ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ইবি ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরার পোস্টে শিবিরের নিন্দা, আইডি ডিএ্যাকটিভ Logo রবি ওয়াইফাই’ কিনে মালদ্বীপ, নেপাল ও কক্সবাজার ভ্রমণের সুযোগ Logo ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আলট্রা ব্যাটারি ও রিভার্স চার্জিং ফোন রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন Logo ভাইরালের ঊর্ধ্বে নির্ভরযোগ্য তথ্য: দ্য ফ্রন্ট পেজের পাঁচ বছর Logo কবি নজরুল কলেজ অধ্যক্ষকে ছাত্রশিবিরের নববর্ষের প্রকাশনা উপহার Logo ১৮ দিনের ছুটিতে কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা Logo শুক্রবার থেকে বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল! Logo জাবিতে ছাত্রশক্তির নতুন কমিটি ঘোষণা: সভাপতি আয়ান, সম্পাদক অন্বেষা Logo ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে ইবির ইংরেজি বিভাগে স্নাতক ফলাফল, বিপাকে শতাধিক শিক্ষার্থী Logo কড়াইলে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করল আনসার-ভিডিপি

জাবির শেখ মুজিব হলের নাম পরিবর্তনে নিন্দা এনসিপি নেতার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং গণঅভ্যুত্থানের দেড় বছর পর শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক হল’ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মুসফিক উস সালেহীন।

গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১২ বারোটার দিকে ‘আমরাই জাহাঙ্গীরনগর’ নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে একটি পোস্টে এ নিন্দা জানান। মুশফিক উস সালেহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তনের নিন্দা জানাই। কেউ না কেউ কথাটা বলবে ভেবেছিলাম, কিন্তু সবাই চুপ। শেখ মুজিবুর রহমান হলকে ১০ নং হল বলা হচ্ছিল অনেক দিন ধরে। এখন সেটির নাম শেরে বাংলা রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা, শেখ রাসেল ও বঙ্গমাতা হলের নাম পরিবর্তন প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বদলের প্রয়োজন বুঝলাম না।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ মুজিবকে দেবতা বানানোর পক্ষে নই, আবার তাকে অস্বীকার করার পক্ষেও নই। স্বাধীনতা সংগ্রামে তার নেতৃত্বকে মুছে ফেলা যাবে না। দেশের বড় অংশের মানুষ, এমনকি যারা আওয়ামী লীগ পছন্দ করেন না— তারাও তাকে শ্রদ্ধা করে। ইতিহাস থেকে তাকে সরানো সম্ভব নয়।

মুশফিক জানান, এই নাম পরিবর্তন অকারণে রাজনৈতিক বিভাজন বাড়াবে। তার মতে, “এটি ঠিক আওয়ামী লীগ আমলে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম বদলে শাহজালাল রাখার মতো ঘটনা। অতীত নিয়ে টানাহেঁচড়া না করে প্রশাসনের উচিত ছিল ভবিষ্যতমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

দেখা যায় তার পোস্টের কমেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তীব্র সমালোচনা করেন। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪২তম ব্যাচের ছাত্র জিয়াউল হক কমেন্টে লেখেন, ‘মিথ্যা বানোয়াট ইতিহাস দিয়ে মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হইছিল মুজিব পুজা! অন্ধ ভক্তরা পীরের মত বিশ্বাস করে ফেলছে! ফলে মিথ্যা এমন ভাবে তাদের মগজে প্রতিষ্ঠিত হইছে এখন সত্য ও সামনে আসলেও মানতে সামান্য কষ্ট লাগে,, তবে যেটা সত্য সেটা হল মুজিবাদ মুছে যাবে,, মুজিবের আসল চরিত্র সামনে আসবে আসতেছে,, এসব মুজিব চেতনা আর মানুষ খায়না!! মুজিব নিয়ে যেই লিখবে সেই দালালের খাতায় নাম দিবে!! কমেন্ট গুলা পড়লে আশা করি তোমার কিঞ্চিৎ লজ্জাও হবে!!’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিপির এক পলিটিকাল কাউন্সিল সদস্য জানান, “মুশফিকের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক ছিলো, দিনদিন তার আওয়ামী প্রীতি প্রকাশ পাচ্ছে, দলের অনেকে তাকে ইদানিং এনসিপিতে আওয়ামী লীগের গুপ্তচর বা এজেন্সির লোক হিসেবে মনে করছে।”

