ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ

কুয়াশার ছোঁয়ায় যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শীতের আগমন

  • রায়হান আহমদ
  • প্রকাশিত ০৯:৪৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫৪ বার পঠিত

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুই আসে নিজস্ব রূপ ও সৌন্দর্য নিয়ে। হেমন্তের বিদায় ঘণ্টা বাজতেই প্রকৃতিতে নেমে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। নভেম্বরের শুরুতেই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে অনুভূত হচ্ছে সেই শিরশিরে হিমেল স্পর্শ।

প্রায় ৩৫ একর আয়তনের এই সবুজ ক্যাম্পাসে এখন ভোরের আলো ফোটার আগেই হালকা কুয়াশা ঢেকে দিচ্ছে ক্যাম্পাসের মাঠ আর সবুজ বৃক্ষরাজি। কুয়াশার হালকা চাদর, হিমেল হাওয়ার স্নিগ্ধতা আর প্রকৃতির শান্ত ছোঁয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এখন এক অপূর্ব আগমনী রূপে সেজে উঠছে। শুধু সকাল নয়, রাতের বেলাতেও এখন ঘন কুয়াশা নেমে আসে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়ার দাপট বাড়ে, বাতাসে জমে শিশির। ক্যাম্পাসের ল্যাম্পপোস্টের আলোয় কুয়াশার আস্তর পড়লে মনে হয় কোনো রূপকথার দৃশ্যের ভেতর হেঁটে চলেছে কেউ।

অথচ দিনের বেলা চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। সূর্যের তেজ এখনো পুরোপুরি কমে যায়নি। সকাল গড়াতেই রোদ উঠে পড়ে মাঠে, গাছপালায়, ক্লাস ভবনের বারান্দায়। দুপুরের দিকে গরমও খানিকটা অনুভূত হয়। শীতের আগমনী এই সময়ে তাই সকাল-রাতের ঠান্ডা আর দিনের উষ্ণতা—দুটোই একসঙ্গে উপভোগ করছে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।

যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের পরিবেশ অনেকটা গ্রামীণ আবহে ঘেরা। সকালবেলা শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে হাঁটে ক্যাম্পাসে, কেউবা চায়ের কাপ হাতে নতুন ঋতুর আগমন উপভোগ করে। রাতে আবার কুয়াশা ভেদ করে কেউ কেউ মাঠে বসে গল্প করে, কেউবা হোস্টেলের সামনে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা হাওয়ার স্বাদ নেয়।

কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী বিল্লাল শেখ বলেন, এখনও খুব বেশি শীত পড়েনি, কিন্তু সকালে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। হালকা ঠান্ডা হাওয়া আর শিশিরভেজা ঘাস দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। রাতে রুম থেকে বের হলেই হালকা কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়া অনুভব হয়। তবে দিনের বেলা সূর্যের আলোয় আবার সব গরম হয়ে যায়। প্রকৃতির এই পরিবর্তন মনকে অন্যরকম প্রশান্তি দেয়।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাতুর রহমান বলেন, যবিপ্রবির শীত মানেই অন্যরকম এক প্রশান্তি। এই সময়টায় সকালবেলা ক্যাম্পাসে হাঁটলে মনটা সতেজ হয়ে যায়। রাতে কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় পুরো ক্যাম্পাস ঘুমিয়ে গেছে, শুধু প্রকৃতি জেগে আছে। শীতের এই সময়টা আমাদের জন্য সত্যিই বিশেষ।

তিনি আরও বলেন, শীতের সকালে চায়ের দোকানগুলোয় ভিড় বেড়ে যায়। সবাই মিলে আড্ডা, গল্প, হাসি সবকিছু মিলিয়ে ক্যাম্পাসে এক প্রাণবন্ত আবহ তৈরি হয়। ক্লাস, ল্যাবের ব্যস্ততার মাঝেও এই সময়টা আমাদের মানসিকভাবে অনেকটা সতেজ রাখে।

জনপ্রিয়

কুয়াশার ছোঁয়ায় যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শীতের আগমন

