ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) সংস্কারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর ১৫ দফা দাবি সংবলিত স্মারক লিপি জমাদানের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেছে ইবি সংস্কার আন্দোলন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে স্মারক লিপি জমা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাদের দাবিগুলো হলো, সেশনজট নিরসন, সাজিদ হত্যার বিচার ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ছাত্র সংসদ গঠন, ডিজিটালাইজেশন, আবাসন সংকট নিরসন, চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন, খাবারের মান বৃদ্ধি, ফ্যাসিবাদী দোসরদের বিচার, পরিবহন সংকট দূরীকরণ, সাপের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ, প্রতিটি বিভাগে মানসম্মত ছাত্রী কমনরুম নিশ্চিত করা, প্রত্যেক বিভাগ ও হলে ফার্স্ট এইড বক্স রাখা, শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা ও শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার বুলিং বন্ধে নীতিমালা প্রণয়ন করা।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগে সেশনজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই জট নিরসনে আমরা তেমন পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যা ঘটনার দেড় মাস হয়ে গেলেও এখনো হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি প্রশাসন। অনতিবিলম্বে সাজিদের খুনিদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এই হত্যাকান্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার ভঙ্গুর অবস্থা প্রমানিত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, “ছাত্র সংসদ ইকসু গঠনে বাস্তবসম্মত, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মান্ধাতার আমলের মত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালযের সকল কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হোক।”
ইবি সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ থেকে খন্দকার আবু সাঈম বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভিসি স্যারের কাছে ১৫ দফা দাবি জানিয়ে এসেছি। আমরা অতি দ্রত এসব শিক্ষার্থীবান্ধব দাবির বাস্তবায়ন চাই। আমরা এখান থেকে ইবি সংস্কার আন্দোলন’ নামে একটি প্লাটফর্ম ঘোষণা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও সংস্কার করতে সর্বদা সোচ্চার থাকবো। আমরা শীঘ্রই প্লাটফর্মটির একটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করবো।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, এসব দাবির কয়েকটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে আমরা কাজ করছি।
