ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

আপত্তিকর মন্তব্যের তিনমাস পর অডিও ভাইরাল: ক্ষমা প্রার্থনার পরেও বহিষ্কার দাবি

  • সাকীফ বিন আলম
  • প্রকাশিত ১১:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩২ বার পঠিত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যা ইস্যু এবং নারী শিক্ষার্থী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মন্তব্যের তিনমাস পর গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আব্দুল্লাহ বিন আসাদ নামের আইডি থেকে ক্লিপটি পোস্ট করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দীন মিঝি। অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ক্যাম্পাসজুড়ে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান ওই শিক্ষক।

ভাইরাল হওয়া অডিওতে সাজিদের এক সহপাঠিকে শাসানো এবং সাজিদ ইস্যুতে স্পর্শকাতর বক্তব্য দিতে শোনা যায়। এছাড়াও নারী শিক্ষার্থী সম্পর্কে অশোভন মন্তব্যও শোনা যায়। এবিষয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে বুধবার সকালে বিষয়টিকে ‘স্লিপ অফ টাং’ দাবি করে নিঃশর্ত ক্ষমাও চান তিনি। এদিকে তার এ মন্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার (২৯অক্টোবর) বেলা ১১ টায় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরেও বরখাস্তের দাবি করাকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ওই অডিওতে তিনি বলেন, “ওই মেয়ের হাতে মাইক দিয়েছে কে? ওই মেয়ের আল-কুরআনে কি? ডিপার্টমেন্টকে ধ্বংস করছো না? ওই মেয়ে যদি আমার ডিপার্টমেন্টের হতো আমার আপত্তি হতো না। আমি আল-কুরআনের টিচার, আমার সাথে গেছে ওখানে জিন্স প্যান্ট, গেঞ্জি পরে।” এ সময় তিনি নারী শিক্ষার্থীর পোশাক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

অডিওতে আরও শোনা যায়, তিনি এক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ করে বলেন—“তোরে আন্দোলনে ডাকছি আমি। কোন অধিকারে তুই আমার ডিপার্টমেন্টের উপরে কথা কইস? তুই আল-কুরআনে না থাকলে আমার কিছু যায় আসে না… এখন থেকে ক্লাস চলবে, পরীক্ষা চলবে, আন্দোলনও চলবে, সব কিছুই চলবে।”

এরই প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের মন্তব্যকে ‘স্লিপ অব টাং’ বলে দুঃখ প্রকাশ ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ড. নাছির উদ্দিন মিঝি। তিনি বলেন, “বিষয়টি ছিল একান্তই ঘরোয়া আলোচনা। আপনারা দেখেছেন, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর আমি তার দাফন-কাফন, জানাজায় উপস্থিত ছিলাম। দাফন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসি। সেই ছাত্রের সঙ্গে প্রকাশ্যে আমার কোনো কথা হয়নি; কথা হয়েছে কেবল কক্ষের ভেতরে, শিক্ষক মণ্ডলীর সামনে। সাজিদ আব্দুল্লাহর মতো একজন ছাত্র, যাকে আমি হারিয়েছি তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলব, এটা অকল্পনীয়, অপ্রত্যাশিত ও অপ্রাসঙ্গিক। স্বেচ্ছায় আমি এ ধরনের কোনো মন্তব্য করিনি। ‘স্লিপ অব টাং’-এর কারণে আমার কথায় এভাবে কিছু এসে যেতে পারে।”