প্রকাশিত ০৯:৪৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রতিটি ঋতুই আসে নিজস্ব রূপ ও সৌন্দর্য নিয়ে। হেমন্তের বিদায় ঘণ্টা বাজতেই প্রকৃতিতে নেমে এসেছে শীতের আগমনী বার্তা। নভেম্বরের শুরুতেই যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে অনুভূত হচ্ছে সেই শিরশিরে হিমেল স্পর্শ।

প্রায় ৩৫ একর আয়তনের এই সবুজ ক্যাম্পাসে এখন ভোরের আলো ফোটার আগেই হালকা কুয়াশা ঢেকে দিচ্ছে ক্যাম্পাসের মাঠ আর সবুজ বৃক্ষরাজি। কুয়াশার হালকা চাদর, হিমেল হাওয়ার স্নিগ্ধতা আর প্রকৃতির শান্ত ছোঁয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় এখন এক অপূর্ব আগমনী রূপে সেজে উঠছে। শুধু সকাল নয়, রাতের বেলাতেও এখন ঘন কুয়াশা নেমে আসে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা হাওয়ার দাপট বাড়ে, বাতাসে জমে শিশির। ক্যাম্পাসের ল্যাম্পপোস্টের আলোয় কুয়াশার আস্তর পড়লে মনে হয় কোনো রূপকথার দৃশ্যের ভেতর হেঁটে চলেছে কেউ।

অথচ দিনের বেলা চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন। সূর্যের তেজ এখনো পুরোপুরি কমে যায়নি। সকাল গড়াতেই রোদ উঠে পড়ে মাঠে, গাছপালায়, ক্লাস ভবনের বারান্দায়। দুপুরের দিকে গরমও খানিকটা অনুভূত হয়। শীতের আগমনী এই সময়ে তাই সকাল-রাতের ঠান্ডা আর দিনের উষ্ণতা—দুটোই একসঙ্গে উপভোগ করছে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।

যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের পরিবেশ অনেকটা গ্রামীণ আবহে ঘেরা। সকালবেলা শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে হাঁটে ক্যাম্পাসে, কেউবা চায়ের কাপ হাতে নতুন ঋতুর আগমন উপভোগ করে। রাতে আবার কুয়াশা ভেদ করে কেউ কেউ মাঠে বসে গল্প করে, কেউবা হোস্টেলের সামনে দাঁড়িয়ে ঠান্ডা হাওয়ার স্বাদ নেয়।

কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী বিল্লাল শেখ বলেন, এখনও খুব বেশি শীত পড়েনি, কিন্তু সকালে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। হালকা ঠান্ডা হাওয়া আর শিশিরভেজা ঘাস দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। রাতে রুম থেকে বের হলেই হালকা কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়া অনুভব হয়। তবে দিনের বেলা সূর্যের আলোয় আবার সব গরম হয়ে যায়। প্রকৃতির এই পরিবর্তন মনকে অন্যরকম প্রশান্তি দেয়।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাতুর রহমান বলেন, যবিপ্রবির শীত মানেই অন্যরকম এক প্রশান্তি। এই সময়টায় সকালবেলা ক্যাম্পাসে হাঁটলে মনটা সতেজ হয়ে যায়। রাতে কুয়াশার মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয় পুরো ক্যাম্পাস ঘুমিয়ে গেছে, শুধু প্রকৃতি জেগে আছে। শীতের এই সময়টা আমাদের জন্য সত্যিই বিশেষ।

তিনি আরও বলেন, শীতের সকালে চায়ের দোকানগুলোয় ভিড় বেড়ে যায়। সবাই মিলে আড্ডা, গল্প, হাসি সবকিছু মিলিয়ে ক্যাম্পাসে এক প্রাণবন্ত আবহ তৈরি হয়। ক্লাস, ল্যাবের ব্যস্ততার মাঝেও এই সময়টা আমাদের মানসিকভাবে অনেকটা সতেজ রাখে।