ঢাকা ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ সংবাদ
Logo ইবিস্থ সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায় Logo হাদির উপর গুলির প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও দোয়া Logo অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের সুযোগ–সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ ডিএমপি কমিশনারের Logo স্পষ্টভাবে সত্য বলা ওসমান হাদী বাংলাদেশের বিবেক Logo ইবির ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের নতুন সভাপতি ড. মামুন আল রশিদ Logo গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় জাবিতে ছাত্রশক্তির দোয়া মাহফিল Logo হাদির ওপর গুলির প্রতিবাদে ও জুলাই হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ Logo নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে জান্নাতী-মুতাসিম Logo ব্যাডমিন্টন প্রতিভার খোঁজে ব্যাডমিন্টন বাংলাদেশ Logo ওসমান হাদীকে জঙ্গি বললেন যবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা

নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং, যবিপ্রবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ

  • রায়হান আহমদ
  • প্রকাশিত ১২:২০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৮৩ বার পঠিত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫:৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটস্থ আমবটতলা বাজার নামক স্থানে এ সংঘর্ষের শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, একজন নারী শিক্ষার্থী আটবটতলা বাজেরে এক দোকানে গেলে সেই দোকানদার তাকে উত্ত্যক্ত করে। এনিয়ে ঐ নারী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের জানালে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেই দোকানদারকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে। এক পর্যায়ে দোকানদারকে মারধর করা হয়। এরপর আশেপাশের মানুষেরা শিক্ষার্থীদের ধরে মারধর করে। পরবর্তীতে এই ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এরপর বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের এক মেয়ে জুনিয়র জানায় যে মোবাইল ঠিক করতে গেলে মোবাইল দোকানদার তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। এটা শোনার পর আমরা দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে, আশেপাশের স্থানীয়রা মিলে আমাদের উপর হামলা চালানো শুরু করে। আমাদের সমানে কিল ঘুষি দিতে থাকে। পরে আমরা কোনো রকম দৌড়ে পালিয়ে আসলে তারা পিছন থেকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্ট্ররিয়াল বডি চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন। পরবর্তী এ সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। সংঘর্ষের তিন ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্ট্ররিয়াল টিমের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে রাত ৯ টার পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এরপর আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার সহ আরো অনেকে। এদিকে ঘটনার তিন ঘন্টা হয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত করতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রক্ট্ররিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে তদেরকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো: ওমর ফারুক বলেন, একটি ছাত্রীকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ঘটে। আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি সহ অনেকে শিক্ষক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসতে দেরি করায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়। সংঘর্ষে আমাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের একাংশ ভিসি স্যারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিসি, ট্রেজারার সহ শিক্ষকরা অবরুদ্ধ রয়েছে।

জনপ্রিয়

ইবিস্থ সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায়

নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং, যবিপ্রবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ

প্রকাশিত ১২:২০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫:৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটস্থ আমবটতলা বাজার নামক স্থানে এ সংঘর্ষের শুরু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, একজন নারী শিক্ষার্থী আটবটতলা বাজেরে এক দোকানে গেলে সেই দোকানদার তাকে উত্ত্যক্ত করে। এনিয়ে ঐ নারী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের জানালে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেই দোকানদারকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে। এক পর্যায়ে দোকানদারকে মারধর করা হয়। এরপর আশেপাশের মানুষেরা শিক্ষার্থীদের ধরে মারধর করে। পরবর্তীতে এই ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এরপর বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের এক মেয়ে জুনিয়র জানায় যে মোবাইল ঠিক করতে গেলে মোবাইল দোকানদার তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। এটা শোনার পর আমরা দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে, আশেপাশের স্থানীয়রা মিলে আমাদের উপর হামলা চালানো শুরু করে। আমাদের সমানে কিল ঘুষি দিতে থাকে। পরে আমরা কোনো রকম দৌড়ে পালিয়ে আসলে তারা পিছন থেকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্ট্ররিয়াল বডি চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন। পরবর্তী এ সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। সংঘর্ষের তিন ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্ট্ররিয়াল টিমের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে রাত ৯ টার পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এরপর আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার সহ আরো অনেকে। এদিকে ঘটনার তিন ঘন্টা হয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত করতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রক্ট্ররিয়াল বডির পদত্যাগের দাবিতে তদেরকে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো: ওমর ফারুক বলেন, একটি ছাত্রীকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ঘটে। আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি সহ অনেকে শিক্ষক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসতে দেরি করায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে যায়। সংঘর্ষে আমাদের বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের একাংশ ভিসি স্যারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিসি, ট্রেজারার সহ শিক্ষকরা অবরুদ্ধ রয়েছে।