এদিকে, বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ড. নাছির উদ্দিন মিঝির বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন। অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য প্রতিবাদে বাধা প্রদানকারীদের উদ্দেশ্য যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক আন্দোলনের অধিকার নিশ্চিতকরণ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া অডিওটি প্রায় তিন মাস আগের (৪ আগস্ট)। অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, দীর্ঘদিন পর সেই অডিও প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনার পরও বরখাস্তের দাবি অস্বাভাবিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী তাজমিন রহমান বলেন, “স্যারের ভাষা সংযত হওয়া উচিত, আমি তার বক্তব্যের নিন্দা জানাই। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। কথাটি মূলত ঐশিকে উদ্দেশ্য করে বলা হলেও, অনেকেই পুষ্পাকে হাইলাইট করে পোস্ট দিচ্ছেন। মনে হচ্ছে, তাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সামনে আল কুরআন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড রয়েছে, সম্ভবত সেই কারণেই তিন মাস পর অডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে বায়োটেকনোলজি ও ডিএস বিভাগে এর চেয়েও বড় বড় ঘটনা ঘটলেও তখন এসব শিক্ষার্থীকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। স্যার ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন— এর পরও যারা বরখাস্তের দাবি তুলছে, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আমার মতে, শুরু থেকেই এই আন্দোলনটি গোঁজামিলপূর্ণ ছিল, তাই অধিকাংশ শিক্ষার্থী তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”

একই সুরে আরেক শিক্ষার্থী সাদীয়া মাহমুদ মিম বলেন, “শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানাই, তবে প্রশ্ন হচ্ছে এতদিন পর এমন স্পর্শকাতর বিষয় প্রকাশের কারণ কী? আমার মনে হয়, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। যারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা হয়তো ভেবেছিল স্যার সহজে ক্ষমা চাইবেন না। কিন্তু তিনি সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে, এখন তারা বিষয়টি বহিষ্কার দাবিতে রূপ দিয়েছে। আমার ধারণা, এদের কেউ কেউ পরোক্ষভাবে অন্য কোনো পক্ষের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।”

অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বোরহান কবির বলেন, “অডিওটি তিন মাস পর কেন ভাইরাল হলো, তা আমরা জানি না। তবে এটি আল কুরআন বিভাগের ভেতর থেকেই ছড়ানো হয়েছে। তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলে, তা যারা ভাইরাল করেছে তাদেরই থাকতে পারে। আমাদের আন্দোলনের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। স্যারের ক্ষমা চাওয়া বিষয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করছি না।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আগামীতে কোনো শিক্ষক যেন এই ধরনের বক্তব্য না দেয় তোমাদেরকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করছি। আর লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা এবিষয়ে পদক্ষেপ নিবো।’

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

আপত্তিকর মন্তব্যের তিনমাস পর অডিও ভাইরাল: ক্ষমা প্রার্থনার পরেও বহিষ্কার দাবি

প্রকাশিত ১১:৪৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যা ইস্যু এবং নারী শিক্ষার্থী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মন্তব্যের তিনমাস পর গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আব্দুল্লাহ বিন আসাদ নামের আইডি থেকে ক্লিপটি পোস্ট করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক হলেন আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দীন মিঝি। অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ক্যাম্পাসজুড়ে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান ওই শিক্ষক।

ভাইরাল হওয়া অডিওতে সাজিদের এক সহপাঠিকে শাসানো এবং সাজিদ ইস্যুতে স্পর্শকাতর বক্তব্য দিতে শোনা যায়। এছাড়াও নারী শিক্ষার্থী সম্পর্কে অশোভন মন্তব্যও শোনা যায়। এবিষয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলে বুধবার সকালে বিষয়টিকে ‘স্লিপ অফ টাং’ দাবি করে নিঃশর্ত ক্ষমাও চান তিনি। এদিকে তার এ মন্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার (২৯অক্টোবর) বেলা ১১ টায় প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরেও বরখাস্তের দাবি করাকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ওই অডিওতে তিনি বলেন, “ওই মেয়ের হাতে মাইক দিয়েছে কে? ওই মেয়ের আল-কুরআনে কি? ডিপার্টমেন্টকে ধ্বংস করছো না? ওই মেয়ে যদি আমার ডিপার্টমেন্টের হতো আমার আপত্তি হতো না। আমি আল-কুরআনের টিচার, আমার সাথে গেছে ওখানে জিন্স প্যান্ট, গেঞ্জি পরে।” এ সময় তিনি নারী শিক্ষার্থীর পোশাক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

অডিওতে আরও শোনা যায়, তিনি এক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ করে বলেন—“তোরে আন্দোলনে ডাকছি আমি। কোন অধিকারে তুই আমার ডিপার্টমেন্টের উপরে কথা কইস? তুই আল-কুরআনে না থাকলে আমার কিছু যায় আসে না… এখন থেকে ক্লাস চলবে, পরীক্ষা চলবে, আন্দোলনও চলবে, সব কিছুই চলবে।”

