ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

শিল্পকলায় লালন স্মরণোৎসব জমজমাট

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০:০০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০ বার পঠিত
লালন সাঁইজির স্মরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে তিন দিনব্যাপী উৎসব। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে একাডেমির নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হয় ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। উৎসব প্রাঙ্গন ছিল জমজমাট।
এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণ করে একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান বলেন, লালন সাঁইজি বৈষম্যবিরোধী এবং মানবতার কথা বলে গেছেন।
অনুষ্ঠানে আগত বাউল শিল্পীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর এই দিনে কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ার মতো করেই আমরা লালন উৰসব আয়োজন করতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, লালনের শিক্ষাই হলো অহিংস বাহাস আর সাধনা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের মুলমন্ত্র। লালনের গান হলো- তত্ব গান যা প্রয়োগের সাথে যুক্ত, সাধনার সাথে যুক্ত। তত্ব যা যে কোন সাধনার মূল খোঁজার প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, লালনের বাণী অনুসারে জ্ঞান অন্বেষিত হয় শিল্পকলার মাধ্যমে, এজন্য লালন সাঁইজি আমাদের প্রিয়। আমাদের রাষ্ট্র গঠনের নতুন পরিকল্পনায়, তিনি পথ দেখাতে সক্ষম। জ্ঞানভিত্তিক আত্মজীবন কি করে, রাষ্ট্র ও সমাজের কেন্দ্রে স্থাপিত হয় শিল্পকর্মের মাধ্যমে উনি তা দেখিয়েছেন।
সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই দৈন্য গান ‘এসো হে দয়াল কান্ডারী’ পরিবেশন করেন নবীন, প্রবীন ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীবৃন্দ। এরপর মো. মুক্তার হোসেন  পরিবেশন করেন ‘এনেছে এক নবীন গোড়া’। ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ পরিবেশন করেন শিরিন সুলতানা। ‘সাইর লীলা বুঝবি ক্ষ্যাপা’ পরিবেশন করেন শ্রীকৃষ্ণ গোপাল। এছাড়াও পরিবেশিত হয় ‘দাসের যোগ্য নাই চরনে’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘কোন নামে ডাকিলে তারে’, ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’সহ লালনের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গান।
এছাড়া পাগলা বাবলু, চন্দনা মজুমদার, রাবেয়া আক্তার, বাউল লতিফ শাহ্, রুমা আক্তার, ওমর আলী, আয়নাল হক বাউল, বিপ্লব ফকিরানী; বিপ্লব ফকির, আনোয়ার শাহ্, আরিফ বাউলসহ গুণী বাউল শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। সবশেষে নবীন, প্রবীন ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের জনপ্রিয় মিলন গান ‘মিলন হবে কত দিনে’।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) উৎসবের সমাপনী দিনে বিকাল ৪টায় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে ১ম পর্বে ‘জাতিসত্তার প্রশ্ন এবং বাউল-ফকির পরিবেশনার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

শিল্পকলায় লালন স্মরণোৎসব জমজমাট

প্রকাশিত ১০:০০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
লালন সাঁইজির স্মরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে তিন দিনব্যাপী উৎসব। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) উৎসবের দ্বিতীয় দিনে একাডেমির নন্দনমঞ্চে পরিবেশিত হয় ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। উৎসব প্রাঙ্গন ছিল জমজমাট।
এই আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণ করে একাডেমির সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান বলেন, লালন সাঁইজি বৈষম্যবিরোধী এবং মানবতার কথা বলে গেছেন।
অনুষ্ঠানে আগত বাউল শিল্পীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবছর এই দিনে কুষ্টিয়ার ছেঁউরিয়ার মতো করেই আমরা লালন উৰসব আয়োজন করতে চাই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, লালনের শিক্ষাই হলো অহিংস বাহাস আর সাধনা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণের মুলমন্ত্র। লালনের গান হলো- তত্ব গান যা প্রয়োগের সাথে যুক্ত, সাধনার সাথে যুক্ত। তত্ব যা যে কোন সাধনার মূল খোঁজার প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, লালনের বাণী অনুসারে জ্ঞান অন্বেষিত হয় শিল্পকলার মাধ্যমে, এজন্য লালন সাঁইজি আমাদের প্রিয়। আমাদের রাষ্ট্র গঠনের নতুন পরিকল্পনায়, তিনি পথ দেখাতে সক্ষম। জ্ঞানভিত্তিক আত্মজীবন কি করে, রাষ্ট্র ও সমাজের কেন্দ্রে স্থাপিত হয় শিল্পকর্মের মাধ্যমে উনি তা দেখিয়েছেন।
সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই দৈন্য গান ‘এসো হে দয়াল কান্ডারী’ পরিবেশন করেন নবীন, প্রবীন ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীবৃন্দ। এরপর মো. মুক্তার হোসেন  পরিবেশন করেন ‘এনেছে এক নবীন গোড়া’। ‘সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ পরিবেশন করেন শিরিন সুলতানা। ‘সাইর লীলা বুঝবি ক্ষ্যাপা’ পরিবেশন করেন শ্রীকৃষ্ণ গোপাল। এছাড়াও পরিবেশিত হয় ‘দাসের যোগ্য নাই চরনে’, ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’, ‘কোন নামে ডাকিলে তারে’, ‘খাচার ভিতর অচিন পাখি’সহ লালনের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গান।
এছাড়া পাগলা বাবলু, চন্দনা মজুমদার, রাবেয়া আক্তার, বাউল লতিফ শাহ্, রুমা আক্তার, ওমর আলী, আয়নাল হক বাউল, বিপ্লব ফকিরানী; বিপ্লব ফকির, আনোয়ার শাহ্, আরিফ বাউলসহ গুণী বাউল শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। সবশেষে নবীন, প্রবীন ও বিশিষ্ট বাউল শিল্পীবৃন্দ পরিবেশন করেন লালন সাঁইয়ের জনপ্রিয় মিলন গান ‘মিলন হবে কত দিনে’।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) উৎসবের সমাপনী দিনে বিকাল ৪টায় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে ১ম পর্বে ‘জাতিসত্তার প্রশ্ন এবং বাউল-ফকির পরিবেশনার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।