ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ব্যাডমিন্টন প্রতিভার খোঁজে ব্যাডমিন্টন বাংলাদেশ Logo ওসমান হাদীকে জঙ্গি বললেন যবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা Logo ‘হাদী খাইছে, তোরও খাওয়ার সময় এসে গেছে’, আসিফকে ইবি ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo ওসমান হাদীর ওপর হামলার প্রতিবাদে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ‘গুলিবিদ্ধ হাদী ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ শ্লোগানে উত্তাল ইবি Logo ওসমান হাদীর হত্যাচেষ্টায় জবির নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল Logo ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে হাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ Logo দেশে নতুন মাদক এমডিএমবি জব্দ, চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৪ Logo জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় জাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সন্তোষ প্রকাশ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে দলীয়করণের অভিযোগ, উপচার্যের কক্ষে উচ্চবাচ্য

পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগে একচেটিয়াভাবে জামায়াতপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার(২০ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কক্ষে ১০-১৫ জন কর্মকর্তা এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হুসাইন ও তানভীর হোসেনের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে উচ্চবাচ্য ও অসদাচারণের অভিযোগ ওঠে।

শুক্রবার( ২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগে একচেটিয়াভাবে জামায়াত-শিবির পন্থীদের নিয়োগ দেওয়ার একই অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদ কবিরের বিরুদ্ধে দাঁড়িপাল্লায় ভোটের জন্য উপাচার্যকে আওয়ামীলীগপন্থীদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগে জামায়াতপন্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এটি এখন একটি ওপেন সিক্রেট। এ পর্যন্ত যতজন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তাদেরকে নিয়ে ইউটিএল নামের জামায়াতপন্থী একটি সংগঠন খোলা হয়েছে। এই থেকেই প্রতীয়মান হয় যে বর্তমান প্রশাসন দেখে দেখে জামায়াত শিবিরকেই নিয়োগ দিচ্ছে। প্রশাসনের নিয়োগের তাড়াহুড়ো দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচনের পর যদি আমরা না থাকি বা ক্ষমতায় না আসি, তাহলে তো আমাদের দলের লোকসংখ্যা বাড়াতে পারবোনা। তার চেয়ে যে কয়েকদিন আছি গণহারে জামায়াতের লোকজন নিয়োগ দিয়ে সংখ্যার আধিক্য বাড়িয়ে যাই, উনাদের নিয়োগে তাড়াহুড়ো  দেখে এমনটাই প্রতীয়মান হচ্ছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘অভ্যন্তরীণ প্রার্থী নিয়োগের নামে আওয়ামীলীগ পন্থীদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। শুনেছি শিবিরের সভাপতি সাদ কবির উপাচার্য মহোদয়কে গিয়ে বলেছেন এদের নিয়োগ দিলে এদের ভোটগুলো দাঁড়িপাল্লায় পড়বে, ভোটের আশায় তার কথাতেই আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন করা হচ্ছে। শিবির সভাপতি সাদ কবির নিয়মিত ভিসি স্যারের সাথে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন এবং সে যেভাবে বলেন উপাচার্য মহোদয় অনেকটা সেভাবেই কাজ করেন।’

এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হুসাইন বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগগুলোতে জামায়াতপন্থী প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ৫ আগস্টের পরে আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি। বৃ্‌হস্পতিবার এ বিষয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলতে তার রুমে গিয়েছিলাম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে এখনো আওয়ামীপন্থী ও বিতর্কিতদের রাখা হচ্ছে। এইসব বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম।’

তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদ কবির বলেন, ‘আমি যতটুকু প্রশাসনের পাশে থেকে দেখেছি বা যতটুকু তথ্য আছে তাতে বোঝা যায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগগুলো মেধার ভিত্তিতে হয়েছে। আর একটা বিষয় যতজন নিয়োগ পেয়েছে সবাই কোন না কোন টপ জায়গাতেই ছিল। তো সে যায়গা থেকে যারা এসব করছে জাস্ট একটা ট্যাগিং দেয়ার জন্য করছে। যারা টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যান্ডিডেট নিতে চাচ্ছিলো সেটা না পারার কারনে একটা ট্যাগিং করছে যাতে তাদেরকে বিতর্কের মধ্যে ফেলা যায়।’

ভিসির তার কথামতো কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা টোটালি বানোয়াট কথা। ভিসি স্যার তো কারও কথায় চলে না, সে যায়গায় আমার কথা শুনে চলার তো কোন প্রশ্নই আসেনা।’

