিষ্কার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী