ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার Logo শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে জাককানইবিতে ইউটিএল এর ১০ দফা দাবি ঘোষণা Logo কমনরুমের ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি ছাত্রীসংস্থার স্মারকলিপি প্রদান Logo যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও স্বাস্থ্য সচেতনতা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক মেহেদী হাসান কারাগারে Logo সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় পিস ফর পিপল ফাউন্ডেশনের নিন্দা Logo পানিতে ৬০ দিন টিকে থাকার সক্ষমতা ও উজ্জ্বলতম ডিসপ্লে নিয়ে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো উন্মোচন Logo এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’-তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস Logo স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হুমায়ুন আহমেদ সপ্তাহ’ Logo NEIR বাস্তবায়নের মাধ্যমে হ্যান্ডসেট শিল্পে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়

‘র’ এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার, যা বললো ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) এর ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে উত্থাপিত ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং)-এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইউএসসিআইআরএফ তাদের প্রতিবেদনটিতে দাবি করেছে যে, ‘র’ সহ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন ঘটছে, যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন কমিশনের প্রতিবেদনটির প্রতি ভারতের পূর্ণ অসম্মতি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউএসসিআইআরএফ বারবার পক্ষপাতমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ মূল্যায়ন করতে গিয়ে প্রকৃত তথ্য বিকৃত করছে।

ভারত সরকার প্রতিবেদনটিকে ‘বিস্ফোরক’ ও ‘অপেক্ষাকৃত আক্রমণাত্মক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা দাবি করেছে যে, এই প্রতিবেদনটি একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভারত আরও জানিয়েছে যে, ইউএসসিআইআরএফের লক্ষ্য হলো ভারতের বহুত্ববাদী সমাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা এবং দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।

এছাড়া, ইউএসসিআইআরএফ সংস্থাকে একটি ‘উদ্বেগের সংস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করে, ভারত তাদের নিরপেক্ষতা ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভারত দাবি করেছে, ইউএসসিআইআরএফ কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা নয়, বরং এটি একটি ‘এজেন্ডা-ভিত্তিক’ সংস্থা যা উদ্দেশ্যপূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে।

ভারত সরকার তাদের বহুত্ববাদী সমাজ ও ধর্মীয় সহাবস্থানের প্রশংসা করে জানায়, ভারত হল বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে ১৪০ কোটি মানুষ বাস করে এবং পৃথিবীর সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তাদের মতে, ইউএসসিআইআরএফের এই প্রতিবেদনটি ভারত সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং বহুত্ববাদী কাঠামো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।

 

Advertisement

২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন শিখ নাগরিকের হত্যাচেষ্টায় ভারতের ‘র’ সংস্থার এক কর্মকর্তা ও ছয়জন কূটনীতিকের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। তবে, ভারত এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে, ইউএসসিআইআরএফ বিচ্ছিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ভারতের বিরুদ্ধে একপেশে মনোভাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

জনপ্রিয়

ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ বাড়াতে বাকৃবিতে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার

‘র’ এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার, যা বললো ভারত

প্রকাশিত ১১:০৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) এর ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে উত্থাপিত ‘র’ (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং)-এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইউএসসিআইআরএফ তাদের প্রতিবেদনটিতে দাবি করেছে যে, ‘র’ সহ কয়েকটি ভারতীয় সংস্থার বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন ঘটছে, যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ মার্চ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন কমিশনের প্রতিবেদনটির প্রতি ভারতের পূর্ণ অসম্মতি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউএসসিআইআরএফ বারবার পক্ষপাতমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ মূল্যায়ন করতে গিয়ে প্রকৃত তথ্য বিকৃত করছে।

ভারত সরকার প্রতিবেদনটিকে ‘বিস্ফোরক’ ও ‘অপেক্ষাকৃত আক্রমণাত্মক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তারা দাবি করেছে যে, এই প্রতিবেদনটি একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ভারত আরও জানিয়েছে যে, ইউএসসিআইআরএফের লক্ষ্য হলো ভারতের বহুত্ববাদী সমাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা এবং দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।

এছাড়া, ইউএসসিআইআরএফ সংস্থাকে একটি ‘উদ্বেগের সংস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করে, ভারত তাদের নিরপেক্ষতা ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভারত দাবি করেছে, ইউএসসিআইআরএফ কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা নয়, বরং এটি একটি ‘এজেন্ডা-ভিত্তিক’ সংস্থা যা উদ্দেশ্যপূর্ণ তথ্য দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে।

ভারত সরকার তাদের বহুত্ববাদী সমাজ ও ধর্মীয় সহাবস্থানের প্রশংসা করে জানায়, ভারত হল বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে ১৪০ কোটি মানুষ বাস করে এবং পৃথিবীর সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। তাদের মতে, ইউএসসিআইআরএফের এই প্রতিবেদনটি ভারত সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং বহুত্ববাদী কাঠামো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।

 

Advertisement

২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন শিখ নাগরিকের হত্যাচেষ্টায় ভারতের ‘র’ সংস্থার এক কর্মকর্তা ও ছয়জন কূটনীতিকের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠে। তবে, ভারত এই অভিযোগও অস্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে, ইউএসসিআইআরএফ বিচ্ছিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ভারতের বিরুদ্ধে একপেশে মনোভাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।