ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর Logo প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক পদ বাতিলের প্রতিবাদে জাবিতে ‘গানের মিছিল’ Logo হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর উদ্যোগে মেয়েদের ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা Logo সাংবাদিক মেরে বহিস্কৃত তিন ইবি শিক্ষার্থী, থাকতে পারবেন না হলেও Logo মানোন্নয়ন নীতিমালা সংস্কার ও বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে জাকসুর স্মারকলিপি Logo উৎসবমুখর পরিবেশে ইবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে PSOB-এর নির্বাচন সম্পন্ন Logo জাবিতে পুনরায় অটোরিক্সা চালুর অনুমোদনে কমিটি গঠন Logo জাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানির মামলা, ছাত্রদলের নিন্দা Logo পরিবেশ সচেতনতায় ইবি গ্রীন ভয়েসের পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা Logo কোনো ডেটা খরচ ছাড়াই আয়কর ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

শরতের অনুসঙ্গ

  • আফসারা তাসনিম
  • প্রকাশিত ১০:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • ৭৩ বার পঠিত

শরতের অনুসঙ্গ

ভোরের আলোয় শিউলি ফুলের সুবাস, নদীর তীরে সাদা কাশফুলের সারি আর সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে আগমন ঘটে শরতের। কখনও ঝকঝকে আকাশ আবার কখনও সারাদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি। সব মিলিয়েই প্রকৃতি শরতের সাজে সজ্জিত হয়। বাংলার ঋতু পরিক্রমায় সবচেয়ে মোহনীয় ঋতু হলো শরৎ, মন উদাস করা দিন। শরতের স্নিগ্ধতায় নিজেকে সাজাতে অনেকেই এখন ব্যস্ত।

কেমন হবে শরতের পোশাক?

শরতের সাজ-পোশাকে লাল, নীল ও সাদা রংকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রকৃতির সঙ্গে এই রং পুরোপুরি মিলে যায়। বিশেষ করে এসময় আকাশের নীল আর কাশফুলের সাদা রং সবার মন ভরিয়ে দেয়। বাঙালি নারীদের পছন্দের তালিকায় থাকে নীল-সাদা শাড়ি কিংবা বাহারি হালকা রঙের পোশাক।
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শরতের থিম নিয়ে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করছে। এসব পোশাকের মধ্যে কখনো শরৎ হয়ে উঠছে শাড়ির আঁচলে এক টুকরো নীল আকাশ, কখনো আবার ফুটে উঠছে শরতের কাশবনের দৃশ্য।
এছাড়া প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ ও রং ধরা দিচ্ছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, কাফতান, পাঞ্জাবি-ফতুয়াসহ নানা ধরনের পোশাকে। বর্তমানে হ্যান্ড পেইন্ট, স্ক্রিন পেইন্ট ও ব্রাশ পেইন্টের পোশাকের কদর বেড়েছে। অবার পিছিয়ে নেই হাতের কাজের পোশাক। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় হাউজগুলো সুই সুতার বুননে ফুটিয়ে তুলছে সুন্দর সুন্দর কারুকার্য। পাশাপাশি ডিজিটাল প্রিন্টের পোশাকও নজর কাড়ছে সবার। শরতের সাজে বেছে নিতে পারেন এমন কোনো পোশাক যা সামগ্রিকভাবে যেকোন পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যতা এনে দিবে।

শরতের সাজগোজ

শরতের সাজে প্রকাশ পায় স্নিগ্ধতা। পোশাকের রং বেশি উজ্জ্বল কিংবা গাঢ় হলে হালকা সাজলেই বেশ সুন্দর লাগে। একটু চোখের কাজল আর হালকা লিপস্টিকেই বেশ মানানসই লাগে ।
দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে চলা ভালো। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে হালকা মেকআপ করে ডার্ক ব্রাউন আইব্রো শ্যাডো দিয়ে আইব্রো শেপ করে চোখ সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে। জমকালো গয়না না পরাই ভালো। কানে সিলভার রঙের দুল আর হাতে রেশমি চুড়ি, চাইলে বড় একটি আংটিও পরতে পারে। শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের গয়না সাজটাকে আরো বেশি স্নিগ্ধ করে তুলবে। চুলগুলোকে হালকা পাফ করে খোপা করলে দেখতে দারুন লাগে। পেছনের চুলগুলো চিকন বেণী করে পেঁচিয়ে খোঁপা করলেও ভালো লাগে।

