ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার Logo শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে জাককানইবিতে ইউটিএল এর ১০ দফা দাবি ঘোষণা Logo কমনরুমের ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি ছাত্রীসংস্থার স্মারকলিপি প্রদান Logo যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক মেহেদী হাসান কারাগারে Logo সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশনের নিন্দা Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়

শিল্পকলায় লালন স্মরণোৎসব জমজমাট

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০:০০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ১২ বার পঠিত
লালন সাঁইজির স্মরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে তিন দিনব্যাপী উৎসব। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে একাডেমির নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হয় ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। উৎসব প্রাঙ্গন ছিল জমজমাট।
এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণ করে একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান বলেন, লালন সাঁইজি বৈষম্যবিরোধী এবং মানবতার কথা বলে গেছেন।
অনুষ্ঠানে আগত বাউল শিল্পীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর এই দিনে কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ার মতো করেই আমরা লালন উৰসব আয়োজন করতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, লালনের শিক্ষাই হলো অহিংস বাহাস আর সাধনা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের মুলমন্ত্র। লালনের গান হলো- তত্ব গান যা প্রয়োগের সাথে যুক্ত, সাধনার সাথে যুক্ত। তত্ব যা যে কোন সাধনার মূল খোঁজার প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, লালনের বাণী অনুসারে জ্ঞান অন্বেষিত হয় শিল্পকলার মাধ্যমে, এজন্য লালন সাঁইজি আমাদের প্রিয়। আমাদের রাষ্ট্র গঠনের নতুন পরিকল্পনায়, তিনি পথ দেখাতে সক্ষম। জ্ঞানভিত্তিক আত্মজীবন কি করে, রাষ্ট্র ও সমাজের কেন্দ্রে স্থাপিত হয় শিল্পকর্মের মাধ্যমে উনি তা দেখিয়েছেন।
সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই দৈন্য গান ‘এসো হে দয়াল কান্ডারী’ পরিবেশন করেন নবীন, প্রবীন ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীবৃন্দ। এরপর মো. মুক্তার হোসেন  পরিবেশন করেন ‘এনেছে এক নবীন গোড়া’। ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ পরিবেশন করেন শিরিন সুলতানা। ‘সাইর লীলা বুঝবি ক্ষ্যাপা’ পরিবেশন করেন শ্রীকৃষ্ণ গোপাল। এছাড়াও পরিবেশিত হয় ‘দাসের যোগ্য নাই চরনে’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘কোন নামে ডাকিলে তারে’, ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’সহ লালনের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গান।
এছাড়া পাগলা বাবলু, চন্দনা মজুমদার, রাবেয়া আক্তার, বাউল লতিফ শাহ্, রুমা আক্তার, ওমর আলী, আয়নাল হক বাউল, বিপ্লব ফকিরানী; বিপ্লব ফকির, আনোয়ার শাহ্, আরিফ বাউলসহ গুণী বাউল শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। সবশেষে নবীন, প্রবীন ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের জনপ্রিয় মিলন গান ‘মিলন হবে কত দিনে’।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) উৎসবের সমাপনী দিনে বিকাল ৪টায় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে ১ম পর্বে ‘জাতিসত্তার প্রশ্ন এবং বাউল-ফকির পরিবেশনার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
জনপ্রিয়

ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার

শিল্পকলায় লালন স্মরণোৎসব জমজমাট

প্রকাশিত ১০:০০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
লালন সাঁইজির স্মরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে তিন দিনব্যাপী উৎসব। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে একাডেমির নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হয় ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। উৎসব প্রাঙ্গন ছিল জমজমাট।
এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণ করে একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান বলেন, লালন সাঁইজি বৈষম্যবিরোধী এবং মানবতার কথা বলে গেছেন।
অনুষ্ঠানে আগত বাউল শিল্পীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর এই দিনে কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ার মতো করেই আমরা লালন উৰসব আয়োজন করতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, লালনের শিক্ষাই হলো অহিংস বাহাস আর সাধনা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের মুলমন্ত্র। লালনের গান হলো- তত্ব গান যা প্রয়োগের সাথে যুক্ত, সাধনার সাথে যুক্ত। তত্ব যা যে কোন সাধনার মূল খোঁজার প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, লালনের বাণী অনুসারে জ্ঞান অন্বেষিত হয় শিল্পকলার মাধ্যমে, এজন্য লালন সাঁইজি আমাদের প্রিয়। আমাদের রাষ্ট্র গঠনের নতুন পরিকল্পনায়, তিনি পথ দেখাতে সক্ষম। জ্ঞানভিত্তিক আত্মজীবন কি করে, রাষ্ট্র ও সমাজের কেন্দ্রে স্থাপিত হয় শিল্পকর্মের মাধ্যমে উনি তা দেখিয়েছেন।
সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই দৈন্য গান ‘এসো হে দয়াল কান্ডারী’ পরিবেশন করেন নবীন, প্রবীন ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীবৃন্দ। এরপর মো. মুক্তার হোসেন  পরিবেশন করেন ‘এনেছে এক নবীন গোড়া’। ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ পরিবেশন করেন শিরিন সুলতানা। ‘সাইর লীলা বুঝবি ক্ষ্যাপা’ পরিবেশন করেন শ্রীকৃষ্ণ গোপাল। এছাড়াও পরিবেশিত হয় ‘দাসের যোগ্য নাই চরনে’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘কোন নামে ডাকিলে তারে’, ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’সহ লালনের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গান।
এছাড়া পাগলা বাবলু, চন্দনা মজুমদার, রাবেয়া আক্তার, বাউল লতিফ শাহ্, রুমা আক্তার, ওমর আলী, আয়নাল হক বাউল, বিপ্লব ফকিরানী; বিপ্লব ফকির, আনোয়ার শাহ্, আরিফ বাউলসহ গুণী বাউল শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। সবশেষে নবীন, প্রবীন ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের জনপ্রিয় মিলন গান ‘মিলন হবে কত দিনে’।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) উৎসবের সমাপনী দিনে বিকাল ৪টায় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে ১ম পর্বে ‘জাতিসত্তার প্রশ্ন এবং বাউল-ফকির পরিবেশনার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।