এনসিপির বেশ কয়েকজন নেতা নাম না প্রকাশ করে বলেন, “মুশফিক সুশীলতার মোড়কে মূলত ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে-এটা ভারতীয় এজেন্ডা মনে হচ্ছে। তাছাড়া জুলাই আন্দোলনেরও তার তেমন কোন ভূমিকা আমাদের চোখে পড়েনি।”

জনপ্রিয়

ইবি ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরার পোস্টে শিবিরের নিন্দা, আইডি ডিএ্যাকটিভ

জাবির শেখ মুজিব হলের নাম পরিবর্তনে নিন্দা এনসিপি নেতার

প্রকাশিত ১০:২০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং গণঅভ্যুত্থানের দেড় বছর পর শেখ পরিবারের নামে থাকা চারটি হলের নাম পরিবর্তন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক হল’ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মুসফিক উস সালেহীন।

গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১২ বারোটার দিকে ‘আমরাই জাহাঙ্গীরনগর’ নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপে তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে একটি পোস্টে এ নিন্দা জানান। মুশফিক উস সালেহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তনের নিন্দা জানাই। কেউ না কেউ কথাটা বলবে ভেবেছিলাম, কিন্তু সবাই চুপ। শেখ মুজিবুর রহমান হলকে ১০ নং হল বলা হচ্ছিল অনেক দিন ধরে। এখন সেটির নাম শেরে বাংলা রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা, শেখ রাসেল ও বঙ্গমাতা হলের নাম পরিবর্তন প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বদলের প্রয়োজন বুঝলাম না।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ মুজিবকে দেবতা বানানোর পক্ষে নই, আবার তাকে অস্বীকার করার পক্ষেও নই। স্বাধীনতা সংগ্রামে তার নেতৃত্বকে মুছে ফেলা যাবে না। দেশের বড় অংশের মানুষ, এমনকি যারা আওয়ামী লীগ পছন্দ করেন না— তারাও তাকে শ্রদ্ধা করে। ইতিহাস থেকে তাকে সরানো সম্ভব নয়।

মুশফিক জানান, এই নাম পরিবর্তন অকারণে রাজনৈতিক বিভাজন বাড়াবে। তার মতে, “এটি ঠিক আওয়ামী লীগ আমলে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম বদলে শাহজালাল রাখার মতো ঘটনা। অতীত নিয়ে টানাহেঁচড়া না করে প্রশাসনের উচিত ছিল ভবিষ্যতমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

দেখা যায় তার পোস্টের কমেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তীব্র সমালোচনা করেন। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪২তম ব্যাচের ছাত্র জিয়াউল হক কমেন্টে লেখেন, ‘মিথ্যা বানোয়াট ইতিহাস দিয়ে মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হইছিল মুজিব পুজা! অন্ধ ভক্তরা পীরের মত বিশ্বাস করে ফেলছে! ফলে মিথ্যা এমন ভাবে তাদের মগজে প্রতিষ্ঠিত হইছে এখন সত্য ও সামনে আসলেও মানতে সামান্য কষ্ট লাগে,, তবে যেটা সত্য সেটা হল মুজিবাদ মুছে যাবে,, মুজিবের আসল চরিত্র সামনে আসবে আসতেছে,, এসব মুজিব চেতনা আর মানুষ খায়না!! মুজিব নিয়ে যেই লিখবে সেই দালালের খাতায় নাম দিবে!! কমেন্ট গুলা পড়লে আশা করি তোমার কিঞ্চিৎ লজ্জাও হবে!!’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিপির এক পলিটিকাল কাউন্সিল সদস্য জানান, “মুশফিকের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক ছিলো, দিনদিন তার আওয়ামী প্রীতি প্রকাশ পাচ্ছে, দলের অনেকে তাকে ইদানিং এনসিপিতে আওয়ামী লীগের গুপ্তচর বা এজেন্সির লোক হিসেবে মনে করছে।”

এনসিপির বেশ কয়েকজন নেতা নাম না প্রকাশ করে বলেন, “মুশফিক সুশীলতার মোড়কে মূলত ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে-এটা ভারতীয় এজেন্ডা মনে হচ্ছে। তাছাড়া জুলাই আন্দোলনেরও তার তেমন কোন ভূমিকা আমাদের চোখে পড়েনি।”