ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

মাতৃভাষায় জ্ঞান বিস্তার না হওয়ায় শিক্ষা বিপন্ন: ড. সলিমুল্লাহ খান

  • সাকীফ বিন আলম
  • প্রকাশিত ০৭:১৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৩৩ বার পঠিত

বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, “আমি বাংলায় কথা বলছি। আমি তো জানি, আমি বাংলা ভাষাকে নতুন করে প্রাণ দেওয়ার জন্য কিছু বলছি না। পৃথিবীর সব দেশের ভাষায় শিক্ষা এবং জ্ঞান বিস্তারের মাধ্যম হয়ে গেলে সব মানুষের শিক্ষিত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমাদের দেশে যে এখনও শত শত মানুষ শিক্ষিত হতে পারেনি, তাদের জ্ঞানের আলো আমরা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারিনি লিখিত রূপে, সেটার কারণ হচ্ছে আমাদের অর্থ জ্ঞানের অভাব, আমাদের বিদ্যা শিক্ষার জন্য বইপত্রের অভাব।”

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের দু’দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, “এখনও সরকারি হিসেবেই আমাদের দেশের শতকরা ২৬ জন লোক নাম স্বাক্ষর করতে পারে না, যদিও স্বাক্ষরতা আর শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য আছে। কিন্তু কই? এদেশের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষার বিস্তার হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় আমরা লেগেছি। এটাও এক ধরনের ঐতিহাসিক ঘটনার ফল।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “ইংরেজ আমল থেকে আমাদের দেশে এক ধরনের শাসন ব্যবস্থা চলছে। সেটা হলো মুষ্টিমেয় ও ভদ্রলোকের শাসন। তারা নিজেদের উপাধি দেয় এলিট।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষা ও জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তর। এখানে প্রবেশ মানে মানবজীবনের এক বিশেষ গৌরব ও দায়িত্বের সূচনা। শিক্ষার্থীরা কেবল ভর্তি হয়নি, বরং জ্ঞানের উচ্চতর পরিসরে প্রবেশ করেছে। এখান থেকে তারা বিশ্বপরিসরে জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হলো এখানে কোনো শিক্ষক পাঠ্যবই ডিক্টেট করেন না, বরং শিক্ষার্থীদের নিজে পড়তে, অন্বেষণ করতে ও জ্ঞান আহরণে উদ্বুদ্ধ করেন। এর মাধ্যমে তারা স্বনির্ভর অধ্যয়ন ও জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে।”

স্বাগত বক্তব্য দেন ওরিয়েন্টেশন দ্বিতীয় দিনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান।

সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক মো. হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক। এসময় থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও কলা অনুষদের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিথি ও নবীনদের ফুল ও গানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক তথ্য সম্বলিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

মাতৃভাষায় জ্ঞান বিস্তার না হওয়ায় শিক্ষা বিপন্ন: ড. সলিমুল্লাহ খান

প্রকাশিত ০৭:১৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেছেন, “আমি বাংলায় কথা বলছি। আমি তো জানি, আমি বাংলা ভাষাকে নতুন করে প্রাণ দেওয়ার জন্য কিছু বলছি না। পৃথিবীর সব দেশের ভাষায় শিক্ষা এবং জ্ঞান বিস্তারের মাধ্যম হয়ে গেলে সব মানুষের শিক্ষিত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমাদের দেশে যে এখনও শত শত মানুষ শিক্ষিত হতে পারেনি, তাদের জ্ঞানের আলো আমরা মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারিনি লিখিত রূপে, সেটার কারণ হচ্ছে আমাদের অর্থ জ্ঞানের অভাব, আমাদের বিদ্যা শিক্ষার জন্য বইপত্রের অভাব।”

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের দু’দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, “এখনও সরকারি হিসেবেই আমাদের দেশের শতকরা ২৬ জন লোক নাম স্বাক্ষর করতে পারে না, যদিও স্বাক্ষরতা আর শিক্ষার মধ্যে পার্থক্য আছে। কিন্তু কই? এদেশের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষার বিস্তার হয়নি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগিতায় আমরা লেগেছি। এটাও এক ধরনের ঐতিহাসিক ঘটনার ফল।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “ইংরেজ আমল থেকে আমাদের দেশে এক ধরনের শাসন ব্যবস্থা চলছে। সেটা হলো মুষ্টিমেয় ও ভদ্রলোকের শাসন। তারা নিজেদের উপাধি দেয় এলিট।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষা ও জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তর। এখানে প্রবেশ মানে মানবজীবনের এক বিশেষ গৌরব ও দায়িত্বের সূচনা। শিক্ষার্থীরা কেবল ভর্তি হয়নি, বরং জ্ঞানের উচ্চতর পরিসরে প্রবেশ করেছে। এখান থেকে তারা বিশ্বপরিসরে জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হলো এখানে কোনো শিক্ষক পাঠ্যবই ডিক্টেট করেন না, বরং শিক্ষার্থীদের নিজে পড়তে, অন্বেষণ করতে ও জ্ঞান আহরণে উদ্বুদ্ধ করেন। এর মাধ্যমে তারা স্বনির্ভর অধ্যয়ন ও জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে।”

স্বাগত বক্তব্য দেন ওরিয়েন্টেশন দ্বিতীয় দিনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বেগম রোকসানা মিলি, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান।

সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক মো. হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক। এসময় থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও কলা অনুষদের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি ধর্মীয়গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিথি ও নবীনদের ফুল ও গানের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক তথ্য সম্বলিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।