বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম কর্তৃক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) শাখা সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি ইউসুফ আলীর যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গতকাল একজন শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের নৃশংস ঘটনা আড়াল করতে এবং ক্যাম্পাসগুলোতে একের পর এক ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ছাত্রদলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা শিবিরের উপর দায় চাপানোর অপরাজনীতি করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা আলম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজিদ হত্যাকাণ্ড ইস্যুর দায় শিবিরের উপর চাপিয়ে তেজগাঁও কলেজে শিক্ষার্থী খুনের ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছেন।”
তারা আরও বলেন, “গত ১৭ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির শুরু থেকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সাজিদের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কিছু মহল ও ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের উপর এ ঘটনার দায় চাপিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে তদন্ত চলাকালীন সময়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেত্রী মানসুরা আলমের এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ ছাত্রদলের ঘৃণ্য লাশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক অপপ্রচারেরই একটি অংশ।”
বিবৃতিতে ছাত্রদল নেত্রীর এমন অসত্য বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা দাবি করে সুস্থ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান সংগঠনটি।
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকান্ডের শিকার শিক্ষার্থী সাজিদকে শিবির মেরেছে দাবি করে এক ফেসবুক পোস্ট দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম।
তবে এ বিষয়ে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা নির্দিষ্ট করে এসব বলছে বা লিখছে তা তাদের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা এমন তথ্য পেলে এতদিনে চিহ্নিত করে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করতাম।
এদিকে এসব ঘটনায় সন্ধায় পর থেকে নিজ ফেসবুক আইডি ডিএ্যাকটিভ করে রেখেছেন ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম। এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।



