এরই প্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের মন্তব্যকে ‘স্লিপ অব টাং’ বলে দুঃখ প্রকাশ ও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন ড. নাছির উদ্দিন মিঝি। তিনি বলেন, “বিষয়টি ছিল একান্তই ঘরোয়া আলোচনা। আপনারা দেখেছেন, সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর আমি তার দাফন-কাফন, জানাজায় উপস্থিত ছিলাম। দাফন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসি। সেই ছাত্রের সঙ্গে প্রকাশ্যে আমার কোনো কথা হয়নি; কথা হয়েছে কেবল কক্ষের ভেতরে, শিক্ষক মণ্ডলীর সামনে। সাজিদ আব্দুল্লাহর মতো একজন ছাত্র, যাকে আমি হারিয়েছি তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলব, এটা অকল্পনীয়, অপ্রত্যাশিত ও অপ্রাসঙ্গিক। স্বেচ্ছায় আমি এ ধরনের কোনো মন্তব্য করিনি। ‘স্লিপ অব টাং’-এর কারণে আমার কথায় এভাবে কিছু এসে যেতে পারে।”

এদিকে, বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ড. নাছির উদ্দিন মিঝির বহিষ্কারসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন। অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য প্রতিবাদে বাধা প্রদানকারীদের উদ্দেশ্য যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক আন্দোলনের অধিকার নিশ্চিতকরণ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া অডিওটি প্রায় তিন মাস আগের (৪ আগস্ট)। অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন, দীর্ঘদিন পর সেই অডিও প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনার পরও বরখাস্তের দাবি অস্বাভাবিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী তাজমিন রহমান বলেন, “স্যারের ভাষা সংযত হওয়া উচিত, আমি তার বক্তব্যের নিন্দা জানাই। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। কথাটি মূলত ঐশিকে উদ্দেশ্য করে বলা হলেও, অনেকেই পুষ্পাকে হাইলাইট করে পোস্ট দিচ্ছেন। মনে হচ্ছে, তাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সামনে আল কুরআন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড রয়েছে, সম্ভবত সেই কারণেই তিন মাস পর অডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে বায়োটেকনোলজি ও ডিএস বিভাগে এর চেয়েও বড় বড় ঘটনা ঘটলেও তখন এসব শিক্ষার্থীকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। স্যার ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন— এর পরও যারা বরখাস্তের দাবি তুলছে, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আমার মতে, শুরু থেকেই এই আন্দোলনটি গোঁজামিলপূর্ণ ছিল, তাই অধিকাংশ শিক্ষার্থী তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।”

একই সুরে আরেক শিক্ষার্থী সাদীয়া মাহমুদ মিম বলেন, “শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানাই, তবে প্রশ্ন হচ্ছে এতদিন পর এমন স্পর্শকাতর বিষয় প্রকাশের কারণ কী? আমার মনে হয়, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। যারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে, তারা হয়তো ভেবেছিল স্যার সহজে ক্ষমা চাইবেন না। কিন্তু তিনি সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে, এখন তারা বিষয়টি বহিষ্কার দাবিতে রূপ দিয়েছে। আমার ধারণা, এদের কেউ কেউ পরোক্ষভাবে অন্য কোনো পক্ষের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।”

অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বোরহান কবির বলেন, “অডিওটি তিন মাস পর কেন ভাইরাল হলো, তা আমরা জানি না। তবে এটি আল কুরআন বিভাগের ভেতর থেকেই ছড়ানো হয়েছে। তাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকলে, তা যারা ভাইরাল করেছে তাদেরই থাকতে পারে। আমাদের আন্দোলনের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। স্যারের ক্ষমা চাওয়া বিষয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করছি না।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আগামীতে কোনো শিক্ষক যেন এই ধরনের বক্তব্য না দেয় তোমাদেরকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করছি। আর লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা এবিষয়ে পদক্ষেপ নিবো।’