এসময় ত্বকের যত্ন

আমাদের ত্বক থেকে স্বাভাবিকভাবেই একধরনের তেলজাতীয় পদার্থ নিঃসৃত হয়। এর নাম সিবাম। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে এটি নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা জমে ফুলে ওঠে, যা ব্রণ নামে পরিচিত। প্রায়ই ব্রণের চারপাশে প্রদাহ হয় এবং লাল হয়ে যায়। জীবাণুর সংক্রমণ হলে এতে পুঁজ হয়। বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে এই সিবাম দীর্ঘ সময় ত্বকে অবস্থান করে। তাই যাঁদের ত্বক একটু তৈলাক্ত, তাঁদের ত্বক একটু চিটচিটে মনে হতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত গরম বা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ত্বক ও চুল সুস্থ রাখার জন্য বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন।

হাইড্রেশন সব সময়ের জন্য প্রয়োজন

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শরৎ যেকোনো ঋতুতেই ত্বকের জন্য হাইড্রেশন গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে হাইড্রেটেড থাকলে ত্বক উজ্জ্বল, নমনীয় এবং কোমল থাকে। ত্বকের হাইড্রেশন নিশ্চিত করলে ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়া, জ্বালা করা বা অকাল বার্ধক্যের মতো সমস্যাগুলো থেকে অনেকটাই দূরে থাকা সম্ভব হয়। অনেকে মনে করেন প্রকৃতিতে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে আমাদের ত্বকের তেমন হাইড্রেশনের প্রয়োজন হয় না। তবে এই ধারণা সঠিক নয়। বরং আর্দ্রতার ফলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, যার ফলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। সবসময় ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার এবং হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করা খুব জরুরি। বিষয়গুলো মাথায় রাখলে খুব সহজেই যেকোন পরিবেশে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।

জনপ্রিয়

হাঁসের মৃত্যুহার কমাতে বাকৃবির ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন সিড, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর

শরতের অনুসঙ্গ

প্রকাশিত ১০:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ভোরের আলোয় শিউলি ফুলের সুবাস, নদীর তীরে সাদা কাশফুলের সারি আর সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে আগমন ঘটে শরতের। কখনও ঝকঝকে আকাশ আবার কখনও সারাদিন অঝোর ধারায় বৃষ্টি। সব মিলিয়েই প্রকৃতি শরতের সাজে সজ্জিত হয়। বাংলার ঋতু পরিক্রমায় সবচেয়ে মোহনীয় ঋতু হলো শরৎ, মন উদাস করা দিন। শরতের স্নিগ্ধতায় নিজেকে সাজাতে অনেকেই এখন ব্যস্ত।

কেমন হবে শরতের পোশাক?

