ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ইবি ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরার পোস্টে শিবিরের নিন্দা, আইডি ডিএ্যাকটিভ Logo রবি ওয়াইফাই’ কিনে মালদ্বীপ, নেপাল ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুযোগ Logo ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আলট্রা ব্যাটারি ও রিভার্স চার্জিং ফোন রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন Logo ভাইরালের ঊর্ধ্বে নির্ভরযোগ্য তথ্য: দ্য ফ্রন্ট পেজের পাঁচ বছর Logo কবি নজরুল কলেজ অধ্যক্ষকে ছাত্রশিবিরের নববর্ষের প্রকাশনা উপহার Logo ১৮ দিনের ছুটিতে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা Logo শুক্রবার থেকে বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল! Logo জাবিতে ছাত্রশক্তির নতুন কমিটি ঘোষণা: সভাপতি আয়ান, সম্পাদক অন্বেষা Logo ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে ইবির ইংরেজি বিভাগে স্নাতক ফলাফল, বিপাকে শতাধিক শিক্ষার্থী Logo কড়াইলে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করল আনসার-ভিডিপি

জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিন্ডিকেট, জুলাই হামলায় মদদদাতা শিক্ষক ও পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের অবিলম্বে বিচারের দাবিতে ছাত্রশক্তির অবস্থান কর্মসূচি।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন সামনে এ কর্মসূচি  অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও ছাত্রশক্তির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মার্যিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই হামলার মদদদাতা ১৭জন শিক্ষকের বিচার দাবি জানান।

পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন জানান, আমার চতুর্থ বর্ষের রিপোর্টে ইচ্ছাকৃতভাবে কম গ্রেড দেয়া হয়েছে। আমি এবং আমার সুপারভাইজার ডঃ মনির হাসান খান প্রশাসনের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্টটি পুনরায় মূল্যায়নের সুপারিশ করে এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পর রেজাল্টে উন্নীত হয়। এরই মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম গ্রেড দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ না করায় প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি।

আগামীকাল সিন্ডিকেট সভায় এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীকে এমন অন্যায় না করতে পারে, তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি জাবি শাখার অন্যতম সংগঠক জিয়াউদ্দিন আয়ান জুলাই হামলায় মদদদাতা অভিযুক্ত শিক্ষক এবং পরীক্ষার ফলাফল টেম্পারিং ও অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের বিচারের দাবি জানান।

এসময় তিনি বলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আমলে নিচ্ছে না এবং গড়িমসি করছে। উপাচার্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়েতে চাই আপনাদেরকে নুরুল আলমের প্রশাসনের মতো কাজ করতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাই হামলায় মদতদাতা শিক্ষকদের বিচার নিশ্চিত করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছা করেই বিচার বিলম্বিত করছে। জাতীয় নির্বাচনের পরে দলীয় সরকারের প্রভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য।

 

শিক্ষার্থীদের ফলাফল টেম্পারিং করার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, কীভাবে ফলাফল টেম্পারিং এ জড়িত শিক্ষকরা এখনও তাদের পদে বহাল আছেন এবং ক্লাস নিচ্ছেন। অবিলম্বে প্রাণীবিদ্যা বিভাগ সহ অন্যান্য সকল বিভাগের জড়িত শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছেন, যাতে আর কোনো শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক জীবন ধ্বংস না হয়।

 

কর্মসূচিটিতে জাবি শাখা ছাত্রশক্তির সদস্য মোঃ নাহিদ হাসান ইমন, মোহাম্মদ আলি চিশতিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়

ইবি ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরার পোস্টে শিবিরের নিন্দা, আইডি ডিএ্যাকটিভ

জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষকদের বিচার দাবি

প্রকাশিত ১১:৫০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিন্ডিকেট, জুলাই হামলায় মদদদাতা শিক্ষক ও পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের অবিলম্বে বিচারের দাবিতে ছাত্রশক্তির অবস্থান কর্মসূচি।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন সামনে এ কর্মসূচি  অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও ছাত্রশক্তির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মার্যিউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই হামলার মদদদাতা ১৭জন শিক্ষকের বিচার দাবি জানান।

পরীক্ষার ফলাফল অনিয়মের ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রবিন জানান, আমার চতুর্থ বর্ষের রিপোর্টে ইচ্ছাকৃতভাবে কম গ্রেড দেয়া হয়েছে। আমি এবং আমার সুপারভাইজার ডঃ মনির হাসান খান প্রশাসনের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেছি। তদন্ত কমিটি রিপোর্টটি পুনরায় মূল্যায়নের সুপারিশ করে এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পর রেজাল্টে উন্নীত হয়। এরই মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কম গ্রেড দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ না করায় প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছি।

আগামীকাল সিন্ডিকেট সভায় এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক কোনো শিক্ষার্থীকে এমন অন্যায় না করতে পারে, তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

বাংলাদেশ ছাত্রশক্তি জাবি শাখার অন্যতম সংগঠক জিয়াউদ্দিন আয়ান জুলাই হামলায় মদদদাতা অভিযুক্ত শিক্ষক এবং পরীক্ষার ফলাফল টেম্পারিং ও অনিয়মে জড়িত শিক্ষকদের বিচারের দাবি জানান।

এসময় তিনি বলেন, “ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আমলে নিচ্ছে না এবং গড়িমসি করছে। উপাচার্যকে স্মরণ করিয়ে দিয়েতে চাই আপনাদেরকে নুরুল আলমের প্রশাসনের মতো কাজ করতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাই হামলায় মদতদাতা শিক্ষকদের বিচার নিশ্চিত করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছা করেই বিচার বিলম্বিত করছে। জাতীয় নির্বাচনের পরে দলীয় সরকারের প্রভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য।

 

শিক্ষার্থীদের ফলাফল টেম্পারিং করার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, কীভাবে ফলাফল টেম্পারিং এ জড়িত শিক্ষকরা এখনও তাদের পদে বহাল আছেন এবং ক্লাস নিচ্ছেন। অবিলম্বে প্রাণীবিদ্যা বিভাগ সহ অন্যান্য সকল বিভাগের জড়িত শিক্ষকদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছেন, যাতে আর কোনো শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক জীবন ধ্বংস না হয়।

 

কর্মসূচিটিতে জাবি শাখা ছাত্রশক্তির সদস্য মোঃ নাহিদ হাসান ইমন, মোহাম্মদ আলি চিশতিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।