Ovijatra
ঢাকাSaturday , 13 September 2025
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. কৃষি ও পরিবেশ
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চাকরি
  10. জাতীয়
  11. টপ নিউজ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সবশেষ খবর

আবিদ-সাদিককে ব্যাঙ্গ: ভিডিওর খন্ডাংশ প্রচারে বিভ্রান্তির সৃষ্টি

Link Copied!

ডাকসুর ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলামের জুলাই আন্দোলনে বলা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ ও ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েমকে উদ্দেশ্য করে ‘তুমিও জানো, আমিও জানি সাদিক কায়িম পাকিস্তানি’ অংশটি নিয়ে ব্যঙ্গ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে শুধু আবিদুলের অংশটুকু কেটে প্রচার করছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ অন্যান্যরা। মঙ্গলবার রাতে ডাকসুর ফল ঘোষণার পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাইমুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেন। গতকাল শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সেটি ভাইরাল হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।

পরে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সোহান হাসান সাকিব নামে এক শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। তিনি লিখেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের করা একটি ভিডিওর কিছু অংশকে অনেকেই সমালোচনাসহ প্রচার করছেন, যেখানে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ভাইয়ের ‘প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশটুকু ছিল। এই বিষয়টি নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন মনে করে এই পোস্ট।

তিনি আরও লিখেন, এই ভিডিওটি আমরা করেছি সহপাঠীদের মধ্যে আড্ডার ছলে। এটি সেন্স অব হিউমার থেকে করা। এইটা জাস্ট একটা পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। এটি উদেশ্যমূলকভাবে কাউকে আঘাতের জন্য করা হয়নি। ভিডিওটিতে আবিদ ভাইয়ের কথার পাশাপাশি সাদিক কায়েম ভাইকে নিয়েও মন্তব্য ছিল। কিন্তু ভিডিওটির একটি অংশ পোস্ট করে আবিদ ভাইয়ের বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করে একটি নেগেটিভিটি তৈরি করা হয়েছে।

সোহান লিখেন, ভিডিওটি ছিল কেবলই হলের একটি রুমে বসে বন্ধুদের মাঝে আড্ডার অংশ। এটি কোনো রাজনৈতিক বৈঠক বা উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা ছিল না। এছাড়া এটি কেবলই ডাকসু নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে, অনেকে এটিকে জুলাই আন্দোলনে আবিদ ভাইয়ের সেই বিখ্যাত আহ্বানকে অবমূল্যায়নের কথা বলছেন, এটি কোনোভাবেই তেমন উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি। বরং বিষয়টির এমন অর্থ নিয়ে অনেকে কষ্ট পেয়েছেন এটি আমাদের মর্মাহত করেছে।

তিনি লিখেন, জুলাই যোদ্ধা আবিদ ভাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য। তার হৃদয়গ্রাহী আহ্বান— “প্লিজ কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না” আন্দোলনের কঠিন মুহূর্তে হাজারো শিক্ষার্থীর মনোবল ধরে রেখেছিল, মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। আমরাও আন্দোলনের মাঠে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম।

মজার ছলে করা আমাদের এই ভিডিওটি এভাবে মানুষকে কষ্ট দেবে, বিশেষ করে আমাদের জুলাই সহযোদ্ধাদের, এটি কখনোই ভাবতে পারিনি। আবিদ ভাইসহ যারা আমাদের এই কর্মকাণ্ডে ব্যথিত হয়েছেন সবার কাছে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আবিদ ও সাদিক ভাইসহ সকলের কাছে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।

এক শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করে লেখেন, কাদের ভাই যেভাবে জুলাইকে (৯ দফার ঘোষক বলে) বিক্রি করে ভোট বাড়াতে চেয়েছে।তেমনি আবিদ ভাইও জুলাইয়ে বলা টার্মকে ব্যবহার করে ভোট কাস্ট করতে চাইছে। সাক্ষাতকার, প্রচারণা, টকশো সর্বত্র নিজেকে নিজেই হিরো হিসেবে উপস্থাপন করতে চেয়েছে। কার কি অবদান সেটা তো সবাই জানে। সবার অবদানের প্রতিই জুলাইয়ের যোদ্ধারা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু অবদানকে পুঁজি করে কিছু করাকে মানুষ এখন ৭১ এর চেতনাকে বিক্রির সাথেই তুলনা করে। এবার সেটা যেই করুক না কেন! সেটাকে স্যাটায়ার করেই হয়তো ভিডিওটা বানিয়েছে। তবে এটা কাট ভিডিও, শুরুর অংশে সাদিক কায়েম পাকিস্তানি বলা বামদের শ্লোগানকে আনা হয়েছিল। তবুও এমন ভিডিও না বানালেই ভালো হতো।

প্রসঙ্গত, তাদের পোস্ট করা ২৬ সেকেন্ডের মূল ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ‘তুমিও জানো আমিও জানি, সাদিক কায়েম পাকিস্তানি’ স্লোগান নেন। পাশাপাশা ‘প্লিজ, কেউ কাউকে ছেড়ে যায়েন না’ নিয়েও ব্যঙ্গ করেন। তবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কাঁটছাট করে শেষের ১২ সেকেন্ডের শুধু ‘প্লিজ কেউ ছেড়ে যাইয়েন না’ অংশ প্রচার করা হয়।

ভিডিওতে থাকা শিক্ষার্থীরা হলেন, ওমর ফারুক (ইইই ২০-২১ সেশন), নাহিদ হাসান (আল কুরআন ২০-২১), নাইমুর রহমান (অর্থনীতি ২১-২২), সোহান (ল ১৭-১৮), রোকনুজ্জামান রোকন (মার্কেটিং ১৯-২০), মোজাম্মেল (দাওয়াহ ২১-২২), আবদুল্লাহ নুর মিনহাজ (আল হাদিস ২০-২১)। তারা সবাই ইবি শাখা ছাত্র শিবিরের হল ও ফ্যাকাল্টির নেতাকর্মী।

এদিকে এ নিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ইবি শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও মাসুদ রুমী মিথুনের পক্ষে এ অভিযোগ দেন আহবায়ক কমিটির সদস্য রাফিজ আহমেদ।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।