জুলাই আন্দোলনকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ আখ্যা দেওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ আল আবরারের বিরুদ্ধে শাহ আজিজুর রহমান হলে সিট বরাদ্দ না দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোন সাংবাদিক সংগঠনে থাকতে পারবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত ২৭০তম (সাধারণ) সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
অফিস আদেশ সূত্রে, গত ২৯ মে দিবাগত রাত্রে শাহ আজিজুর রহমান হলে সংঘটিত ঘটনার কারণ উদঘাটন ও প্রকৃত দোষিদের চিহিত করে সুপারিশ প্রদানের বিষয়ে উপাচার্য কর্তৃক গঠিত কমিটির সুপারিশ ও ২৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭০তম (সাধারণ) সভার প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত ২৫ এর অনুমোদন অনুযায়ী কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ আল আবরার, রোল- ২১৩৫০১৬ কে শাহ আজিজুর রহমান হলে সিট বরাদ্দ না দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোন সাংবাদিক ফোরামে থাকতে পারবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।
উল্লেখ্য, ওয়াসিফ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে শাহ আজিজুর রহমান হলে অবস্থান করে আসছিল। হলের প্রভোস্ট তাকে হল থেকে চলে যেতে বলার পরেও না গেলে গত ২৯ মে দিবাগত রাতে তাকে মারধর করে হল থেকে বের করে দেয় আবাসিক শিক্ষার্থীরা। উক্ত ঘটনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ইবি শাখার নেতাকর্মীরা আবরারের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও কলেজে থাকাকালীন ওয়াসিফ পাবনার বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পরও সাংবাদিকতার নামে ছাত্রলীগের হয়ে কাজ করেছেন। জুলাই আন্দোলনেও তার ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। চারদিকে যখন আন্দোলনকারীরা একে একে শহিদ হচ্ছিল তখন সে হাসিমাখা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে। আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে শাখা ছাত্রলীগের অফিস ভাঙলে আন্দোলনকারীদের ‘দুর্বৃত্ত’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। ৫ আগস্টের পরেও তাকে বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যক্রমে দেখা যায়। এর আগে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় গত ৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
