হাই প্রেশার বা উচ্চচাপে লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে খাবারে লবণ পরিপূর্ণভাবে ব্যবহারের কথা বলেন না কখনো। এরপরও প্রেশার বাড়লেই সবার আগে লবণ খাওয়ার ব্যবহার বন্ধ করেন রোগী ও তার পরিবার। অথচ পর্যাপ্ত লবণ গ্রহণ করা না হলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। যা অনেকেরই অজানা।
লবণ পুরোপুরি খাওয়া বন্ধ করা ঠিক নয়। কিন্তু এতে শরীরের কী কী সমস্যা হতে পারে, সেসবও অজানা অনেকের। এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা বলে থাকেন, লবণ শরীরে ফ্লুইডের মতো ভারসাম্য বজায় রাখে। স্নায়ুতন্ত্র থেকে পেশির সক্রিয়তাসহ সবক্ষেত্রেই লবণের ভূমিকা অপরিহার্য। সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম চিকিৎসক ও ইনফ্লুয়েন্সার সৌরভ শেঠির সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিওর বরাত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, সৌরভ শেঠি জানিয়েছেন, এক চা চামচের কম পরিমাণ লবণ খাওয়া হলে রক্তচাপের পার্থক্য নজরে পড়া স্বাভাবিক। আবার বিভিন্ন শারীরিক জটিলতাও দেখা দিতে পারে।
লবণ খাওয়া বাদ দিলে কী ঘটবে:
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ বা সোডিয়াম না থাকলে বিপাকক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। কেননা, লবণ শরীরের বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়া ও হরমোনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে করে থাকে। মেটাবলিজম সঠিকভাবে রাখতে অবদান রাখে। লবণের অভাবে শরীরে তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে থাকে এবং গুরুত্বপূর্ণ এনজাইম ও হরমোনের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। ফলে বিপাকীয় হার ধীরগতির হয়। এতে বিপাকহারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
খাবার ও তরল থেকে পাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট (সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম প্রভৃতি) শরীরে তারল্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে পুষ্টিগ্রহণ ও বর্জ্য অপসারণে অবদান রাখে। এ কারণে কোষ তার কাজ সঠিকভাবে করতে পারে। ইলেক্ট্রোলাইটের অভাব থাকলে শরীর তার কাজ ঠিকভাবে করতে ব্যাহত হয়। বিভিন্ন সমস্যাও তৈরি হয়।
পেশি ও স্নায়ুতন্ত্রের কাজ ঠিকভাবে করতে লবণ বা সোডিয়াম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। লবণ খাওয়া একদম বন্ধ করলে পেশি দুর্বলতা, খিঁচুনি ও স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া লবণ শরীরে পানি ধরে রাখতে ভূমিকা রাখে। লবণ খাওয়া না হলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে। এ থেকে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা থেকে কিডনি ও হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
















