ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সংগীত’ ও ‘শারীরিক শিক্ষা’ বিষয়ক শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গানে গানে মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে ‘কণ্ঠমুক্তির গান’ ব্যানারে শুরু হওয়া মিছিলটি নতুন কলা ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা জানান, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা–২০২৫’-এ সংগীত ও শরীরচর্চা সহকারী শিক্ষক পদ দুটি সংযোজনের পর ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর আপত্তির মুখে তা বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে তারা “সাংস্কৃতিক সহাবস্থানের ওপর আঘাত” বলে অভিহিত করেন।

বক্তারা সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতন, শ্রমিকদের ওপর হামলা এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলোকেও নিন্দা জানান।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দুর্বার আদি বলেন, সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত, নাট্যোৎসব বন্ধ, মন্দিরে হামলা কিংবা মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ–সবই আমাদের সাংস্কৃতিক সহাবস্থানের ওপর আঘাত। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল সংস্কৃতি। আজকের এই আক্রমণ সংস্কৃতির ওপর নয়, আমাদের অস্তিত্বের ওপর।”

তিনি আরও বলেন, আমরা আজ গান দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং সুদানের ও ফিলিস্তিনের চলমান গণহত্যাসহ সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছি।

সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অদ্রিতা রায় বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বারবার মবের হামলা ও মৌলবাদী আচরণ ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। সংবিধানিক অধিকার রক্ষার বদলে সরকার প্রতিক্রিয়াশীলদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।’

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’

প্রকাশিত ১১:৩১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সংগীত’ ও ‘শারীরিক শিক্ষা’ বিষয়ক শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গানে গানে মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে ‘কণ্ঠমুক্তির গান’ ব্যানারে শুরু হওয়া মিছিলটি নতুন কলা ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তারা জানান, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা–২০২৫’-এ সংগীত ও শরীরচর্চা সহকারী শিক্ষক পদ দুটি সংযোজনের পর ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠীর আপত্তির মুখে তা বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে তারা “সাংস্কৃতিক সহাবস্থানের ওপর আঘাত” বলে অভিহিত করেন।

বক্তারা সাম্প্রতিক সময়ে নারী নির্যাতন, শ্রমিকদের ওপর হামলা এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের ঘটনাগুলোকেও নিন্দা জানান।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দুর্বার আদি বলেন, সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত, নাট্যোৎসব বন্ধ, মন্দিরে হামলা কিংবা মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ–সবই আমাদের সাংস্কৃতিক সহাবস্থানের ওপর আঘাত। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল সংস্কৃতি। আজকের এই আক্রমণ সংস্কৃতির ওপর নয়, আমাদের অস্তিত্বের ওপর।”

তিনি আরও বলেন, আমরা আজ গান দিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং সুদানের ও ফিলিস্তিনের চলমান গণহত্যাসহ সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছি।

সমাবেশে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অদ্রিতা রায় বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বারবার মবের হামলা ও মৌলবাদী আচরণ ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে। সংবিধানিক অধিকার রক্ষার বদলে সরকার প্রতিক্রিয়াশীলদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।’