বাম ও প্রগতিশীল ধারার ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল আলম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রথম দফায় ১৪০ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়।
জোটের সমন্বয়ক ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, মঞ্চের শরিকরা তিন ধাপে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১৪০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলো। বাকি আসনগুলোর তালিকা পরে প্রকাশ করা হবে।
প্রার্থী তালিকায় মঞ্চের শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন— নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না (বগুড়া-২), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক (ঢাকা-৮), গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব (লক্ষ্মীপুর-৪), সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন (ফেনী-৩), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম (কিশোরগঞ্জ-৫) এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু (জামালপুর-৫) প্রমুখ।
মঞ্চের নেতারা জানান, জোটভুক্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল– জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন—এই ছয় দল আগে নিজেদের প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত করে। পরে যাচাই-বাছাই শেষে তা সমন্বয় করে ১৪০ আসনের তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের পরিচালনা পরিষদের সভায় জোটগতভাবে প্রার্থী তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। ৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিক কাজ শেষ করার কথা জানানো হয়েছিল।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম জানান, তারা ৩০০ আসনের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রণয়ন করছেন। পাশাপাশি বৃহত্তর নির্বাচনি জোট গঠনের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঞ্চের পরিধি বাড়লে প্রার্থী সংখ্যাতেও পরিবর্তন আসতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
জোটটি ২০২২ সালের ৮ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করে। শুরুতে জোটে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন যুক্ত ছিল। পরে গণঅধিকার পরিষদ জোট থেকে সরে যায়।
