জামায়াতপন্থীদের একচেটিয়াভাবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার একার পক্ষে কোনো নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। আমি নিয়োগ কমিটির সভাপতি, একজন সদস্য মাত্র । কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট অনুমোদন দেয়। এর আগে লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যে সর্বোচ্চ ভালো করে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়।  এখানে পক্ষপাতের কোনো সুযোগ নেই। ’

জনপ্রিয়

ব্যাডমিন্টন প্রতিভার খোঁজে ব্যাডমিন্টন বাংলাদেশ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে দলীয়করণের অভিযোগ, উপচার্যের কক্ষে উচ্চবাচ্য

প্রকাশিত ১০:৩৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগে একচেটিয়াভাবে জামায়াতপন্থী শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার(২০ নভেম্বর) দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের কক্ষে ১০-১৫ জন কর্মকর্তা এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হুসাইন ও তানভীর হোসেনের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে উচ্চবাচ্য ও অসদাচারণের অভিযোগ ওঠে।

শুক্রবার( ২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগে একচেটিয়াভাবে জামায়াত-শিবির পন্থীদের নিয়োগ দেওয়ার একই অভিযোগ তোলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধান। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদ কবিরের বিরুদ্ধে দাঁড়িপাল্লায় ভোটের জন্য উপাচার্যকে আওয়ামীলীগপন্থীদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়োগে জামায়াতপন্থীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এটি এখন একটি ওপেন সিক্রেট। এ পর্যন্ত যতজন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তাদেরকে নিয়ে ইউটিএল নামের জামায়াতপন্থী একটি সংগঠন খোলা হয়েছে। এই থেকেই প্রতীয়মান হয় যে বর্তমান প্রশাসন দেখে দেখে জামায়াত শিবিরকেই নিয়োগ দিচ্ছে। প্রশাসনের নিয়োগের তাড়াহুড়ো দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচনের পর যদি আমরা না থাকি বা ক্ষমতায় না আসি, তাহলে তো আমাদের দলের লোকসংখ্যা বাড়াতে পারবোনা। তার চেয়ে যে কয়েকদিন আছি গণহারে জামায়াতের লোকজন নিয়োগ দিয়ে সংখ্যার আধিক্য বাড়িয়ে যাই, উনাদের নিয়োগে তাড়াহুড়ো  দেখে এমনটাই প্রতীয়মান হচ্ছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘অভ্যন্তরীণ প্রার্থী নিয়োগের নামে আওয়ামীলীগ পন্থীদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। শুনেছি শিবিরের সভাপতি সাদ কবির উপাচার্য মহোদয়কে গিয়ে বলেছেন এদের নিয়োগ দিলে এদের ভোটগুলো দাঁড়িপাল্লায় পড়বে, ভোটের আশায় তার কথাতেই আওয়ামীলীগ পুনর্বাসন করা হচ্ছে। শিবির সভাপতি সাদ কবির নিয়মিত ভিসি স্যারের সাথে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন এবং সে যেভাবে বলেন উপাচার্য মহোদয় অনেকটা সেভাবেই কাজ করেন।’

এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা ফরহাদ হুসাইন বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগগুলোতে জামায়াতপন্থী প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ৫ আগস্টের পরে আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি। বৃ্‌হস্পতিবার এ বিষয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলতে তার রুমে গিয়েছিলাম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে এখনো আওয়ামীপন্থী ও বিতর্কিতদের রাখা হচ্ছে। এইসব বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম।’

তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদ কবির বলেন, ‘আমি যতটুকু প্রশাসনের পাশে থেকে দেখেছি বা যতটুকু তথ্য আছে তাতে বোঝা যায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগগুলো মেধার ভিত্তিতে হয়েছে। আর একটা বিষয় যতজন নিয়োগ পেয়েছে সবাই কোন না কোন টপ জায়গাতেই ছিল। তো সে যায়গা থেকে যারা এসব করছে জাস্ট একটা ট্যাগিং দেয়ার জন্য করছে। যারা টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যান্ডিডেট নিতে চাচ্ছিলো সেটা না পারার কারনে একটা ট্যাগিং করছে যাতে তাদেরকে বিতর্কের মধ্যে ফেলা যায়।’

ভিসির তার কথামতো কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা টোটালি বানোয়াট কথা। ভিসি স্যার তো কারও কথায় চলে না, সে যায়গায় আমার কথা শুনে চলার তো কোন প্রশ্নই আসেনা।’

জামায়াতপন্থীদের একচেটিয়াভাবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার একার পক্ষে কোনো নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। আমি নিয়োগ কমিটির সভাপতি, একজন সদস্য মাত্র । কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট অনুমোদন দেয়। এর আগে লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যে সর্বোচ্চ ভালো করে তাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়।  এখানে পক্ষপাতের কোনো সুযোগ নেই। ’