শরতের সাজ-পোশাকে লাল, নীল ও সাদা রংকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রকৃতির সঙ্গে এই রং পুরোপুরি মিলে যায়। বিশেষ করে এসময় আকাশের নীল আর কাশফুলের সাদা রং সবার মন ভরিয়ে দেয়। বাঙালি নারীদের পছন্দের তালিকায় থাকে নীল-সাদা শাড়ি কিংবা বাহারি হালকা রঙের পোশাক।
বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শরতের থিম নিয়ে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করছে। এসব পোশাকের মধ্যে কখনো শরৎ হয়ে উঠছে শাড়ির আঁচলে এক টুকরো নীল আকাশ, কখনো আবার ফুটে উঠছে শরতের কাশবনের দৃশ্য।
এছাড়া প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ ও রং ধরা দিচ্ছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, কাফতান, পাঞ্জাবি-ফতুয়াসহ নানা ধরনের পোশাকে। বর্তমানে হ্যান্ড পেইন্ট, স্ক্রিন পেইন্ট ও ব্রাশ পেইন্টের পোশাকের কদর বেড়েছে। অবার পিছিয়ে নেই হাতের কাজের পোশাক। বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় হাউজগুলো সুই সুতার বুননে ফুটিয়ে তুলছে সুন্দর সুন্দর কারুকার্য। পাশাপাশি ডিজিটাল প্রিন্টের পোশাকও নজর কাড়ছে সবার। শরতের সাজে বেছে নিতে পারেন এমন কোনো পোশাক যা সামগ্রিকভাবে যেকোন পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যতা এনে দিবে।

শরতের সাজগোজ

শরতের সাজে প্রকাশ পায় স্নিগ্ধতা। পোশাকের রং বেশি উজ্জ্বল কিংবা গাঢ় হলে হালকা সাজলেই বেশ সুন্দর লাগে। একটু চোখের কাজল আর হালকা লিপস্টিকেই বেশ মানানসই লাগে ।
দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে চলা ভালো। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে হালকা মেকআপ করে ডার্ক ব্রাউন আইব্রো শ্যাডো দিয়ে আইব্রো শেপ করে চোখ সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে। জমকালো গয়না না পরাই ভালো। কানে সিলভার রঙের দুল আর হাতে রেশমি চুড়ি, চাইলে বড় একটি আংটিও পরতে পারে। শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের গয়না সাজটাকে আরো বেশি স্নিগ্ধ করে তুলবে। চুলগুলোকে হালকা পাফ করে খোপা করলে দেখতে দারুন লাগে। পেছনের চুলগুলো চিকন বেণী করে পেঁচিয়ে খোঁপা করলেও ভালো লাগে।

এসময় ত্বকের যত্ন

আমাদের ত্বক থেকে স্বাভাবিকভাবেই একধরনের তেলজাতীয় পদার্থ নিঃসৃত হয়। এর নাম সিবাম। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে এটি নিঃসৃত হয়। এই গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা জমে ফুলে ওঠে, যা ব্রণ নামে পরিচিত। প্রায়ই ব্রণের চারপাশে প্রদাহ হয় এবং লাল হয়ে যায়। জীবাণুর সংক্রমণ হলে এতে পুঁজ হয়। বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে এই সিবাম দীর্ঘ সময় ত্বকে অবস্থান করে। তাই যাঁদের ত্বক একটু তৈলাক্ত, তাঁদের ত্বক একটু চিটচিটে মনে হতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত গরম বা স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ত্বক ও চুল সুস্থ রাখার জন্য বাড়তি সচেতনতা প্রয়োজন।

হাইড্রেশন সব সময়ের জন্য প্রয়োজন

শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শরৎ যেকোনো ঋতুতেই ত্বকের জন্য হাইড্রেশন গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে হাইড্রেটেড থাকলে ত্বক উজ্জ্বল, নমনীয় এবং কোমল থাকে। ত্বকের হাইড্রেশন নিশ্চিত করলে ত্বকের শুষ্ক হয়ে যাওয়া, জ্বালা করা বা অকাল বার্ধক্যের মতো সমস্যাগুলো থেকে অনেকটাই দূরে থাকা সম্ভব হয়। অনেকে মনে করেন প্রকৃতিতে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে আমাদের ত্বকের তেমন হাইড্রেশনের প্রয়োজন হয় না। তবে এই ধারণা সঠিক নয়। বরং আর্দ্রতার ফলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে, যার ফলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। সবসময় ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার এবং হাইড্রেটিং সিরাম ব্যবহার করা খুব জরুরি। বিষয়গুলো মাথায় রাখলে খুব সহজেই যেকোন পরিবেশে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।